স্থানীয় সংবাদ

কুয়েটের সাবেক ভিসিকে ইউজিসি থেকে অপসারণের দাবিতে মানববন্ধন

স্টাফ রিপোর্টারঃ খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) প্রাক্তন ভিসি অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আলমগীরকে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান থেকে অপসারণের দাবিতে এবং ভিসি থাকাকালীন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা কর্মচারীদের নির্যাতনসহ তার সব অপকর্মের বিচারের দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা কুয়েটের স্টুডেন্ট ওয়েলফেয়ার সেন্টারের সামনে থেকে বিক্ষোভ মিছিলটি বের হয়। মিছিলটি প্রশাসনিক ভবনের সামনে থেকে ক্যাম্পাসের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে একই স্থানে এসে মানববন্ধনের মাধ্যমে শেষ হয়। এ সময় বক্তব্য দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মো. ওমর ফারুক, মো. জাহিদুর রহমান, মো. মুজাহিদ, আরাফাত হক, সাপ্তি, জীবন, ফাহিম ও নির্যাতিত কর্মচারী মো. ফিরোজ আহমেদ। বিক্ষোভ মিছিল শেষে শিক্ষার্থীরা প্রাক্তন ভিসি অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আলমগীর ভিসি হিসেবে ৮ বছর দায়িত্ব পালনকালীন সময়ে যে-সব শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারী নির্যাতিত হয়েছেন এবং তার আমলে সংঘটিত সব অপকর্মের তদন্তের দাবিতে ইতোপূর্বে দেওয়া স্মারকলিপির দ্রুত তদন্তের দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান ভারপ্রাপ্ত ভিসি মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রফেসর ড. মছুদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে দ্রুত তদন্তের ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান। উল্লেখ্য, অধ্যাপক ড. মো. আলমগীর ২০১০ সাল থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত দুই মেয়াদে টানা ৮ বছর কুয়েটের ভিসি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সদস্য ছিলেন। মঙ্গলবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক অফিস আদেশে অধ্যাপক ড. মুহাম্মাদ আলমগীরকে চেয়ারম্যানের দায়িত্ব দেওয়া হয় বলে এ তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয়, বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যানের শূন্য পদে পরবর্তী চেয়ারম্যান নিযুক্ত না হওয়া পর্যন্ত কমিশনের কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে সম্পাদন ও অব্যাহত রাখার স্বার্থে অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আলমগীর নিজ দায়িত্বের অতিরিক্ত হিসেবে চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করবেন। নিয়মিত চেয়ারম্যান নিয়োগের সঙ্গে সঙ্গেই এ আদেশ বাতিল বলে গণ্য হবে। এর আগে চেয়ারম্যান পদ থেকে অধ্যাপক কাজী শহীদুল্লাহ পদত্যাগ করার পর আলমগীর ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button