খুলনায় মামলা করে নিরাপত্তা হীনতায় ভুগছেন ভুক্তভোগীরা

স্টাফ রিপোর্টার ঃ নগরীর বৈকালী ফকিরবাড়ি ২৮৮নং বাড়ীর বাসিন্দা মোঃ নয়নের কাছে গত ২৩শে জুলাই ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে সন্ত্রাসীরা। এসময় চাঁদা দিতে অস্বীকার করায় ভুক্তভোগী নয়নকে ভয়-ভীতি ও প্রাণনাশের হুমকি দেয়। এবং পরের দিন ২৪ জুলাই রাত সাড়ে নয়টার দিকে পথিমধ্যে গতিরোধ করে রাকিব ও তার সন্ত্রাসী বাহিনীর ১০-১২ জন সদস্য দেশীয় অস্ত্র নিয়ে নয়নের উপর হামলা করলে আশপাশের লোকজনের ডাক চিৎকারে সন্ত্রাসী রাকিব ও তার বাহিনীরা বোমা ফাটিয়ে পালিয়ে যায়। এঘটনায় গত ২৬ শে জুলাই খালিশপুর থানায় ৯জনকে আসামি করে একটি হত্যা চেষ্টা মামলা রুজু করেন যার মামলা নং ৩২। এদিকে, বেপরোয়া রাকিব হোসেন বৈকালীস্থ আদ্-দীন হাসপাতালে দূর দূরান্ত থেকে চিকিৎসা নিতে আসা লোকদেরকে জিম্মি করে চাঁদাবাজির ঘটনা এবং হাসপাতাল অভ্যন্তরে মাদক সেবনসহ অপকর্মে বাধা দেওয়ায় প্রাণনাশের হুমকিতে হাসপাতালে কর্মরত মহা ব্যবস্থাপক মোঃ হোসেন আলীর অভিযোগের ভিত্তিতে খালিশপুর থানায় গত ১২ই মার্চ ২০২৪ একটি মামলা করেন যার নং ১৫। সূত্রে জানা গেছে, যখন যে দল আসে সে দলের নাম ভাঙিয়ে সুবিধাবাদী ৯নং ওয়ার্ডের জাকির হোসেনের বিরুদ্ধে খুলনা কেন্দ্রীয় খাদ্য গুদামে সিএসডি এর শ্রমিক নেতা নাজেম সরদার হত্যা সহ অন্তত দশটি মামলা রয়েছে। অপরদিকে তার ছেলে রাকিব হোসেনের বিরুদ্ধে ডিউটিরত পুলিশের উপর হামলাসহ বিভিন্ন থানায় রয়েছে একাধিক মামলা, সাধারণ ডায়রি ও অভিযোগ। জাকির ও তার পুত্র রাকিব বিভিন্ন সময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে আটক হয়ে জেল হাজতে গেলেও সপ্তাহ খানেকের মধ্যে জামিনে মুক্ত হয়ে আসে। এবং মামলার বাদীদের মামলা তুলে নিতে হুমকি দিয়ে থাকে। যে কারণে চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে মামলার বাদীরা। বর্তমানে নিরপেক্ষ নির্দলীয় প্রশাসনের কাছে বৈকালী ও এর আশপাশ এলাকার সাধারণ মানুষ সন্ত্রাসী জাকির ও তার ছেলে রাকিব এর অত্যাচার থেকে রেহাই পেতে তাদের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।