স্থানীয় সংবাদ

যশোর শহরের জেলরোডে সন্ত্রাসী জুয়েল বাহিনী অপ্রতিরোধ্য

যশোর ব্যুরো ঃ যশোর শহরের ঘোপ জেলরোডস্থ বেলতলা ধানপট্টি এলাকা ও তার আশপাশে সন্ত্রাসী জুয়েল বাহিনীর হাত থেকে মানুষ বাঁচতে চায়। সশস্ত্র এই বাহিনীর কাছে ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে সব শ্রেনীর সাধারণ মানুষ জিম্মি।
জেলরোড বাইলেন ধানপট্টি বস্তির লন্ড্রি ওয়ালা খলিলুর রহমানের ছেলে ইসমাইল হোসেন জুয়েল। প্রায় ১৪ বছর আগে সে একটি বাহিনী গড়ে তোলে। যার নাম দেয়া হয় জুয়েল বাহিনী। অপ্রতিরোধ্য এই বাহিনীর অত্যাচারে মানুষ অতিষ্ঠ। জুয়েল বাহিনীর অন্যতম সদস্য হচ্ছে দাঁড়িওয়ালা কালো বর্নের আইয়ুব, আরিফ ও শাহাদত। তাদের দলের সদস্য সংখ্যা অন্তত ৩০ জন। জেলরোড এলাকায় সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি, মাদক ব্যবসা, অপহরণ ও মুক্তিপণ আদায় এই বাহিনীর মূল কাজ।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক লোকজন জানান, ঈদুল ফিতর, ঈদুল আযহা, পহেলা বৈশাখসহ বিভিন্ন দিবসের নামে জুয়েল বাহিনী জেলরোডের ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে চাঁদা আদায় করে। চাঁদা না দিলে তাকে নানাভাবে হয়রানি করা হয়। সূত্র জানায়, সন্ত্রাসী জুয়েল স্থানীয় কতিপয় ব্যবসায়ীর দোকানে আগ্নেয়াস্ত্র রেখে পুলিশের মাধ্যমে অর্থবাণিজ্য করেছে। উপশহর ফাঁড়ি পুলিশের সাথে সন্ত্রাসী জুয়েলের বিশেষ সম্পর্ক থাকায় ভয়ে কেউ প্রতিবাদ করার সাহস পাননি। সূত্র মতে, জেলরোড বেলতলা এলাকার বাসিন্দা মঈনুদ্দিনের বাড়ির নিচতলাটি জুয়েল বাহিনী টর্চার সেল হিসেবে ব্যবহার করে । এখানে চাঁদা বা মুক্তিপণ আদায়ের জন্য অপহরণ করে আনা মানুষজনের ওপর চালানো হয় নির্যাতন। সূত্র আরও জানায়, এলাকায় ফেনসিডিল, ইয়াবা ট্যাবলেট ও হেরোইনের ব্যবসার সাথে জড়িত জুয়েল বাহিনী। উপশহর ফাঁড়ি পুলিশকে ম্যানেজ করে চলে তাদের এই অবৈধ ব্যবসা। এরা পথচারীদের টাকা পয়সাসহ বিভিন্ন মালামাল ছিনতাই করে থাকে। ইতিপূর্বে জুয়েল বাহিনীর হাতে খুন হয় এক ইজিবাইক চালক। পরে তার লাশ পাওয়া যায় পার্শ্ববর্তী বিআরটিসি বাস ডিপোর কাছে। ঘটনা জানাজানি হলে ফাঁড়ি পুলিশকে ম্যানেজ করে তা ধামাচাপা দেয়া হয়। সন্ত্রাসী জুয়েলের কাছে পিস্তলসহ তার সদস্যদের কাছে নানা ধরনের অস্ত্রপাতি আছে বলে জানা গেছে। একাধিক সূত্রে জানা গেছে, জুয়েল শীর্ষ জনপ্রতিনিধিদের ম্যানেজ করে তার সন্ত্রাসী কর্মকান্ড অটুট রেখেছে। সাধারণ মানুষ বেপরোয়া এই জুয়েল বাহিনীর হাত থেকে রক্ষা পেতে চায়। জুয়েল বাহিনীর বিষয় যশোর কোতোয়ালি থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুর রাজ্জাক বলেন,এমন অভিযোগ প্রশাসনের কাছে আছে। সন্ত্রাসীদের কোনো ছাড় নেই। পুলিশ সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিচ্ছে এবং নেবে। এলাকাবাসী সন্ত্রাসী বাহিনীর প্রধান জুয়েলসহ তার সাঙ্গবাঙ্গদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য নবাগত পুলিশ সুপারের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button