প্রবাহ রিপোর্ট : ঝিনাইদহ শৈলকুপা দুধসর ইউনিয়ন পরিষদের বিজয়ী ও পরাজিত চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ঘটেছে। এ সময় ৩০টি বাড়ি ও বেশ কয়েকটি দোকান ভাঙচুর করা হয়। শুক্রবার সকালে ইউনিয়নের দুধসর গ্রামে এ ঘটনাটি ঘোটে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ৩৮ রাউন্ড শটগানের গুলি ও তিন রাউন্ড রাবার বুলেট নিক্ষেপ করেন। এলাকাবাসী জানান, দীর্ঘদিন ধরে দুধসর গ্রামে নৌকার বিজয়ী চেয়ারম্যান শাহাবুদ্দিন সাবুর চাচা বাবলু ও পরাজিত চেয়ারম্যান প্রার্থী নায়েব আলী জোয়ার্দ্দারের মধ্যে বিরোধ চলে আসছে। গতকাল শুক্রবার সকালে উভয় পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ঘটে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে উভয়পক্ষের সমর্থকরা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে একে অপরের বাড়িঘরে হামলা ভাঙচুর করে। সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান নায়েব জোয়ার্দ্দারের ছোট ভাই আয়ুব জোয়ার্দ্দার অভিযোগ করেন, দুই বছর আগে তাদের সমর্থক শহীদ শেখ আহতের ঘটনায় একটি মামলা হয়। মামলাটি তুলে নিতে ভোটের পর থেকে বাবলুর সমর্থকরা শহীদ শেখের ওপর হুমকি দিতে থাকে। মামলা তুলে না নেওয়ায় তারা গতকাল শুক্রবার সকালে হামলা চালিয়ে বাড়িঘর ভাঙচুর করে। প্রতিপক্ষ বাবলু পাল্টা অভিযোগ করেন বলেন, গতকাল শুক্রবার সকালে নায়েব আলী জোয়ার্দ্দারের সমর্থকরা তাদের সমর্থক কালাই জোয়ার্দ্দারের বাড়িতে ও বাগদী পাড়াই নৌকার সমর্থকদের বাড়িতে হামলা চালায়। এ সময় সাইদ সাহ, নিরঞ্জন বাগদী ও গৌরী বাগদী আহত হন। শৈলকুপা থানার ওসি মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, পঞ্চম ধাপের ইউপি নির্বাচনে শৈলকুপা উপজেলার দুধসর ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হয় আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী সাহাবুদ্দিন সাবু। গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় পরাজিত স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী টিএ রাজুর সমর্থক শহীদ নামে এক ব্যক্তির মুদি দোকান বন্ধ করে দেয় নবনির্বাচিত চেয়ারম্যানের সমর্থকরা। এর জের ধরে সকালে উভয় পক্ষের সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। ভাঙচুর করা হয় প্রায় ৩০টি বাড়িঘর। এ সময় উভয় পক্ষের কমপক্ষে তিনজন আহত হন। ওসি আরও বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ৩৮ রাউন্ড শটগানের গুলি ও ৩ রাউন্ড রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।