খুলনা বিভাগীয় ট্রাক শ্রমিক ইউনিয়ন শ্রমিকদের সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত

# প্রহসনমূলক কারচুপির নির্বাচন ও অবৈধ কমিটি বাতিল করে পুরাতন কমিটি বহাল রেখে পুনঃ নির্বাচনের দাবি
# একই সাথে শ্রমপরিচালক মিজানুর রহমানের অপসারনের দাবী
স্টাফ রিপোর্টার ঃ প্রহসনমূলক কারচুপির নির্বাচন ও অবৈধ কমিটি বাতিল করে পুরাতন কমিটি বহাল রেখে অতিদ্রুত পুনরায় নির্বাচন এবং একই সাথে শ্রম পরিচালক ও রেজিষ্টার অব ট্রেড ইউনিয়ন মিজানুর রহমানের অপসারনের দাবীতে খুলনা ট্রাক শ্রমিক ইউনিয়নের শ্রমিকদের সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন খুলনা বিভাগীয় ট্রাক শ্রমিক ইউনিয়নের সদস্য মোঃ হালিম হাওলাদার।
লিখিত বক্তব্য্য পাঠ কালে তিনি জানান, আপনারা নিশ্চই অবগত আছেন গত ১ জুন খুলনা বিভাগীয় ট্রাক শ্রমিক ইউনিয়ন(রেজিঃ নং ৬২২) এর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। নির্বাচন পরিচালনা কমিটি আর এর মাষ্টার মাইন্ড হল খুলনার শ্রম পরিচালক ও রেজিষ্টার অব ট্রেড ইউনিয়নস মিজানুর রহমান। এরা সম্মিলিতভাবে লুটেরা ও কালো টাকার মালিকদের নিকট থেকে বিপুল অংকের টাকা ঘুষ খেয়ে একটি প্রহসনমূলক কারচুপি পুন:নির্বাচন অনুষ্ঠান করেছে। খুলনা বিভাগীয় ট্রাক শ্রমিক ইউনিয়নের গত ১ জুন নির্বাচনে কিছু লুটেরা ও অবৈধ টাকার মালিক প্রার্থী হয়ে ব্যাপক কালো টাকা ছড়িয়ে সোনাডাঙ্গা ও আশপাশের এলাকা প্রায় ১৫০০ শ্রমিককে জনপ্রতি ৫০০০ টাকা দিয়ে তাদের পরিচয় পত্র বা ইউনিয়নের ভোটার কাড জমা নিয়ে নির্বাচনের দিন অন্য লোক দিয়ে ভোট প্রদান করিয়াছে। নির্বাচন পরিচালনা কমিটিকে বার বার অনুরোধ করা সত্তেও তারা সেদিকে ব্যবস্থা নেয়নি। সাধারন প্রার্থীগন পেশি শক্তির কাছে অসহায় হয়ে পরেছিল। তাছাড়া কয়রা, পাইকগাছা, কপিলমুনি চুকনগর ও ডুমুরিয়া হতে ভোটারদেরকে কালো টাকা দিয়ে লাক্সারী আবাসিক হোটেলে রেখে মদসহ অসামাজিক কর্মকান্ডের সুযোগ সুবিধা দিয়ে নির্বাচনকে প্রভাবিত করেছে।
তিনি আরও জানান, স্বৈরাচারের দোসরবৃন্দ এসব করেই ক্ষান্ত হননি, ভোট শেষে ভোটকেন্দ্রে ভোট গননায় অনেক প্রার্থী বিজয়ী হওয়ার পরেও জেডিএলঅফিসে পুনরায় ভোট গননায় বিভিন্ন পরাজিত প্রার্থীর নিকট হতে বিপুল অংকের টাকা ঘুষ গ্রহন করে বিজয়ী প্রার্থীকে পরাজিত ঘোষনা করে পরাজিত প্রার্থীকে বিজয়ী ঘোষনা করা হয়। সভাপতি প্রার্থী কাজী মোঃ সরোয়ার হোসেন এবং কোষাধক্ষ্য প্রার্থী মোঃ মনিরুল আলম এর বিরুদ্ধে খুলনা শ্রম আদালতে ইউনিয়নের ২ কোটি ৮ লক্ষ ৪৭ হাজার টাকা আত্মসাতের মামলা নং ১৮/২০২৩ থাকা সত্তেও শ্রম পরিচালক মিজানুর রহমান বেআইনীভাবে তাদেরকে নির্বাচনে অংশগ্রহনের সুযোগ করে দেয়। তাছাড়া তারা ইউনিয়নের বিশাল তহবিল অপব্যবহারের সাথে জড়িত থাকা সত্তেও কিভাবে নির্বাচনে অংশ গ্রহন করতে পারল সে ব্যাপারে কারন দর্শাইয়া মহামান্য হাইকোর্টে একটি রিট পিটিশন করা আছে যার নম্বর ৭৯৮১/২০২৪।
এইসব কারনে এই প্রহসনমূলক ও কারচুপির নির্বাচন খুলনা বিভাগীয় ট্রাক শ্রমিক ইউনিয়নের শ্রমিকগন মানে না। তাই এই প্রহসনমূলক কারচুপিরর নির্বাচন ও অবৈধ কমিটি বাতিল করে পুরাতন কমিটি বহাল করে অতিদ্রুত পুনরায় নিরবাচনের দাবি জানাচ্ছে একই সাথে শ্রম পরিচালক ও রেজিষ্টার অব ট্রেড ইউনিয়ন মিজানুর রহমান এর অপসারন দাবী করছে অন্যথায় যে কোন সময় শ্রমিক বিক্ষোভ দেখা দিয়ে পরিবহন সেক্টরে অচলাবস্থা সৃষ্টি হতে পারে।