কমেছে মাছ সবজির দাম : কমেনি মাংসের দাম

আড়তে নেই সিন্ডিকেট
শেখ ফেরদৌস রহমান ঃ দেশের চলমান সংকট কাটিয়ে কমতে শুরু করেছে মাছ ও সবজির দাম।কমেনি মাংসের বাজার। এছাড়া আড়তে আগের মত নেই কোন সিন্ডিকেট ব্যাবসায়ি এমনটি বলছেন খুছরা ব্যাবসায়িরা। গতকাল বৃহস্পতিবার নগরীর বিভিন্ন বাজার ঘরে দেখা গেছে আগের তুলনায় পত্যেকটি সবজির দাম কমেছে।তবে, কাচা ঝাল ও বেগুনের দাম কিছুটা বেড়েছে। পেপে বিক্রি হচ্ছে ৪০যা আগে ছিল ৬০ টাকা কেজি পটল আগের মত ৪০ টাকা প্রতি কেজি, বেগুন ৮০ টাকা দাম বেড়েছে প্রতি কেজিতে ১৫ থেকে ২০ টাকা করে।কচুর মুই ৬০ টাকা প্রতি কেজি।এছাড়া লাউ প্রতি পিস ৩০ থেকে ৪০ টাকা, কাকরল ৪০ টাকা প্রতি কেজি,পুই শাক ২০ টাকা কেজি, আগের দামে বিক্রি হচ্ছে আলু প্রতি কেজি ৬০ টাকা দরে।পেয়াজ ও আগের দামে ১২০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে রসুন ২২০ টাকা থেকে ২৪০ দরে বিক্রি হচ্ছে। এ বিষয়ে কথা হয় খুছরা বিক্রেতা আব্দুল কুদ্দুসের সাথে তিনি বলেন, ভাই আগের তুলনায় সব ধরনের সবজির দাম কমতে শুরু করেছে। আগে যেমন আড়তে একটি বিশেষ সিন্ডকেট চোখে পড়ত এখন দেখা যায় না।এখন আড়ৎ খরছ দেয়া লাগে কেজি প্রতি ১ টাকা এছাড়া প্রতি গাড়ী জন্য সিটি কর্পেরেশনে ১০ টাকা করে খরছ। সব মিলিয়ে দাম কম বলতে পারেন সবজির বাজার। তবে কাছাঝালের দাম বাড়তী থাকার কারণ হলো গেলো কয়েকদিন যাবৎ প্রচুর বৃষ্টিপাত হয়েছে এতে করে ঝালের গাছ গুলো মারাত্মক ক্ষতি হয়েছে। তবে বৃষ্টিপাত হলে আবার ও কমবে দাম।এছাড়া মাছের বাজার কিছুটা কমেছে আকার ভেদে রুই মাছ বিক্রি হচ্ছে ২শ টাকা থেকে ২৮০ দরে, ইলিশ ছোট সাই ৪শ টাকা কেচি, তবে বড় সাইজের গুলো আকার ভেদে ১২শ থেকে ১৫শ টাকা দরে, চিংড়ি মাছ ৬৫০ টাকা থেকে ৭শ টাকা কেজি দরে,পাঙ্গাস মাছ ১৫০ টাকা কেজি, নদীর ভাঙ্গ ২৫০ টাকা থেকে ৩শ টাকা পযন্ত।এছাড়া চাষের কৈ ২০০ টাকা কেজি,দেশীয় মাছ শৈল ৪৫০ টাকা থেকে ৬০০ টাকা। চাষের শিং ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা কেজি,তাতলা মাছ ২৫০ থেকে ৩৫০ টাকা প্রতি কেজ্ িএছাড়া মাংসের দাম কিছুটা বেড়েছে ২২০ টাকার কেজি ব্রয়লার মুরগীর দাম ২৭০ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে, সোনালী ২৫০ টাকা, লেয়ার ৩৬০ টাকা। এবিষয়ে খালিশপুর সুপার মার্কেটের মুরগী ব্যাবসায়ি মোঃ আলম বলেন, গরু ও খাসির দাম আগের মত কমেনি বা বাড়েনি। তবে গেল কয়েকদিনে তুলনায় ও বৃষ্টিপাতের কারণে মুরগীর দাম কেজি প্রতি ৩০ থেকে ৫০ বেড়েছে।এ বিষয়ে কথা হয় ক্রেতা মোঃ আরাফাত হোসেন মিম, এর সাথে তিনি বলেন, পাইকাড়ী আড়ৎ থেকে সব ধরনের সিন্ডিকেট ও পরিবহণ চাদা না দিলে নিত্য পন্য সবজির বাজার আরও কমবে। বর্তমান যে পরিস্থিতি তার তুলনায় সবজি ও মাছে বাজারে দাম নি¤œ ও মধ্য আয়ের মানুষের নাগালে আছে। আশা করি দ্রুত সব কিছ নিয়ন্ত্রণে আসবে।এমনিতে দেশের পরিস্থিতি কিছুটা আগোছালো আছে সেই তুলনায় বাজার সাধারণ মানুষের নাগালে।