ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে এক মাদ্রাসা ছাত্রীকে প্রতিবেশী চাচা কর্তৃক ধর্ষণ

২৪ঘন্টার মধ্যে র্যাবের অভিযানে গ্রেফতার হলো ধর্ষক
স্টাফ রিপোর্টার ঃ ঝিনাইদহ জেলার কালীগঞ্জ থানাধীন বিষয়খালী থেকে ১৫ বছর বয়সী এক মাদ্রাসা ছাত্রীকে ধর্ষণ মামলার পলাতক আসামী প্রতিবেশী চাচা সোহেল হোসেন(৩০) কে ২৪ ঘন্টার মধ্যে গ্রেফতার করেছে র্যাব-৬। ধর্ষক সোহেল ঝিনাইদহ কালীগঞ্জের বারপাখিয়া গ্রামের আব্দুল খালেকের ছেলে। গত ১৫মার্চ সকাল সাড়ে ৭টায় কালীগঞ্জ থানাধীন বারপাখিয়া গ্রামে এ ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। র্যাব ৬ সূত্র জানায়, আসামী এবং ভিকটিমের বাড়ি পাশাপাশি অবস্থিত এবং সম্পর্কে ভিকটিমের প্রতিবেশী চাচা। গত ১৫ মার্চ সকাল আনুমানিক ৭টা৩০ মিনিটে ভিকটিম কালীগঞ্জ থানাধীন বারপাখিয়া গ্রামস্থ বেগবতী নদীতে মাছ ধরতে গেলে ১নং আসামীর সাথে দেখা হলে ১নং আসামী সোহেল হোসেন ভিকটিমকে একা পেয়ে জোরপুর্বক পার্শ্ববর্তী জনৈক মোঃ আঃ সবুরের বাঁশ বাগানের মধ্যে নিয়ে মুখ চেপে ধরে ইচ্ছার বিরুদ্ধে ধর্ষণ করে। ভিকটিম ১৭আগস্ট অসুস্থ হয়ে পড়লে ভিকটিমের মাতা ভিকটিমকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার পরীক্ষা নিরীক্ষা করিয়া জানায় ভিকটিম ৫মাসের অন্তঃসত্ত্বা। পরবর্তীতে ভিকটিমের মাতা সাক্ষীদের সম্মুখে ভিকটিমকে জিজ্ঞাসাবাদে সে জানায় আসামী মোঃ সোহেল হোসেন তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে ধর্ষন করেছে। ভিকটিমের পিতা বাদী হয়ে গত ১৯আগষ্ট ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করে। র্যাব-৬ এর আভিযানিক দল বিষয়টি জানতে পেরে ছায়া তদন্ত শুরু করে এবং উক্ত আসামীকে গ্রেফতারের লক্ষ্যে অভিযান অব্যাহত রাখে। এরই ধারাবাহিকতায় ১৯আগষ্ট র্যাব-৬, ঝিনাইদহ ক্যাম্পের একটি চৌকস আভিযানিক দল গোপন সংবাদের মাধ্যমে জানতে পারে যে, উক্ত ধর্ষণ মামলার পলাতক আসামী ঝিনাইদহ জেলার কালীগঞ্জ থানাধীন বারপাখিয়া এলাকায় আত্মগোপন করে আছে। প্রাপ্ত সংবাদের ভিত্তিতে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের উদ্দেশ্যে আভিযানিক দলটি একই ৫টায় ঝিনাইদহ জেলার কালীগঞ্জ থানাধীন বারপাখিয়া এলাকায় একটি বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে উক্ত ধর্ষন মামলার প্রধান পলাতক আসামী মোঃ সোহেলকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃত আসামীকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে উক্ত ঘটনার সাথে তার সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করে। গ্রেফতারকৃত আসামীকে ঝিনাইদহ জেলার কালীগঞ্জ থানায় হস্থান্তর করা হয়।


