স্থানীয় সংবাদ

সফলতার মুখ দেখছে গ্রীষ্মকালীন টমেটো

কৃষি প্রশিক্ষন ইনষ্টিটিউটের পতিত জমিতে প্রর্দশনী ক্ষেত
চাষাবাদটি ছাত্র-ছাত্রীদের ব্যবহারিক পাঠদানে সহায়ক ভূমিকা রাখছে

মো. আশিকুর রহমান ঃ নগরীর দৌলতপুর কৃষি প্রশিক্ষন ইনষ্টিটিউটের পতিত জমিতে গোপালগঞ্জ, খুলনা, বাগেরহাট, সাতক্ষীরা ও পিরোজপুর কৃষি উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় মেট্রোপলিটন কৃষি অফিসের সার্বিক সহয়তায় এবং এটিআই’র উপ-সহকারী প্রশিক্ষক মো. হাফিজুর রহমানের সার্বিক তত্ত্ববধায়নে চাষাবাদ করা হচ্ছে বাংলাদেশ কৃষি গবেষনা ইনষ্টিটিউট উদ্ভাবিত বারি-৮ জাতের গ্রীষ্মকালীন টমেটো। প্রর্দশনী এই ক্ষেতটিটে গ্রীম্মকালীন টমেটোর চাষবাদটি দারুন সফলতার মুখ দেখতে চলেছে। অন্যদিনে, পরীক্ষামূলক এই চাষাবাদটি অত্র ইনষ্টিটিউটের ছাত্র-ছাত্রীদের ব্যবহারিক পাঠাদানে দারুন সহায়ক ভূমিকা রাখছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, অল্প পরিসরে পরীক্ষামূলক এই গ্রীষ্মকালীন টমেটোর চাষাবাদটি ইতোমধ্যে সফলতার মুখ দেখতে শুরু করেছে। পরবর্তীতে বৃহৎ পরিসরে এই চাষাবাদ করার উদ্যোগ গ্রহন করা হবে।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, গ্রীষ্মকালীন টমেটো মূলত একটি অফ-সিজিনাল সবজির চাষাবাদ। সাধারনত এই টমেটো চাষের জন্য উপযুক্ত মাটি হলো বেলে দো-আঁশ। তবে এটেল দো-আঁশ মাটিতেও চাষাবাদ করা সম্ভব। কিন্তু লবণাক্ত মাটি গ্রীষ্মকালীন টমেটো চাষের জন্য উপযুক্ত নয়। অত্র ইনষ্টিটিউটের পতিত জমিতে পরীক্ষা মূলক ভাবে বারি-৮ জাতের গ্রীষ্মকালীন টমেটোর চাষাবাদ শুরু করা হয়েছে। গত ১৫ জুন ৩০০’শ টির অধিক টমেটোর চারা বপণ করা হয়েছে। চারা বপণের পূর্বে মাটিতে সার প্রয়োগ করে বেড তৈরী করা হয়েছে। গ্রীষ্মকালীন টমেটোর বীজ সাধারনত মে-জুন মাসে বপণ করতে হয়। বীজ বপণের পর চারা দৃশ্যমান হলে চারাকে পচনের হাত হতে রক্ষা করতে কীটনাশক ও ছত্রাকনাশক প্রয়োগ করা হয়। জাতের সাথে সমন্বয় রাখতে অতিমাত্রায় তাপ রোধ ও ঝড় বৃষ্টি হতে চারাকে রক্ষা করতে প্লাস্টিকের ছাউনি ব্যবহার করা হয়েছে। চারা রোপনের ৪০/৪৫ দিনের মধ্যে গাছে ফল আসা শুরু করে। গাছে ফুল আসা শুরু করলে ফুল ও ফলের স্থায়ীত্বকরণের জন্য ‘জোয়ার’ নামক হরমোন প্রয়োগ করা হয়।
বর্তমানে রোপনকৃত গ্রীষ্মকালীন টমেটো গাছের উচ্চতা ৩ ফুট ছাড়িয়ে গেছে এবং গাছে অসংখ্যক টমেটো দৃশ্যমান। চারা বপনের দিন হতে এবং ৬০/৬৫ দিন পর গাছ হতে পরিপক্ক ফল পাওয়া যায়। প্রতিটি গোলাকার ফলের ওজন ৮০/৯০ গ্রাম হয়ে থাকে। গ্রীষ্মকালীন এই টমেটোর বানিজ্যিক ভাবে ব্যাপক কদর হয়েছে। ইতোমধ্যে সফলতার মুখ দেখতে শুরু করেছে এটিআইতে পরীক্ষামূলক ভাবে চাষাবাদকৃত প্রর্দশনী ক্ষেতের গ্রীষ্মকালীন টমেটো।
কৃষক হারুন ভূঁইয়া জানান, স্যারদের সহযোগীতায় এটিআই’র পতিত জমিতে গ্রীষ্মকালীন টমেটোর চাষাবাদ করা হচ্ছে। চারা বপণের পর ইতোমধ্যে গাছে ব্যাপক আকারে ফলের সমাহার ঘটেছে। নিয়মিত ক্ষেতের পরিচর্চা করি, আগাছা পরিষ্কার করি।
কৃষি প্রশিক্ষন ইনষ্টিটিউটের উপ-সহকারী প্রশিক্ষক মো. হাফিজুর রহমান জানান, এটিআই’র পতিত জমিতে গোপালগঞ্জ, খুলনা, বাগেরহাট, সাতক্ষীরা ও পিরোজপুর কৃষি উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় দৌলতপুর মেট্রোপলিটন কৃষি অফিসের সার্বিক সহয়তায় প্রর্দশনী প্লটের মাধ্যমে চাষাবাদ করা হচ্ছে বাংলাদেশ কৃষি গবেষনা ইনষ্টিটিউট উদ্ভাবিত বারি-৮ জাতের গ্রীষ্মকালীন টমেটো। পরীক্ষা মূলক প্রর্দশনী এই ক্ষেতটিতে গ্রীম্মকালীন টমেটোর চাষবাদটি দারুন সফলতার মুখ দেখতে চলেছে। অন্যদিনে, পরীক্ষামূলক এই চাষাবাদটি অত্র ইনষ্টিটিউটের ছাত্র-ছাত্রীদের ব্যবহারিক পাঠাদানে দারুন সহায়ক ভূমিকা রাখছে। আশাবাদি, পরীক্ষা মূলক প্রর্দশনী এই ক্ষেতটিতে গ্রীম্মকালীন টমেটোর চাষবাদটি যে ভাবে সফলতার মুখ দেখাচ্ছে, আগামী দিনে বৃহৎ পরিসরে ও বানিজ্যিকভাবে গ্রীষ্মকালীন এই টমেটোর চাষাবাদ করা হবে।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button