স্থানীয় সংবাদ

খুলনায় শেখ সোহেল ও এলজিইডি’র প্রকৌশলীসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা

৬০ লাখ টাকা চাঁদাবাজি ও ঠিকাদারকে হত্যার হুমকি

স্টাফ রিপোর্টার : খুলনায় ৬০ লাখ টাকা চাঁদাবাজিরঅভিযোগে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চাচাতো ভাই শেখ সোহেল ও স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর-এলজিইডি খুলনার নির্বাহী প্রকৌশলী আবুল কালাম মুহাম্মদ আনিছুজ্জামানসহ ৬জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। মঙ্গলবার ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স এস আর ট্রেডার্সের মালিক শেখ শহিদুল ইসলাম বাদি হয়ে খুলনার মুখ্য মহানগর হাকিম-এর আমলী আদালত-১ এ মামলাটি দায়ের করেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে বাদিপক্ষের আইনজীবী এস, এম, মাসুদুর রহমান বলেন, আদালত মামলাটি গ্রহণ পূর্বক তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য সোনাডাঙ্গা থানাকে নির্দেশ দিয়েছেন।
এজাহারে উল্লেখ করা হয়, গত ২৩ এপ্রিল অচেনা কিছু লোক বাদীর শিববাড়ী মোড়স্থ ট্রিবিউন টাওয়ারের অফিসে এসে যুবলীগের পরিচয়ে বলে আপনাকে শেখ সোহেল (১নং আসামী) এক্ষুনি দেখা করতে বলেছেন। সে মোতাবেক বাদী তখন ১নং আসামীর বাড়ীতে (শেখবাড়ীতে) গিয়ে দেখেন ১ ও ২নং আসামি পাশাপাশি বসা। বাদী সালাম দিয়ে সামনে দাড়লে ১নং আসামী বলে ‘তুই দুদকে আনিস সাহেবের নামে (২নং আসামি) অভিযোগ দিয়েছিস, পিস্তল তোর পিছন দিয়ে ঢুকিয়ে ফায়ার করবো’। বাদী ১নং আসামীকে বলেন, আমি দুদকে কোন অভিযোগ করি নাই । তখন ১নং আসামী পিস্তল বের করে বাদীর বুক সোজা ধরে বলেন, ‘দুদকে আনিস সাহেবের নামে যে অভিযোগ করেছিস তার ঝামেলা মিটানোর জন্য কোটি টাকার প্রয়োজন। তুই ৬০ লাখ টাকা চাঁদা দিবি, বাকিটা আনিস সাহেব (২নং আসামী) জোগাড় করে দুদকে দেবে। যা এক্ষুনি টাকা নিয়ে আয়। বাদী উপায়ন্তর না পেয়ে ব্যাংক থেকে নগদ ৪০ লাখ টাকা এবং নিজ অফিসে থাকা ২০ লাখ টাকা মোট ৬০ লাখ টাকা ১ ঘন্টার মধ্যে তুলে বিকাল ৫টার মধ্যে শেখবাড়ী ১নং আসামীর কাছে নিয়ে দেন। ১নং আসামী টাকা নিজে গ্রহণ করে ২নং আসামীর হাতে টাকা দেন এবং বাদীকে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করে বলেন যে, ‘এরপর বাড়াবাড়ি করবি লাশ চিতলমারী বিলে থাকবে, যা ভাইগে যা’। ২নং আসামী বলে, ‘এখন ৬০ লাখ টাকা নিলাম। লাগলে আরো দিবি, বাড়াবাড়ি করলে অস্ত্র দিয়ে চালান দিয়ে দিবো।’ ২নং আসামী আরো বলে, ‘সেদিন ডিজিএফআই অফিসে তিন ঘন্টা অন্ধকারে রুমে ছিলি না। তোর লাশ কেউ খুজে পাবে না।’
এজাহারে আরও উল্লেখ করা হয়, তৎকালীন সময় শেখবাড়ীর কথায় চলতো বাংলাদেশ। এ কারণে বাদী স্থানীয় থানায় মামলা দায়ের করতে গেলে থানা কর্তৃপক্ষ আদালতের মামলা দায়েরের পরামর্শ প্রদান করেন। বাদির আইনজীবী এসএম মাসুদুর রহমান জানান, এ ঘটনায় আসামিদের বিরুদ্ধে দ-বিধির ৩৮৩, ৩৮৪, ৩৮৭, ৩৮৮, ৩৮৯ ও ৫০৬ ধারায় মামলা করা হয়। আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরওয়ানা জারির আবেদন জানানো হয়।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button