স্থানীয় সংবাদ

র‌্যাবের অভিযানে জেল পলাতক ও নাশকতা মামলার ৫ আসামি গ্রেফতার

স্টাফ রিপোর্টার ঃ সাতক্ষীরা জেলার বিভিন্ন এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে জেল পলাতক ও নাশকতা মামলার এজাহার নামীয় ৫জন আসামিদেরকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-৬। গত ৫ আগষ্ট বিকেলে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সুযোগ নিয়ে সাতক্ষীরা জেলা কারাগারের জেল রক্ষীদেরকে মারপিট করে জেল গেটের তালা ভেঙে কারাগার হতে আসামীরা পলায়ন করে এবং অন্যান্য আসামীদেরকে পালায়নের সহায়তা করে। উক্ত আসামীগন সাতক্ষীরা জেলা কারাগার থেকে বের হয়ে দেশীয় অস্ত্রসস্ত্রে সজ্জিত হয়ে পেট্রোল বোমা, ককটেল, দাহ্য পদার্থ ব্যবহার সহ দাঙ্গা ও সন্ত্রাসী কার্যক্রমের মাধ্যমে জেলা কারাগারের ভিতরে ভাংচুর করে, আগুন জালিয়ে দিয়ে জেলকারাগারের সকল নথিপত্র সহ বিপুল পরিমাণ সরকারি সম্পদ ক্ষতি সাধন করেছে এবং কারাগারের জিনিসপত্র লুটপাট করে নিয়ে যায়। কারাগার থেকে বের হয়ে সাতক্ষীরা জেলার বিভিন্ন এলাকায় নাশকতা কার্যক্রম করে। এই সংক্রান্তে সাতক্ষীরা জেলা সদর থানায় একটি নাশকতা মামলা রুজু হয়। উক্ত নাশকতার প্রেক্ষিতে আসামিদের প্রতি বিশেষ নজরদারী রাখে র‌্যাবের একটি গোয়েন্দা টিম। র‌্যাব-৬, সিপিসি-১, সাতক্ষীরার একটি আভিযানিক দল নাশকতাকারীদেরকে গ্রেফতারের লক্ষ্যে গোয়েন্দা তৎপরতা শুরু করে এবং অভিযান অব্যাহত রাখে। এরই ধারাবাহিকতায় গত ২৬ আগস্ট আভিযানিক দলটি গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারেন যে, জেলার সদর থানা, পাটকেলঘাটা ও শ্যামনগর থানা এলাকায় জেল পলাতক ও নাশকতার মামলার এজাহার নামীয় আসামিগণ অবস্থান করছে। উক্ত সংবাদের প্রেক্ষিতে র‌্যাব-৬, সিপিসি-১ সাতক্ষীরার আভিযানিক দল ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করে তাৎক্ষণিক উল্লিখিত স্থানে একটি বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে নাশকতার মামলার এজাহার নামীয় আসামি শ্যামনগর বৈশখালী গ্রামের কেরামত গাজীর ছেলে নুরুজ্জামান গাজী (৪৪), শ্যামনগর মাহমুদপুর গ্রামের মুনছুর আলীর ছেলে মোঃ মোশারফ হোসেন (৪৪), শ্যামনগর বংশীপুর গ্রামের সামছুর গাজির ছেলে মোঃ আবু সাঈদ (২৭), পাটকেলঘাটা হাজরাপাড়া গ্রামের লুৎফর মোড়লের ছেলে সুলতান মোড়ল (২৬) ও সাতক্ষীরা ফয়জুল্লাহপুর গ্রামের আহাদ শেখের ছেলে আক্তারুল ইসলাম (৩২) কে সদর থানাধীন ফয়জুল্লাহপুর নাকম এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত আসামীদেরকে সাতক্ষীরা সদর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

 

সংশ্লিষ্ট সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button