খুলনায় ভোটের আগে-পরে নগরীর নিরাপত্তায় মাঠে থাকবে তিন হাজার পুলিশ
প্রেসবিফ্রিংয়ে কেএমপি কমিশনার
স্টাফ রিপোর্টারঃ খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের(কেএমপি) কমিশনার মো. মোজাম্মেল হক বলেছেন, নির্বাচনের আগে ও পরে আইন শৃঙ্খলা রক্ষায় প্রায় ৩ হাজার পুলিশ সদস্য দায়িত্ব পালন করবে। নির্বাচনের আগে তথাকথিত হরতাল-অবরোধেও সার্বিক পরিস্থিতি স্বাভাবিক ছিল এবং এখনো স্বাভাবিক থাকবে। হরতাল-অবরোধের মাধ্যমে নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত করার চেষ্টা করলে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ (কেএমপি) কমিশনার মো. মোজাম্মেল হক। তিনি বলেন, যদি ভোট দানে কেউ বাঁধা, প্রতিবন্ধকতা অথবা নাশকতা সৃষ্টি করতে চায়, সেক্ষেত্রে পুলিশের পিকেট, মোবাইল টহল ও স্ট্রাইকিং টিম প্রস্তুত আছে। আমরা তাদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক ও আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবো। শুক্রবার বেলা ১১টায় খুলনা থানা কম্পাউন্ডে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষ্যে সার্বিক বিষয়ে সাংবাদিকদের অবহিত করতে এই ব্রিফিংয়ের আয়োজন করা হয়। পুলিশ কমিশনার বলেন, “খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ অপরাধ দমন, আইন-শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ এবং নগরবাসীর সেবায় সর্বদা তৎপর। আগামী ৭ জনুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এই নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ এবং উৎসব মুখর পরিবেশে অনুষ্ঠানের জন্য খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ ব্যাপক নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা করেছে।
নির্বাচনের পূর্ব প্রস্তুতি হিসেবে আমরা গত ৮ আগষ্ট থেকে সন্ত্রাসী, নাশকতাকারী, অস্ত্রধারী, মাদক ব্যবসায়ী বা সমাজে প্রভাব প্রতিপত্তিশালী যারা নাশকতা সৃষ্টি করতে পারে তাদের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করি। এ পর্যন্ত ১৮ টি আগ্নেয়াস্ত্র, ১৩২ রাউন্ড গুলি, ২৫ টি চোরাই মোটরসাইকেল, ককটেল, গান পাউডার, চোরাই স্বর্ণালঙ্কারসহ বিপুল পরিমাণ মাদকদ্রব্য উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছি। তিনি বলেন, খুলনা মহানগরীতে সর্বমোট ৩১০ টি কেন্দ্রে ভোট অনুষ্ঠিত হবে এবং নির্বাচন আরো সুষ্ঠু, সুন্দর এবং উৎসব মুখর পরিবেশে করার জন্য নির্বাচন কেন্দ্রে পর্যাপ্ত সংখ্যক সশস্ত্র পুলিশ, আনসারের পাশাপাশি উল্লেখযোগ্য পরিমাণ সেনাবাহিনী, বিজিবি ও র্যাব মোতায়েন থাকবে। অন্যান্য সকল সংস্থার সাথে সমন্বয় সাধনের মাধ্যমে নিচ্ছিদ্র নিরাপত্তার চাদরে মেট্রোপলিটন এলাকায় উৎসব মুখর পরিবেশে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার সরদার রকিবুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মোছাঃ তাসলিমা খাতুন, ডেপুটি পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন, বিশেষ পুলিশ সুপার রাশিদা বেগম, ডেপুটি পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম, অতিঃ ডেপুটি পুলিশ কমিশনার মিয়া মোহাম্মদ আশিস বিন্ হাছান, অতিঃ ডেপুটি পুলিশ কমিশনার এ.জেড.এম তৈমুর রহমান, খুলনা থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ কামাল হোসেন খাঁনসহ প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ।