যশোরে পুলিশের বিরুদ্ধে ছাত্রলীগ নেতাকে বাড়ি থেকে তুলে হাত পা ভেঙ্গে দেওয়ার অভিযোগ

ছাত্রলীগের বিক্ষোভ থানা ঘেরাও
যশোর ব্যুরো ঃ যশোরের মনিরামপুর থানা পুলিশের বিরুদ্ধে বিল¬ালুর রহমান নামের এক ছাত্রলীগ নেতাকে বাড়ি থেকে ধরে এনে হাত-পা ভেঙ্গে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। সাবেক প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্র্যের ছবি সম্বলিত পোস্টারে কালি দেয়ার ঘটনায় আটক করে এনে ওসি তদন্ত পলাশ বিশ্বাস হকিস্টিক দিয়ে পিটিয়ে তার হাত-পা ভেঙ্গে দেয়া দিয়েছে বলে অভিযোগ। তবে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন পলাশ বিশ্বাস।আহত বিল্লালুর রহমান উপজেলার গোপালপুর গ্রামের নূর আলীর ছেলে। তিনি গাজীপুর সরকারি কলেজ থেকে সদ্য মাষ্টার্স শেষ করেছেন। তিনি কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক নেতা।
আহত বিল্লালুর রহমানের মা খাদিজা বেগম বলেন, ঈদের রাতে পুলিশ তার বড় ছেলে বিল্লাল বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে যায়। সাথে সাথে তারাও থানায় চলে আসেন। কি অপরাধে ছেলেকে ধরে আনা হয়েছে জানতে চাইলে পুলিশ তাদের সাথে দুর্ব্যবহার করে। ওই রাত থেকে তারা থানার গোলঘরে ছিলেন। আজ দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ছেলের জন্য খাবার আনতে বাড়িতে যান। ফিরে এসে দেখতে পান হাত-পায়ে ব্যান্ডেজ করা অবস্থায় পুলিশের গাড়ি থেকে বেলালুরকে নামানো হচ্ছে। এসময় পুলিশের কাছে জানতে চাইলে, তাদেরকে জানানো হয় তার ছেলের পেট খারাপ করায় হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু পরে দেখতে পান তার ছেলেকে মারধর করে হাত-পা ভেঙ্গে দেওয়া হয়েছে। তিনি এঘটনার জন্য পুলিশের বিচার দাবি করেছেন।
এদিকে বিল¬ালুর রহমানের সাথে ইকবাল হোসেন আরো এক যুবলীগ নেতাকে আটক করেছে পুলিশ। ইকবাল হোসেনের পিতা তরিকুল ইসলাম বলেন, কে বা কারা সাবেক প্রতিমন্ত্রীর ছবি সম্বলিত পোস্টারে কালি লেপটে দিয়েছে। যার দায়ভার ছেলের উপর চাপিয়ে ঈদের রাতে বাড়ি থেকে থানায় তুলে এনে মারধর করে পুলিশ। মারধরের শিকার বিল্লালুর রহমানের স্থানীয় সাংবাদিকদের জানান ওসি (তদন্ত) পলাশ বিশ্বাস হকিষ্টিক দিয়ে তাকে বেধড়ক মারধর করেছে।
এ ব্যাপারে মনিরামপুর থানার ওসি (তদন্ত) পলাশ বিশ্বাস মারধরের কথা অস্বীকার করে বলেন, সরকারি সম্পত্তি নষ্ট, একজন সম্মানিত ব্যক্তির ছবি ও লেখার উপর কালি দেওয়ার অভিযোগে তাদেরকে ধরে আনা হয়েছে। এ ব্যাপারে মনিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপে¬ক্সের জরুরী বিভাগের চিকিৎসক ডা: অনুপ কুমার বসু বলেন, ধারনা করা হচ্ছে বিল¬ালুর রহমানের বাম হাত ভেঙ্গে গিয়েছে। তবে এক্স-রে রিপোর্ট পাওয়ার পর নিশ্চিত হওয়া যাবে। এদিকে এই ঘটনা ফাঁস হলে আজ শনিবার বিকাল ৩টার দিকে স্থানীয় ছাত্রলীগের নেতাকর্মী ও আহতদের স্বজনরা থানা ঘেরাও করে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে এই ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবি করেন। মনিরামপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এবিএম মেহেদী মাসুদ বলেন, আটক দুইজনকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।