রূপসায় ইউনিয়ন পরিষদসহ বাড়িঘর ভাংচুর লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের আরও খবর

স্টাফ রিপোর্টার : (৫ আগষ্ট) আওয়ামীলীগ সরকার পতনের পর রূপসা উপজেলার বিভিন্ন এলাকার অনেক পরিবারের ঘর-বাড়ি, যায়গা জমি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, বাড়িঘর ভাংচুর লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের আরও ঘটনা উঠে এসেছে। যার ফলে সুযোগ সন্ধানী একটি মহল এসব অপৃতিকর ঘটনা ঘটিয়েছে। উপজেলার ১নং আইচগাতী ইউনিয়ন পরিষদ সাধারণ জনগণের সম্পদ চিহ্নিত সন্ত্রাসীরা ধ্বংস করে আগুন ধরিয়ে দেয়। এমনকি এ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আশরাফুজ্জামান বাবুলের বাড়িও লুটপাট করে এবং ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়। সেই সাথে তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভাংচুর করে। একই ইউনিয়নের আইচগাতী এলাকায় মো. মারুফের বাড়ি ভাংচুর সহ লুটপাট করে আগুন জ্বালিয়ে দেওয়া হয়। নৈহাটী ইউনিয়নের ইলাইপুর ইউপি সদস্য কামরুজ্জামান সোহেলের বাড়ি ভাংচুর লুটপাট ও আগুন জ্বালিয়ে দেওয়া হয়। সেই সাথে তার মোটরসাইকেলও আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দেওয়া হয়। পূর্ব রূপসাস্থ একটেল টাওয়া মেইন সড়কের পাশে আবু তাহেরের বাড়ি ভাংচুর ও লুটপাট করে। রুপালী সীফুডস্থ মেইন সড়কের পাশে মফিজুল ইসলামের গরু ও ছাগলের ফার্মে প্রবেশ করে ৫’টি মোটর সহ বিভিন্ন ধরনের দামি মালামাল লুট করে নিয়ে যায় এবং চেয়ার ভাংচুর করে। আব্দুল রবের মোড়ে মো. মোস্তফা শেখের সার ও গবাদিপশুর সারের দোকান ভেঙ্গে নগদ টাকা সহ বিপুল পরিমান সার এবং দামি বিভিন্ন মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। মুস্তাফিজুর রহমান মোস্তাকের জাবুসা বিলের মৎস্য ঘেরের গলদা-বাগদা ও সাদা মাছ মেরে নেয়। নিউ সীফুড মাছ কোম্পানি রোড এলাকায় আবু হুরাইয়ের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভাংচুর ও লুটপাট করেছে। কাজদিয়ায় জিন্নাহ গাজীর বাড়িঘর ও পানির ট্যাংকি ভাংচুর করে। ইলাইপুর ডাচ বাংলা এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট ভাঙচুর করে লুট করার অভিযোগ উঠেছে। দলিল উদ্দিন সড়কের মাথায় মনিরুল ইসলাম হাতেমের বাড়ির দোতলা নিচ তলার জানালা, হোমিওপ্যাথিক চেম্বার ভেঙে জালিয়ে দিয়েছে। ২’টি মোটরসাইকেল আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দেয় এবং বিভিন্ন মালামাল ভাংচুর করে। সিংহের চরে ইউপি সদস্য আকলিমা খাতুন তুলি বাড়ি, হারুন অর রশিদের বাড়ি, আলমগীরের বাড়ি, মাসুম চৌদুরীর বাড়ি, জাকির ডুবুরীর বাড়ি ভাংচুর ও লুটপাট, শাজাহানের ডক বন্ধ, সোহেল সাহেবের ডক লুটপাট, চর মোছাব্বার পুরের ড্রেজার মাসুমের বাড়ি ভাংচুর ও মহিলাদের মারধর, শহীদের বাড়ি ভাংচুর, পাারভেজের বাড়ি ভাংচুর লুটপাট করা হয়। এছাড়া রূপসা উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় এধরনের কর্মকা- অনেক ঘটার অভিযোগ রয়েছে। যার কারনে এলাকার সাধারণ মানুষ আতংকে রয়েছে।