বেনাপোলে স্কুলের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে পাঠ্য পুস্তক বিক্রির অভিযোগ

যশোর ব্যুরো ঃ চলতি বছরের মাধ্যমিক পর্যায়ের পাঠ্য পুস্তক কেজি দরে বিক্রির অভিযোগ উঠেছে এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি যশোরের বেনাপোলের। রীতিমত সরকারি বিভিন্ন শ্রেনীর পাঠ্য পুস্তক কেজি দরে বিক্রি করার ঘটনা চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে।
অভিযোগে জানাগেছে,যশোরের সীমান্তবর্তী বেনাপোল রেসিডেন্সিয়াল প্রি-ক্যাডেট এন্ড হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক শওকত আলী মাধ্যমিক পর্যায়ের বিভিন্ন শ্রেনীর পাঠ্য পুস্তক বিক্রি করার জন্য পাঠিয়েছেন। তিনি ধরা ছোয়ার বাইরে থেকে স্কুল থেকে বই গুলো কৌশল নিয়ে বিক্রি করার খবর ফাঁস হয়ে পড়লে তিনি বিষয়টি ধামা চাপা দেওয়ার জন্য ফন্দি আটেন।
স্থানীয় সূত্রগুলোর জানিয়েছেন,গত ৫ সেপ্টেম্বও সন্ধ্যায় এক ব্যক্তি বেনাপোল পলাশ হোটেলে অনেক গুলো বই কেজি দরে বিক্রি করছিল। সেখানে থাকা কতিপয় এক ব্যক্তি চলতি বছরের মাধ্যমিক বিভিন্ন শ্রেনীর পাঠ্যপুস্তক দেখে বই গুলো কোথায় পেলো ওই ব্যক্তির কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, বেনাপোল রেসিডেন্সিয়াল প্রি-ক্যাডেট এন্ড হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক শওকত আলী বইগুলো কেজি দরে বিক্রি করার জন্য পাঠিয়েছেন। এ সময় ওই ব্যক্তি জনরোষের মধ্যে পড়ে গেলে সুচতুর ব্যক্তিটি দ্রুত ওখান থেকে সটকে পড়ে। সূত্রগুলো আরো জানিয়েছেন, ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানোর প্রধান শিক্ষক শওকত আলীর বাড়ি বরিশাল জেলায়। তিনি বেনাপোল রেলষ্টেশন রোডে এক ভাড়া বাড়িতে থাকেন। বিিিভন্ন মামলায় জড়িত থাকায় বেনাপোলে আত্মগোপন করেছেন। তিনি বেনাপোলে স্থানীয় এক নেতার ছত্রছায়ায় থেকে বেনাপোল রেলষ্টেশন এলাকায় বিভিন্ন অপরাধ মূলক কর্মকান্ডে জড়িত থাকেন। এ ব্যাপারে ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক শওকত আলীর সাথে তার ব্যক্তিগত মুঠো ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, স্কুলের রুম পরিষ্কারের জন্য রুমে থাকা বই গুলো বিক্রির জন্য নয় যে পরিস্কার করতে এসেছিল তাকে দিয়ে দিলাম। তাছাড়া, শ্রেনীতে বঙ্গবন্ধু বই গুলো চলবে না তার জন্য বই গুলো দিয়ে দেওয়া হয়েছে। সরকার বঙ্গবন্ধু সংক্রান্ত বিভিন্ন লেখা পাঠ্য পুস্তক থেকে বাদ দেওয়ায় শ্রেনীতে চলবেনা তাই রুম থেকে পরিস্কারের সময় দিয়ে দেয়া হয়েছে।