বাজার কমিটির সভাপতি কায়েম করেছেন ত্রাস ও চাদাঁবাজির রাজত্ব

দীর্ঘদিন বৈকালী জংশন বাজারের নির্বাচন হয় না
স্টাফ রিপোর্টার ঃ দীর্ঘদিন বৈকালী জংশন বাজারের নির্বাচন না হওয়ায় সাধারণ ব্যবসায়ীদের মাঝে ক্ষোভ বিরাজ করছে। অনিয়ম আর দূর্নীতির বেড়াজালে আটকে থাকা বর্তমান কমিটি ক্ষমতার দাপট আর অবৈধ অর্থের প্রভাব খাটিয়ে দীর্ঘ ১০ বছর জোরপূর্বক চাঁদাবাজি করছে। অভিযোগ উঠেছে দীর্ঘদিন নির্বাচনবিহীন কমিটির দায়িত্বে থাকা নগরীর বৈকালী জংশন বাজার কমিটির সভাপতি মোঃ জাকির হোসেন এসবের মূল হোতা। সূত্রে জানা গেছে, প্রতি ২ বছর পর পর নির্বাচনের মাধ্যমে কমিটি গঠনের নিয়ম থাকলেও জাকির হোসেন তার সন্ত্রাসী কর্মকান্ড আর ভয় ভীতি দেখিয়ে বিগত ১০ বছর যাবত বৈকালী বাজারের সভাপতির পদটি কুক্ষিগত করে রেখেছেন। যে কারণে বাজারের সাধারণ ব্যবসায়ীদের মধ্যে তৈরি হয়েছে বিরুপ প্রতিক্রিয়া। তারা জানান ৩৩৬ জন স্থায়ী এবং ১০০ জন অস্থায়ী, পাশাপাশি ৮৬ জন মাছ দোকানী প্রতিদিন ত্রিশ টাকা ও ১৫ টাকা হারে চাঁদা দিয়ে আসলেও দীর্ঘদিন যাবত বাজারের কোন উন্নয়ন না করে জাকির হোসেন এসব টাকা হাতিয়ে নেয়। বিভিন্ন সময়ে বাজারের মাছ ব্যবসায়ী জাহাঙ্গীর, গণি মিয়া, কাঁচামাল ব্যবসায়ী হেলালের ছেলে, মানিক, বাদলকে মারধর ও লাঞ্ছিত এমনকি জোরপূর্বক বারেক এর দোকান থেকে মাছ নিয়ে যায় জাকিরের সন্ত্রাসী পুত্র রাকিব যা তৎক্ষণাৎ পুলিশের হস্তক্ষেপেও তোয়াক্কা করেনি রাকিব। কমিটির নির্বাচনের জন্য কথা বললে জাকির হোসেনের পুত্র রাকিব ঐসব ব্যবসায়ীদের হুমকি দেয়। সাধারণ দোকানীরা জানান, প্রতিদিন নির্দিষ্ট হারে টাকা জমা দিলেও বাজারের অবকাঠামোগত কোন উন্নয়নই করা হয় না । অবহেলিত এই বাজারের সমস্যার সমাধানকল্পে কোন প্রকার সার্বিক সহযোগিতায় কমিটির সভাপতি জাকির হোসেন এর কাছে গেলে তিনি পক্ষপাত মূলক আচরণ করেন। যে কারণে কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও দু-তিন জন সদস্য ইস্তফা দিয়ে কমিটি থেকে স্বেচ্ছায় অব্যাহতি নিয়েছেন। যে কারণে বাজারের সাধারণ ব্যবসায়ীরা অনতিবিলম্বে বাজার কমিটির নির্বাচনের জন্য প্রশাসনের কাছে অনুরোধ জানান।