শীত মৌসুমেও হঠাৎ লোডশেডিংয়ের কবলে নগরবাসী

নিয়মিত হচ্ছে লোডশেডিং
স্টাফ রিপোর্টার ঃ কারিগরি ত্রুটির কারণে মহেশখালী এলএনজি টার্মিনাল থেকে গ্যাস সরবরাহ কমে যাওয়ায় গ্যাসভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদনে ব্যাঘাত ঘটেছে। এর ফলে দেশের বিভিন্ন স্থানে ৭০০ মেগাওয়াট লোডশেডিং হয়েছে। শনিবার (২০ জানুয়ারি) পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশ (পিজিসিবি) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
ফলে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে লোডশেডিং শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছে বিদ্যুৎ জ¦ালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়। গতকাল শনিবার মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। খুলনা মহানগরী ও জেলার আশেপাশে এলাকায় চলতি শীত মৌসুমেও নিয়মিত হচ্ছে লোডশেডিং। শীত মৌসূমে বিদ্যুৎ খরচ অনেক কম থাকে যেকারণে বিদ্যুতের চাহিদাও থাকে কম। পাশাপাশি বিদ্যুৎ সরবরাহর সময়ে বড় কোন ধরনের দূর্ঘটনা বা বিপর্য়য় ছাড়া বিদ্যূৎ সরবরাহ সহজে বন্ধ হয়না। এছাড়া শীতের সময়ে ক্ষেত্র বিশেষ রুম হিটার আর লাইট, ছাড়া চলেনা কোন এসি বা ফ্যান। এদিকে শীতের মৌসুমেও কেন লোডশেডিং হচ্ছে এ নিয়ে জনমনে দেখা দিচ্ছে নানা প্রশ্ন, ও কৌতুহলী। গ্রাহকরা বলছে শীতের সময়ে যদি ঘন ঘন বিদ্যূৎ চলে যায়। তাহলে আসছে গ্রীস্মের সময়ে পরিস্থিতি কি হবে । গেল কয়েক দিন যাবৎ দিনের বেলায় ছাড়াও রাতের বেলায় হঠাৎ করে চলে যাচ্ছে বিদ্যুৎ। এছাড়া ১বার লোডশেডিং হলে সর্বোচ্চ পৌনে এক ঘণ্টা পর্যন্ত বিদ্যুৎ থাকেনা। গতকাল ও দেখা গেছে নগরীর বিভিন্ন ফিডারে বিদ্যুৎ সরবরাহ কিছুক্ষণের জন্য বন্ধ। তবে কিছু সময়ের পর আবারও বিদ্যুৎ আগের মত চলে আসে। এ দিকে গ্রাহকরা বলছে হঠাৎ শীতের সময়ে এতবার যদি বিদ্যুৎ লোডশেডিং হয়। তাহলে আসছে গরমের সময়ে কতক্ষণ থাকবে লোডশেডিং। এ বিষয়ে গৃহিনি তাছলিমা আক্তার বলেন, শীতের সময়ে বিদ্যুৎ এমন বারবার যাবে ভাবতেও পারা যায়না। এছাড়া এই তীব্র শীতের সময়ে হঠাৎ বিদ্যুৎ চলে গেলে বিভিন্ন সমস্যা তৈরি হয়। মূলতঃ লোডশেডিং নিয়মিত হবে এ বিষয়ে কোন বিকল্প কোন প্রস্তুতি থাকেনা। যেকারণে নানা রকম কাজে বিলম্ব সহ দুর্ভোগ পোহাতে হয়। এছাড়া শীতের সময়ে যদি বিদ্যুৎ চলে যায় তাহলে গ্রীস্মের সময়ে আরও অসহনীয় বার্তা একটি আভাস দিচ্ছে। এ বিষয়ে খুলনা বিদ্যুৎ বিক্রয় বিতরণ-বিভাগ -৪ এর নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ মঈন উদ্দিন বলেন, হঠাৎ চট্রগ্রাম গ্যাস সরবারাহ বন্ধ ছিল । যদিওবা এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক হচ্ছে। মূলতঃ গ্যাসভিক্তি বিদ্যূৎ কেন্দ্রের গুলোর উৎপাদন কম ছিল। এতে করে এটির প্রভাব সারাদেশে পড়েছে। যে কারণে আমরা প্রতিটি ফিডারে প্রতিদিন দুইবার মোট ৪০ মিনিট পর্যন্ত বিদ্যূৎ সরবরাহ বন্ধ রাখছি। তবে আশাবাদি দ্রুত এর সমাধান হয়ে যাবে। কক্সবাজারের মহেশখালীতে অবস্থিত এলএনজি টার্মিনালের কারিগরি ত্রুটির কারণে সরবরাহে বিঘœ ঘটায় গ্যাসভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদনে ব্যাঘাত ঘটছে। ফলে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে লোডশেডিং শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছে বিদ্যুৎ, জ¦ালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়। গতকাল শনিবার মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয়, মহেশখালীস্থ খঘএ ঋঝজট এর কারিগরি ত্রুটির কারণে এলএনজি সরবরাহে বিঘœ ঘটছে। এর ফলে বর্তমানে গ্যাস ভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদন কিছুটা কম হচ্ছে। বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে অতি দ্রুত সমাধানে কাজ করছে মন্ত্রণালয়। এই পরিস্থিতিতে দেশের কিছুকিছু এলাকাতে খুবই স্বল্প সময়ের জন্য বিদ্যুৎ বিভ্রাট হতে পারে। সাময়িক সময়ের অনাকাক্সিক্ষত অসুবিধার জন্য গ্রাহকদের কাছে আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করা হয়েছে বিবৃতিতে।
তথ্য অনুযায়ী, শনিবার দেশে বিদ্যুতের চাহিদা ছিল ৯ হাজার ৬৪০ মেগাওয়াট। এর বিপরীতে বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়েছে ৮ হাজার ৯১৬ মেগাওয়াট। এর আগে এলএনজি সরবরাহে বিঘœ ঘটার ফলে বিদ্যুৎ উৎপাদন কমে যাওয়ায় দেশজুড়ে লোডশেডিং হতে পারে বলে জানিয়েছিল বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়।



