তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহারে দুর্নীতির সুযোগ কমবে
# কেসিসির অনলাইন ট্রেড লাইসেন্স প্রদান কার্যক্রমের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে মেয়র #
স্টাফ রিপোর্টারঃ জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে খুলনা সিটি কর্পোরেশনে (কেসিসি) সুশাসন প্রতিষ্ঠার নিমিত্ত অংশীজনের সভা বৃহস্পতিবার দুপুরে কেসিসি’র শহিদ আলতাফ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন সিটি মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক। অনুষ্ঠানে সিটি মেয়র কেসিসি’র অনলাইন ট্রেড লাইসেন্স প্রদান কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন। নগরবাসী ২০২৪-২০২৫ অর্থবছর থেকে ঘরে বসেই কেসিসি’র ওয়েবসাইট (www.khulnacity.gov.bd A_ev www.kcctl.gov.bd) থেকে নতুন ট্রেড লাইসেন্স ইস্যু ও নবায়ন করে নিতে পারবেন। উদ্বোধনকালে মেয়র বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০৪১ সালের মধ্যে দেশকে স্মার্ট বাংলাদেশে রূপান্তর করতে বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন। দেশে তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার বেড়েছে। অনলাইনে ভোগান্তিমুক্তভাবে সিটি কর্পোরেশনের ট্রেড লাইসেন্স প্রদানের কার্যক্রম শুরু হলো। এর মাধ্যমে অফিসে না এসেই ব্যবসায়িরা ট্রেড লাইসেন্স পাওয়ার সুযোগ পাবেন। তবে যারা অনলাইনে করা ঝামেলা মনে করবেন তারা আপাতত নগরভবনে অপলাইনে ট্রেড লাইসেন্স করতে পারবেন। এ জন্য নগরভবনের ট্রেড লাইসেন্স শাখায় থাকবে হেলপ ডেক্স। গতবছর সিটি কর্পোরেশনে অনলাইনে হোল্ডিং ট্যাক্স প্রদান কার্যক্রম চালু হয়েছে। আমরা দুর্নীতির বিরুদ্ধে সোচ্চার। তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহারে দুর্নীতির সুযোগ কমবে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, এ প্রক্রিয়ায় ট্রেড লাইসেন্স করতে আর হাতের ছোয়া লাগছে না। বাঁচবে গ্রাহকদের সময়, টাকা ও শ্রম। ঘরে বসেই ব্যবসায়ীরা করতে পারবেন ট্রেড লাইসেন্স। এতে করে ট্রেড লাইসেন্স শাখার দীর্ঘ দিনের যে দুর্নাম তা আর থাকবে না। আসবে কাজের গতিশীলতা আর স্বচ্ছতা। নগরীতে কেসিসির ২১ হাজারের বেশী ট্রেড লাইসেন্সধারী ব্যবসায়ী রয়েছেন। ট্রেড লাইসেন্স করতে একজন ব্যবসায়ী অতিরিক্ত খরচ হয় ১০ টাকার টিকিট, ৩০ টাকার আবেদন ফরম, ৫০ টাকার ট্রেড লাইসেন্স বই। অনলাইনে ট্রেড লাইসেন্স করলে ব্যবসায়ীর এসব খরচ লাগবে না। এখন ট্রেড লাইসেন্স শাখায় ১০ জন লাইসেন্স ইন্সপেক্টর রয়েছেন। অনলাইন জগতে প্রবেশ করলে অফিস রুমে ব্যবসায়ীদের সহায়তা করার জন্য প্রথম দিকে ৪/৫ জন কম্পিউটার অপারেটর থাকবেন। থাকবে হেলপ ডেক্স। তবে সভায় ৮নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর সাহিদুর রহমান সাঈদ বলেন, কেসিসির ৩১টি ওয়ার্ড সচিবকে পুরো কম্পিউটার সেট দেয়া যায় তাহলে নগরবাসী প্রতিটি ওয়ার্ড অফিসে গিয়ে অনলাইনে ট্রেড লাইসেন্স করার সুযোগটা গ্রহণ করতে পারবে। এতে করে নগরবাসী ভোগান্তি অনেকাংশে হ্রাস পাবে বলে তিনি সভায় মন্তব্য করেন। পরে একই স্থানে দুর্নীতি প্রতিরোধ সংক্রান্ত কর্মশালা এবং সিএলসিসি সভা অনুষ্ঠিত হয়। কেসিসি’র প্যানেল মেয়র-১ এস এম রফিউদ্দিন আহম্মেদ, কেসিসি’র কাউন্সিলর, সরকারি কর্মকর্তা, সাংবাদিক, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিবর্গ, এনজিও ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা সভায় অংশগ্রহণ করেন। সভায় সভাপতিত্ব করেন কেসিসি’র সচিব (অতিরিক্ত দায়িত্ব) সানজিদা বেগম। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন কেসিসির ভেটেরিনারি অফিসার ড. পেরু গোপাল বিশ্বাস। অনুষ্ঠানে শহীদ হাদিস পার্কসহ নগরীর বিভিন্ন পয়েন্টে পরিবেশ বান্ধব বৃক্ষ রোপন করা নিয়ে ব্যাপক আলোচনা হয়।