নগরীর সবজির বাজার অস্থির
শশা, আলু, কাচা মরিচ, করলা, কাকরোল ও আদার মূল্য অস্বাভাবিক
মো. রায়হান মোল্লা ঃ নগরীর সবজির বাজার অস্থির। দাম মোটেই কমছে না। দাম শুনে বিভ্রান্ত হচ্ছে ক্রেতারা। ঈদে এক টানা মাংস খেয়ে এখন বাজারে মানুষ সবজিই কিনছেন বেশি। আর দাম শুনে হিমশিম খাচ্ছেন অনেকেই। সপ্তাহের ব্যবধানে প্রায় প্রতিটি সবজিতেই কেজি প্রতি ১০ টাকা থেকে ২০ টাকা বেড়েছে। সরবরাহ কম থাকায় সবজির দাম কমছেই না দাবি সবজি বিক্রেতাদের।
সন্ধ্যা বাজারে আসাদুজ্জামান লিটন নামে এক বিক্রেতা সজনে বিক্রি করেছে কেজি প্রতি ৩৫০ টাকায়। বাজারে আর কারও কাছে সজনের দেখা মেলেনি। এরপর অস্বাভাবিক দামের তালিকায় রয়েছে শশা, আলু ও কাচা মরিচ, করলা ও কাকরোল ও আদার দাম।
নগরীর সন্ধ্যা বাজারসহ কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, লাউ প্রতি পিচ ৬০ টাকা, কেজি প্রতি চাল কুমড়া ৫০টাকা, কচুর লতি ৬০টাকা, করলা ১০০, কাকরোল ১০০, ঝিঙা ৬০, কুশি ৬০, পেঁপেঁ ৬০, শশা ১২০, বেগুন ১০০, পাতাকপি ৫০, ধুন্দল ৫০টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৪০টাকা, ঘি কাঞ্চন ৬০টাকা, পটল ৪০টাকা, ঢেরস ৫০টাকা, কাচা মরিচ ২৪০টাকা, বরজ ৩২০টাকা, উচ্চে ১২০টাকা, লাল শাক ৫০, পুঁই শাক ৪০, সজনে ৩৫০, টমেটো ১৬০, ধনে পাতা (১০০গ্রাম) ৮০টাকা, আলু ৭০টাকা, পেঁয়াজ ৯০, রসুন ২৮০ এবং আদা ৪০০ টাকা।
অপরদিকে, ব্রয়লার মুরগি কেজিপ্রতি ২০০ টাকা, কক ৩২০ ও সোনালী বিক্রি হচ্ছে ৩২০ টাকা।
সবজি বিক্রেতা সোহাগ জানান, সবজির দাম ঈদের আগেও যেমন ছিলো এখনও সেরকমই আছে। তবে মাসখানেক আগে দাম যেরকম ছিলো সেই তুলনায় এখন অনেক বেশি।
সবজি বিক্রেতা মোঃ আসাদুজ্জামান লিটন জানান, সরবরাহ কম থাকায় সবজির দাম এখন অনেক বেশি। দাম বেশি হলে আমরা কি করবো। যেমন দামে কিনি এরপর একটু লাভ রেখেই বিক্রি করি।
সবজি ক্রেতা তাহমিনা বলেন, এখন সবজি কেনাই মুশকিল হয়ে যাচ্ছে। দুই দিন আগে যে সবজি ৩০ টাকা দিয়ে কিনেছি সেটি এখন ৫০ টাকা হয়েছে। দাম এখন অস্বাভাবিক।
আরও এক ক্রেতা আব্দুর রহমান বলেন, বাজারে সবজির যে দাম, কি করবো খেতে তো হবে। কিনার দরকার তাই কিনি।