শেখ ফেরদৌস রহমান : আর মাত্র দ্ইুদিন স্বপ্নের পদ্মা সেতুর উদ্বোধন। আর যেন মানছেনা মন, কোটি মানুষ অপেক্ষা প্রহর গুণছে প্রমত্তা পদ্মায় হবে ভরা বৃষ্টির মৌসুমে উদ্বোধন। যে কারণে সবার মনে যেন আনন্দ জোয়ার বইছে। নগরী ও সেজেছে বিভিন্ন আলোক সজ্জায় আর প্যানা ফেস্টুনে। রাত্রের বেলা নগরী যেন অন্য রকম এক রংএর নগরী। খুলনায় বিভিন্ন সরকারী বেসরকারী অফিস প্রতিষ্ঠানে রং-বেরঙের লাইটিং আর আলোর ঝলমল। পাশাপাশি সাধারণ মানুষের মনে বইছে আনন্দের জোয়ার। আর হবেনা পদ্মার পাড়ে ভোগান্তি। দেশের অর্থনৈতিক ও যোগাযোগ খাতে হবে উন্নতি। বিশেষ করে দক্ষিণাঞ্চলের মানুষ পদ্মা সেতু হওয়ায় যেন একধরনে মনোবল পেলো। । তাছাড়া প্রতিটি সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে বড় ব্যবসায়ি, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী, রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক, সামাজিক, স্বেচ্ছাসেবী, শিক্ষার্থী, সুশীল সমাজসহ বিভিন্ন পর্যায়ের লক্ষাধিক লোকের সমাগম ঘটবে পদ্মায়। এর জন্য নগরীতে চলছে বেশ প্রস্তুতি। এবিষয়ে আকাঙ্খা গ্রুপ এর নির্বাহী পরিচালক এস,এম আসাদুজ্জামান বলেন, পদ্মা সেতু মানে উন্নয়ন। বলতে পারেন দেশ আরো একধাপ এগিয়ে গেল। দেশের নিজস্ব অর্থায়নে এত বড় একটি প্রকল্প সফল হয়েছে ভাবতে দারুণ লাগবে। বিশেষ করে মানুষ যখন পদ্মা সেতু পার হবে। আর পুর্বের ভোগান্তির কথা মনে পড়বে। তখন সত্যিই নিজেকে মনে হবে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। পাশাপাশি সময় বাঁচবে দেশে শিল্প বিপ্লবের এক নতুন দিগন্তর সূচনা হবে। এর আগে চিকিৎসার জন্য ফেরী পার হওয়ার সময়ে মাঝ পথে কত মানুষের মৃত্যু হয়েছে। একটি পদ্মা সেতু বাঙ্গালী জাতির জন্য অহংকার। যে আমরা কারোর কাছ থেকে কোন সাহায্য ছাড়া নিজ অর্থে পদ্মার উপর সেতু তৈরি করেছে। তাছাড়া অনেক সময়ে আমাদের বিভিন্ন পণ্য, মালামাল, নৌ পথে আনতে ব্যাপক সময় ব্যায় হতো। গ্রামের পল্লী জনগোষ্ঠিকে আর গ্রামে অবহেলিত হয়ে পড়ে থাকতে হবে না। এখন তাদের ভাগ্য পরিবর্তন হবে। দেশ এগিয়ে যাবে। এজন্য আমি প্রধানমন্ত্রীকে আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করছি। তার এমন অসীম সাহস আর মনোবল নিয়ে দেশের কোটি মানুষের দীর্ঘদিনের স্বপ্ন পূরণ করেছে। এবিষয়ে খুলনা সোনালী ব্যাংকের কর্পোরেট শাখার জি,এম মো. ইলিয়াস হোসেন বলেন, পদ্মা মানে উন্নয়ন। দেশের সব মানুষের মধ্যে অর্থনৈতিক উন্নয়ন হবে। এখন আর কেউ ঢাকামুখী ব্যবসা বাণিজ্য করবেনা। একটা দেশে উন্নয়নের প্রথম ধাপ হলো যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন। এখন ব্যবসায়িরা ঢাকার বাহিরেও তাদের ব্যবসা পরিচালনা করতে পারবে। এতে করে শিল্প খাত থেকে শুরু করে নি¤œ আয়ের মানুষের ভাগ্যের চাকা খুলবে। দেশের দারিদ্র বিমোচনে বড় একটা ভুমিকায় থাকবে এই পদ্মা সেতু। আমরা কারো কাছ থেকে কোন ঋণ ছাড়া প্রকল্পটি বাস্তবায়ন ও দৃশ্যমান উন্নয়ন করতে পেরেছি। এজন্য প্রধানমন্ত্রীকে আমি আন্তরিক ভাবে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।