বেড়িবাঁধ সংস্কারের নামে সীমাহীন লুটপাটের ফলে কোটি কোটি টাকা খরচ করেও কোনো সুফল মেলে না —মাওলানা আবুল কালাম আজাদ

খবর বিজ্ঞপ্তি ঃ বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কমৃপরিষদ সদস্য ও খুলনাঞ্চলের সহকারী পরিচালক মাওলানা আবুল কালাম আজাদ পাইকগাছা উপজেলার দেলুটি ইউনিয়নের কালিনগর এলাকার পানি উন্নয়ন বোর্ডের ওয়াপদার বেড়িবাঁধ ভেঙে গিয়ে প্লাবিত ২২ নং পোল্ডারের ১৩ টি গ্রামের মানুষের খোঁজ খবর নিতে গিয়ে শ^ান্তনা দিয়ে বলেন, ‘আল্লাহর সাহায্য কামনা করুন। ধৈর্য ধরুন। আশা করি-কম সময়ের মধ্যে বন্যার সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে। জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীরা আপনাদের সেবায় নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে’। তিনি বলেন, বন্যাকবলিত এলাকার হাজার হাজার মানুষ সহায় সম্বল হারিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছে। দল, মত, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে বন্যার্তদের পাশে দাঁড়াতে হবে। তিনি অবিলম্বে স্থায়ী টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণ, দুর্দশা মানুষের মাঝে সরকারি সহায়তা ও দ্রুত যাতে বন্যা দূর্গতরা বাড়ি ফিরতে পারে তার ব্যবস্থা করতে সরকারের প্রতি আহবান জানান। রোববার (২৮ আগস্ট) তিনি প্লাবিত তেলিখালী, হরিণখোলা, সৈয়দখালী, দারুল মল্লিক, ফুলবাড়িসহ দুর্গত এলাকা পরিদর্শন করে তাদের মাঝে ত্রীপল, পলিথিন, শুকনা খাবার ও নগদ অর্থ বিতরণকালে এ সব কথা বলেন।
এ সময় তাঁর সাথে খুলনা মহানগরী জামায়াতের কর্মপরিষদ সদস্য ও শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের মহানগরী সভাপতি আজিজুল ইসলাম ফারাজী, বটিয়াঘাটা উপজেলা নায়েবে আমীর মাওলানা আশরাফ আলী, দেলুটি ইউনিয়ন সভাপতি গোলাম মোস্তফা, সেক্রেটারি সেলিম গাজী, জামায়াত নেতা এনামুল হক, নাজমুল ইসলাম, মহব্বত খান, ওমর ফারুকসহ শত শত এলাকাবাসী উপস্থিত ছিলেন।
মাওলানা আবুল কালাম আজাদ আরও বলেন, এই বেড়িবাঁধ সংস্কারের নামে চলে শত শত কোটি টাকা ওড়ানোর কাজ। সীমাহীন লুটপাটের ফলে কোটি কোটি টাকা খরচ করেও কোনো সুফল মেলে না। মানুষের ভোগান্তির শেষ হয় না। তিনি বলেন, এত টাকা সঠিকভাবে কাজে লাগানো হলে বারবার বাঁধ ভাঙত না।
উল্লেখ্য, পূর্ণিমার জোয়ারে গত বৃহস্পতিবার খুলনার পাইকগাছা উপজেলার দেলুটি ইউনিয়নের কালীনগর বেড়িবাঁধ ভেঙে কালীনগর, দারুল মল্লিক, হরিণখোলা, সৈয়দখালি, সেনেরবেড়, গোপীপাগলা, খেজুরতলা, তেলিখালী, হাটবাড়ী, ফুলবাড়ী, বিগরদানা, দুর্গাপুর ও নোয়াই ১৩টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। যাতে পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন প্রায় ১৫ হাজার মানুষ। তলিয়ে গেছে চিংড়ি ঘের ও ফসলি জমি।