স্থানীয় সংবাদ

নগরীর মসজিদ থেকে নামাজরত মুসল্লিদের জুতা চুরি

স্টাফ রিপোর্টার ঃ নগরীর খালিশপুর থানাধিন গোয়ালখালী আরশি জামে মসজিদ থেকে নামাজরত মুসল্লিদের আট জোড়া জুতা চুরি হয়েছে। গতকাল মাগরিবের নামাজ আদায়রতর সময়ে বিভিন্ন মুসল্লিদের জুতা গুলো চুরি হয়। তবে চোর চক্রগুলো কোন স্যান্ডেল চুরি করেনি। সব গুলো ভাল মানের জুতা চুরি করে। শীত মৌসুমে পায়ের ঠান্ডা থেকে বাঁচতে মুসল্লিরা জুতা পরিধান করে মসজিদে আসে। এ সময়ে চোর চক্র টার্গেট করে । এ বিষয়ে ভুক্তভোগী মুসল্লী মোঃ রাসেল বলেন, গতকাল মাগরিবের নামাজ আদায় করতে গোয়ালখালী আরশি মসজিদে প্রবেশ করার আগে আমার জুতা খুলে বারান্দায় রাখা হয়। এর পর নামাজ আদায় করার পর দেখি কয়েকজন মুসল্লির জুতা চুরি হয়ে গেছে । এতে করে মসজিদ প্রাঙ্গনে হৈ চৈ বেধে যায়। এক পর্যায়ে আমার জুতা খুঁজে দেখি যেখানে রেখে মসজিদে প্রবেশ করেছিলাম সেই স্থানে নেই। এর পর বুঝতে পারি। যে আমার জুতা চুরি হয়েছে। মূলতঃ প্রায় মসজিদে ভিতরে প্লাস্টিক বক্স বা কাঠের তৈরি বক্স থাকে জুতা রাখার জন্য। তবে অধিকাংশ মুসল্লিরা মসজিদের ভিতরের জুতা রাখার বক্সে জুতা রাখে না। যে কারণে ওঁৎ পেতে থাকা চোর চক্র মসজিদের বাইরে থেকে সহজে জুতা চুরি করে পালিয়ে যায়। এছাড়া জানা যায় এর আগেও খালিশপুরে বিভিন্ন মসজিদ থেকে জুতা চুরি সহ দান বাক্স ভেঙ্গে টাকা চুরি হয়ে গেছে। এ বিষয়ে সচেতন নাগরিক মোঃ খালিদ হোসেন বলেন, মূলতঃ মাদকাসক্ত বখাটে ছোলেরা এসব কাজ করে। তারা মুসল্লি বেশে মসজিদে প্রবেশ করে। আর আল্লাহর সামনে সিজদারত মসুল্লিদের জুতা চুরি করে পালিযে যায়। মূলতঃ মাদকের অর্থ যোগাড় করতে এমন সামাজিক অবক্ষয়। আর এসব জুতাগুলো প্রকাশ্যে নগরীর বিভিন্ন মার্কেটের সামনে বা ফুটপাতে কম দামে বিক্রি হয়। মুলতঃ সংঘবদ্ধ চোর চোক্রের একটি সিন্ডিকেট আছে যে অঞ্চল থেকে জুতা চুরি করে সেই এলাকায় তারা বিক্রি করে না। এজন্য প্রশাসনকে একটু কঠোর হতে হবে। এসব পুরাতন ভাল মানের জুতা মার্কেটের সামনে কিভাবে বিক্রি হয়। পাশাপাশি এসব জুতা তার কাছে কে বিক্রি করে? এদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করে চোর চক্রদের সন্ধান পাওয়া যাবে। এছাড়া চোর একটি পুরাতন জুতা সর্ব্বেচ্চ ৩শ টাকার বেশি বিক্রি করতে পারে না। তবে যার জুতা চুরি হয় সেই ব্যক্তি একটি নতুন জুতা ক্রয় করতে গেয়ে তার এক হাজার বা তার বেশি টাকা খরচ হয়। এ জন্য আমি বলব বিষয়টি নিয়ে প্রশাসন যেন ব্যবস্থা নেয়। এসব সামান্য বিষয়ে থানায় যেতে অনীহা প্রকাশ করে ভুক্তভোগীরা । তবে শখের জুতা চুরি হলে খুবই কষ্ট লাগে। এ বিষযে খালিশপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ আনোয়ার হোসেন বলেন, বিষয়টি খুবই দুঃখজনক ঘটনা। আমি বিষয়টি খুবই গুরুত্ব সহকারে দেখছি। পাশাপাশি এসব পুরাতন জুতা যে এলাকায় বা মার্কেট সামনে বিক্রি হয় আমি অভিযান পরিচালনা করব।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button