কাশ্মীরিদের জন্য আত্ম-নিয়ন্ত্রণের অধিকার দিবস হিসাবে পালন করার দিনে, আমরা জম্মু ও কাশ্মীরের জনগণের মৌলিক মানবাধিকার সমুন্নত রাখতে এবং সাত দশকেরও বেশি সময় ধরে কাশ্মীরিদের ন্যায়সঙ্গত সংগ্রামের প্রতি শ্রদ্ধা জানাই৷১৯৪৯ সালের এই দিনে, ভারত ও পাকিস্তানের নিয়ে জাতিসংঘের কমিশন (UNCIP) একটি রেজুলেশন গ্রহণ করে, যা জম্মু ও কাশ্মীরে একটি অবাধ ও নিরপেক্ষ গণভােটের মাধ্যমে কাশ্মীরি জনগণকে তাদের স্ব-নিয়ন্ত্রণের অন্তর্নিহিত অধিকারের নিশ্চয়তা দেয়৷
আমরা এই দিনটি বিশ্ব সম্প্রদায়কে স্মরণ করিয়ে দেওয়ার জন্য উদযাপন করছি যে তারা কাশ্মীরি জনগণের প্রতি তাদের নৈতিক ও আইনগত দায়িত্ব ত্যাগ করতে পারে না৷ সকল গুরুত্বপূর্ণ মানবাধিকার চুক্তি, জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ এবং নিরাপত্তা পরিষদে তাদের এই আত্মনিয়ন্ত্রণের অবিচ্ছেদ্য অধিকারের গুরুত্ব স্বীকার করা হয়েছে৷ এই স্ব-নিয়ন্ত্রণের অধিকার জাতিসংঘ কর্তৃক কাশ্মীরিদের দেওয়া হয়েছিল এবং ভারত একতরফাভাবে অস্বীকার করতে পারে না।
কাশ্মীরিদের তিন প্রজন্ম বিশ্ব সম্প্রদায় এবং জাতিসংঘ কর্তৃক কাশ্মীরিদের দেওয়া তাদের আন্তরিক প্রতিশ্রুতি রক্ষার ব্যাপারে অপেক্ষা করেছে৷ IIOJK-তে ভারতীয় নৃশংসতা অব্যাহত রয়েছে কিন্তু কাশ্মীরিদের সাহস ও চেতনা দৃঢ় রয়েছে৷
৯০০০০০ সৈন্যের উপস্থিতির মাধ্যমে, ভারত অধিকৃত অঞ্চলটিকে বৃহত্তম উন্মুক্ত কারাগার এবং বিশ্বের সবচেয়ে সামরিক অঞ্চলে পরিণত করেছে৷ IIOJK-এর জনগণকে নির্বিচারে আটক, জবরদস্তি, হয়রানি ও অপমান, এবং মিথ্যা এনকাউন্টার এবং কর্ডন-এবং-অনুসন্ধানঅপারেশনে বিচারবহির্ভূত হত্যার মাধ্যমে নিপীড়ন করা এবং সাম্প্রতিক এর মাত্রা বৃদ্ধি করা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের জন্য একটি গুরুতর উদ্বেগের বিষয়।
৫ আগস্ট, ২০১৯ -এর ভারতের বেআইনি এবং একতরফা পদক্ষেপ এবং পরবর্তী পদক্ষেপগুলি, বিশেষ করে আবাসিক বিধি এবং জমির মালিকানা সংক্রান্ত আইনগুলাে, IIOJK-এর জনসংখ্যার কাঠামাে পরিবর্তন করা এবং কাশ্মীরিদের তাদের নিজস্ব ভূমিতে সংখ্যালঘুতে রূপান্তরিত করার লক্ষ্য আরােপ করা হয়েছে৷ এই ভারতীয় পদক্ষেপগুলি আন্তর্জাতিক আইন বিশেষ করে জাতিসংঘের সনদ, জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের রেজোলিউশন এবং ৪র্থ জেনেভা কনভেনশনের স্পষ্ট লঙ্ঘন৷ কাশ্মীরিরা তাদের জীবন, খাদ্য, স্বাস্থ্য, মত প্রকাশের স্বাধীনতা, সমাবেশের স্বাধীনতা, ধর্মের স্বাধীনতা এবং সর্বোপরি আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকার থেকে বঞ্চিত হয়েছে৷
পাকিস্তান আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে ভারতকে জবাবদিহীতার জন্য এবং অবিলম্বে কাশ্মীরিদের বিরুদ্ধে তার রাষ্ট্রীয়-সন্ত্রাস বন্ধ করতে এবং অধিকৃত ভূখণ্ডে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার ও মানবিক সংস্থাগুলিকে প্রবেশের অনুমতি আদায়ের আহবান জানায়৷
আন্তর্জাতিক বৈধতা অনুসারে জম্মু ও কাশ্মীর বিরােধের শান্তিপূর্ণ সমাধানের উপর দক্ষিণ এশিয়ায় টেকসই শান্তি নির্ভরশীল৷ পাকিস্তান কাশ্মীরীদের তাদের আত্মনিয়ন্ত্রণের অবিচ্ছেদ্য অধিকার এবং প্রাসঙ্গিক UNSC রেজুলেশন এবং কাশ্মীরি জনগণের ইচ্ছা অনুযায়ী জম্মু ও কাশ্মীর বিরােধের ন্যায্য সমাধান না হওয়া পর্যন্ত তাদের সম্ভাব্য সব ধরনের সমর্থন অব্যাহত রাখবে।