যশোরে আন্তঃজেলা চোর চক্রের সক্রিয় তিন সদস্য ডিবি পুলিশের খাঁচায়

গোপালগঞ্জ থেকে চোরাই ৭টি ইজিবাইক ও প্রাইভেট উদ্ধার
যশোর ব্যুরো ঃ যশোর শহর ও শহরতলীর বিভিন্ন এলাকায় চুরি হয়ে যাওয়া ৭ টি ইজিবাইক ও একটি প্রাইভেটকার উদ্ধার করেছে যশোর জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি ) পুলিশ। গোপালগঞ্জের একটি চক্রের ডেরায় হানা দিয়ে চোরাই ইজিবাইক ও প্রাইভেটকারটি উদ্ধার করেন। সেখান থেকে পুলিশ আন্তঃজেলা চোর চক্রের তিন সদস্যকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃতরা হলো নড়াইলের নড়াগাতি থানার কলাবাড়িয়া গ্রামের বুলু মিয়ার ছেলে সেলিম শেখ ওরফে হৃদয় (৩৮), গোপালগঞ্জ সদর উপাজেলার ঘোষেরচর উত্তর পাড়া গ্রামের হিরু মিয়ার ছেলে খোকন ঠাকুর (৪৫) ও আরুয়া কংসুক গ্রামের মৃত আব্দুর রহমান সরদারের ছেলে মেজবাহ উদ্দিন (৩৭)।
জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) পুলিশ জানিয়েছে, গোপালগঞ্জে গড়ে উঠেছে একটি শক্তিশালী চোর সিন্ডিকেট। দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে ইজিবাইক, অটো রিকশা, প্রাইভেটকার, মোটরসাইকেলসহ বিভিন্ন চোরাই যানবাহন চলে যায় গোপালগঞ্জে। সেখানে চোরাই যানবাহন কেনাবেচা হয়। এই সিন্ডিকেটর সদস্য দেশে বিভিন্ন এলাকায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে। গোপন সূত্রে এবং চোরচক্রের সদস্যদের আটক করে তাদের কাছ থেকে তথ্য পেয়ে সেই ডেরাই অভিযান চালানো হয়। সেখান থেকে চোরাই যানবাহন ক্রেতাসহ তিনজনকে আটক করা হয়ছে। অভিযানে তিনজনকে গ্রেফতার করা হলেও তাদের সহযোগী সানু মেম্বার নামে আরো একজন পালিয়ে গেছেন। তিনি এই চক্রের সদস্য।
যশোর ডিবি পুলিশের অফিসার ইনচার্জ রুপম কুমার সরকার শনিবার দুপুরে যশোর ডিবি অফিসে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের জানান, চলতি বছরের গত ১৫ ই মার্চ দুপুরে শহরের খালদার রোড এলাকা থেকে ইজিবাইক চালক কামাল হোসেনের ইজিবাইক ভাড়াা করে দুইজন অজ্ঞাত ব্যক্তি। ইজিবাইক ভাড়াা নিয়ে পরে তারা চালকের কাছ থেকে কৌশলে ইজিবাইক চুরি করে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় চালক কামাল হোসেন যশোর কোতয়ালি থানায় একটি মামলা করেন। পরে অভিযোগটি যশোর ডিবি পুলিশের কাছে তদন্তের জন্য পাঠান ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তা। ডিবি পুলিশ চুরির ঘটনাটি তদন্ত করতে যেয়ে যশোর শহরের উপ-শহর এ ব্লক এলাকা থেকে প্রাইভেটকারসহ চোর চক্রের ২ সদস্যকে আটক করেন এবং তাদের স্বীকারোক্তিতে গোপালগঞ্জ সদরের আড়–য়া কংশুক এলাকায় অভিযান চালিয়ে একটি গ্যারেজ থেকে বিভিন্ন সময় চুরি যাওয়া ৭টি ইজিবাইক উদ্ধার ও গ্যারেজ মালিককে আটক করেন।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ ও আসামীদের বিরুদ্ধে তদন্ত করতে যেয়ে দেখা গেছে আসামীরা তাদের পলাতক সহযোগীদের নিয়ে দেশের বিভিন্ন জেলায় ইজিবাইক চুরি ছিনতাই করে থাকে। আটক আসামি সেলিমের বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন থানায় ৮টি চুরি মামলা, খোকনের বিরুদ্ধে ১টি মাদক মামলা। এছাড়াও পলাতক সানু মেম্বারের বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন থানায় ৬টি চুরি ও ছিনতাই মামলা রয়েছে।