স্থানীয় সংবাদ

কয়রায় অবিরাম বর্ষনে তলিয়ে গেছে মৎস্য ঘের সহ রোপা আমনের বীজতলা

কয়রা(খুলনা)প্রতিনিধিঃ গত মঙ্গলবার দিবাগত রাত থেকে টানা ৩ দিনের বর্ষণে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে খুলনার কয়রা উপজেলার জনজীবন। স্থবির হয়ে পড়েছে সকল কার্যক্রম। নেমে এসেছে চরম দুর্ভোগ। প্রচন্ড বৃষ্টির মধ্যে দিয়ে কয়রার মানুষ স্ব স্ব মৎস্য ঘরগুলো টিকিয়ে রাখার চেষ্টা করছে। অবিরাম বৃষ্টিতে তলিয়ে গেছে প্রায় ৭ শ’ মৎস্য ঘের। নষ্ট হয়েছে চলতি আমন মৌসুমের বীজতলা ও ক্ষেতের ফসল। এ যেন এ জনপদের মানুষের উপরে মরার উপর খাড়ার গাঁ। টানা বৃষ্টিপাতের ফলে উপজেলার বিভিন্ন অঞ্চলের পুকুর, রাস্তা ঘাট ও বাড়ির আঙিনা তলিয়ে গেছে। জানা গেছে, গত ৩ দিনের টানা বৃষ্টির পানিতে ফের একাকার খাল, বিল, পুকুর, রাস্তা ঘাট ও মৎস্য ঘের। টানা বৃষ্টিপাতের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত বেঁড়িবাধ নিয়ে বন্যা আতঙ্কে পড়েছেন নদী পাড়ের মানুষ। সবচেয়ে দুর্ভোগে পড়েছে খেটে খাওয়া মানুষ। ঘরের বাইরে না যেতে পারায় তাদের সংসারে চলছে চরম দুর্ভোগ। শুধু তাই নয় যানবাহনের চালকরা পড়েছে বিপাকে। দু’চারটি যানবাহন বের করা হলেও বেড়েছে ভাড়ার পরিমাণ, ফলে দ্বিগুণ ভাড়া গুনতে হচ্ছে যাত্রীদের। ব্যবসায়ীদের মিলছে না তেমন ক্রেতা। অলস সময় পার করছেন ইজিবাইক, ভ্যান ও অটো চালকরা। উপজেলা কৃষি অফিসের উপ-সহকারী কৃষি অফিসার অনুতব সরকার বলেন, অতি বর্ষনে কয়রার কৃষকদের বীজতলা ডুবে গেছে। তবে তা টিকিয়ে রাখতে বিভিন্ন পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। কয়রা সদর ইউনিয়নের ৮নং ওর্য়াডের ইউপি সদস্য সরদার নাজমুল ছাদাত, বলেন, কয়রার অধিকাংশ স্লুইস গেইটগুলো অকেজো হয়ে যাওয়ায় পানি নিষ্কাশনের কাজে বাঁধাগ্রস্ত স্লুুইস গেইটগুলো সংস্কার করা দরকার।এ দিকে টানা বৃষ্টিতে খেটে খাওয়া নিম্ন আয়ের মানুষ কাজে যেতে না পারায় পরিবার পরিজন নিয়ে দু’চিন্তায় দিন কাটাচ্ছে। কয়রার ভ্যান চালক আঃ জলিল হাওলাদার বলেন, বৃষ্টির কারণে রাস্তা ঘাটে মানুষ নেই। ভ্যান চালিয়ে তাকে জীবিকা নির্বাহ করতে হয়। মানুষ না থাকায় চরম বিপাকে পড়েছেন তিনিসহ শত শত ভ্যানচালক। তাদের একমাত্র আয়ের উৎসই হচ্ছে ভ্যান চালানো। উপজেলা মৎস্য অফিসার অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত সৈকত মল্লিক বলেন, কয়রায় কয়েক দিনের টানা বর্ষণে প্রায় ৭ শ’ মৎস্য ঘের তলিয়ে গেছে। মৎস্য চাষিদের মাছ টিকিয়ে রাখতে বিভিন্ন পরামর্শ দেয়া হচ্ছে।

 

সংশ্লিষ্ট সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button