কয়রার জেলেদের মাঝে উৎসবের আমেজ

রিয়াছাদ আলী, কয়রা (খুলনা) প্রতিনিধি ঃ প্রাণ-প্রকৃতি রক্ষায় তিন মাস বন্ধ থাকার পর আজ রবিবার থেকে উন্মুক্ত হচ্ছে সুন্দরবন। এদিন থেকে নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে পর্যটক ও বনজীবীরা সুন্দরবনে প্রবেশ করতে পারবেন। ইতিমধ্যে বনে প্রবেশ করতে সকল ধরনের প্রস্তুতি শুরু করেছেন সুন্দরবন সংলগ্ন বনজীবী ও ট্যুর অপারেটররা। আর দীর্ঘ তিন মাস পুনরায় মাছ ও কাঁকড়া ধরতে পারবে এমন সংবাদে বেশ খুশি সুন্দরবন সংলগ্ন কয়রার মানুষ। জেলে বাওয়ালীদের মধ্যে সস্তি ফিরে আসবে। আয় রোজগার করতে পারবে সেই সংবাদে তাদের মুখে হাসি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। বন বিভাগ বলছে সকল নিয়ম কানুন মেনেই জেলে বাওয়ালীদের পারমিট প্রদান করা হবে। তবে জেলেদেরকে হয়রানী থেকে মুক্ত পেতে সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে বন বিভাগ। সুন্দরবন সংলগ্ন কয়রা উপজেলার ৫নং কয়রা গ্রামের আছাদুল ইসলাম হাওলাদার বলেন, ‘স্থানীয় জেলেরা বন কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে পাস পারমিট নেওয়ার জন্য প্রস্তুত হতে শুরু করেছেন। রোববার ভোরেই তারা সুন্দরবনের উদ্দেশে রওনা হবেন। সুন্দরবন খুলনা রেঞ্জের সহকারি বন সংরক্ষক (এসিএফ) এজেডএম হাছানুর রহমান বলেন, ‘রোববার থেকে বনজীবী ও দর্শনার্থীরা নিয়ম মেনে অনুমতি সাপেক্ষে সুন্দরবনে প্রবেশ করতে পারবেন।’ সুন্দরবনে উপর নির্ভরশীল জেলেদের মাছ ও কাঁকড়া ধরার পারমিট দেওয়ার জন্য সকল প্রকার প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। সুন্দরবন বন খুলনা অঞ্চলের বন সংরক্ষক মিহির কুমার দো বলেন, ‘টানা তিন মাস বন্ধ থাকায় সুন্দরবনের প্রাণ-প্রকৃতি আগের তুলনায় সজীব হয়েছে। আমরা সব ধরনের প্রস্তুতি রেখেছি। বনজীবী ও দেশি-বিদেশি দর্শনার্থীরা অনুমতি নিয়ে রোববার ভোর থেকে সুন্দরবনে প্রবেশ করতে পারবেন। তবে বৈধভাবে প্রবেশ করে হরিণ শিকার অথবা কোনো ধরনের অপরাধে যাতে কেউ জড়িত না থাকতে পারেন, সে জন্য বন বিভাগ সতর্ক রয়েছে। উল্লেখ্য ‘সুন্দরবনের মৎস্যসম্পদ রক্ষায় ইন্টিগ্রেটেড রিসোর্সেস ম্যানেজমেন্ট প্ল্যানিংয়ের সুপারিশ অনুযায়ী, ২০১৯ সাল থেকে প্রতিবছর ১ জুলাই থেকে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত সুন্দরবনের সব নদী ও খালে মাছ আহরণ বন্ধ ঘোষণা করা হতো। পরে ২০২২ সাল থেকে মৎস্য বিভাগের সঙ্গে সমন্বয় করে এক মাস বাড়িয়ে ১ জুন থেকে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত সময় নির্ধারণ করা হয়। এ তিন মাস সুন্দরবনের সব নদী ও খালে মাছ ধরা ও পর্যটক প্রবেশেও নিষেধাজ্ঞা থাকে।


