স্থানীয় সংবাদ

আরেক অর্জন ঃ নিয়ন্ত্রিত হতে যাচ্ছে দ্রব্য মূল্য

# কাজী আবেদ হোসেন, যুগ্মসচিব ও সদস্য (অর্থ) মবক, মোংলা #
# উদ্ভাবনকৃত দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণের মডেল অনুমোদনের জন্য মন্ত্রণালয়ে প্রক্রিয়াধীন #

দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণের মডেল উদ্ভাবন হয়েছে। সরকারের অনুমোদনের জন্য তা এখন মন্ত্রণালয়ে প্রক্রিয়াধীন আছে। মোংলা বন্দরের সদস্য কাজী আবেদ হোসেন (যুগ্মসচিব) এ মডেল দেন। তিনি ২০০৩ সালে বান্দারবানের পর্যটন স্পট নীলাচলের আবিস্কারক। তিনি প্রজননের সময় ইলিশ মাছ না ধরার মডেল সৃষ্টি করেন এবং ২টি উপজেলায় ৫বছর এ মডেল বাস্তবায়ন করে ২০০৯ সালে জাতীয় স্বর্ণপদক পান। এ মডেল ২০১১ থেকে সারাদেশে প্রতিষ্ঠিত ও চলমান। দ্রব্য মূল্য নিয়ন্ত্রণের মডেলটিতে সরকারের অর্থ ব্যয় হবে না, অতিরিক্ত জনবলের প্রয়োজন নেই। তাৎক্ষণিক বাস্তবায়ন সম্ভব। রূপরেখা সংক্ষেপে তুলে ধরা হয়েছে। সেগুলো হচ্ছে, ২টি কমিটি হবে ১) আবু-সাঈদ কমিটি ঃ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাগণ ও উপজেলার প্রতিটি হাটের সভাপতি ও সেক্রেটারি সদস্য হবেন; ২) মুগ্ধ কমিটি ঃ উপজেলা প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। বাস্তবায়ন পদ্ধতি ঃ ক) নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের তালিকা হবে ;
খ) কর্মকর্তা/কর্মচারিদের রুটিন করে দায়িত্ব দেয়া হবে। গ্রামের হাট থেকে মৌলিক মূল্য সংগ্রহ করবেন তারা; গ) প্রতিটি পণ্যের গড়মূল্যের উপর “আবু-সাঈদ কমিটি” উপজেলার মূল্য নির্ধারণ করবে, উপজেলার বাজারের সভাপতি সেক্রেটারির উপস্থিতিতে মূল্য নির্ধারিত হবে বিধায় বিক্রেতারা আশ^স্ত থাকবেন। ঘ) উপজেলার বাজারের দৃশ্যমান স্থানে সাইন বোর্ডে মূল্য তালিকা ২৪ ঘন্টা প্রদর্শিত হবে। বিক্রেতাকে অবশ্যই তার পণ্যের সরকারি দর সাইনবোর্ডে দেখে বাজারে বিক্রি করতে হবে। যেমন- টমেটো ১৭ টাকা থেকে ২১ টাকা। চ) সিভিল পোষাকে “মুগ্ধ কমিটির” সদস্যরা বাজারে বিচ্ছিন্নভাবে লক্ষ্য রাখবেন। ব্যত্যয় হলে মোবাইল কোর্ট। নিয়ন্ত্রিত হবে ৪৮৫ টি বা সকল উপজেলায় দ্রব্য মূল্য জেলা ও বিভাগ ঃ ক) জেলা ও বা বিভাগীয় শহরকে কয়েকটি অঞ্চলে ভাগ করতে হবে। খ) ইউএনও সরকারি মূল্য তালিকা ই-মেইলে জেলা প্রশাসক বরাবর পাঠাবেন; গ) গড় মূল্যের উপর আবু-সাঈদ কমিটি জেলার বা বিভাগীয় শহরের মূল্য নির্ধারণ করবে বাজারের সভাপতি সেক্রেটারিদের উপস্থিতিতে। ঘ) উপজেলার বাস্তবায়ন পদ্ধতিতে জেলায় নিয়ন্ত্রণ হবে। নিয়ন্ত্রিত হবে ৬৪ জেলা ও বিভাগীয় শহরে দ্রব্য মূল্য ঢাকা ও চট্টগ্রাম ঃ ক) অনেকগুলি অঞ্চলে বিভক্ত হবে বাজারগুলি; খ) দেশের জেলার মূল্যের উপর গড়মূল্য হবে; গ) পরিবহন ও লাভ বিবেচনায় “আবু-সাঈদ কমিটি” মূল্য নির্ধারণ করবে বাজারের সভাপতি-সেক্রেটারিগণের উপস্থিতি; ঘ) প্রয়োজনে সিটি কর্পোরেশনের ও জেলা প্রশাসনের মধ্যে সমন্বয় হবে। নিয়ন্ত্রিত হবে সারাদেশে দ্রব্য মূল্য আরও থাকবে ১) উত্তর-দক্ষিণ-পূর্ব-পশ্চিম থেকে মালগাড়িতে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য রাত ২টা৩০ মিনিটের মধ্যে ঢাকায় আসবে। যানজট এড়াতে ভোর ৬ টার মধ্যে ট্রাকে করে সব বাজারে পণ্য যাবে। মালগাড়িতে পরিবহনে কোন ভাড়া দিতে হবে না; ২) পচনশীল পণ্যের ট্রাকে কোন টোল দিতে হবে না; ৩) মাছ, মুরগীর খাবার তৈরির ফ্যাক্টরিতে ভুর্তুকি। সরকারের অনুমোদন হলে এ মডেলের অনুসরণে গুদামজাতকৃত, আমদানিকৃত ও অন্যান্য পণ্যের বাজার নিয়ন্ত্রণ পরবর্তীতে প্রণীত হবে।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button