নগরীর হাজী মহসীন রোডে কেসিসির জমিতে গড়ে ওঠা চায়ের দোকানে বখাটেদের আড্ডা

স্টাফ রিপোর্টার ঃ নগরীর হাজী মহসীন রোডে কেসিসির জমিতে অবৈধভাবে গড়ে ওঠা চায়ের দোকানে বখাটেদের আড্ডা হচ্ছে। এর দখলদারীত্ব থেকে রক্ষা পেতে এলাকাবাসী কেসিসির প্রশাসকের নিকট অভিযোগ দাখিল করেছেন। অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, গত জুলাই মাস’২৪ থেকে টুকু মিয়া ও তার স্ত্রী ফরিদাসহ সন্তান জনি কর্তৃক কেসিসি’র জমিতে অবৈধভাবে চায়ের দোকান স্থাপন করে। টুকু মিয়ার ছেলে জনি নিজে নেশাগ্রন্থ এবং চায়ের দোকানের আড়ালে গাজাসহ অন্যান্য মাদক দ্রব্য বিক্রি করে। এছাড়া চায়ের সঙ্গে একই দোকানে বিড়ি, সিগারেট, তামাক বিক্রি করে, যা তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন, ২০০৫ অনুসারে শাস্তিযোগ্য অপরাধ। টুকু গং এর অবৈধ চায়ের দোকান সিটি কর্পোরেশনের জায়গা দখল করে গড়ে ওঠা। উক্ত দোকানে প্রতিনিয়ত ধুমপায়ীদের ভীড় লেগে থাকে এবং ফুটপথে চলাচলের বাধা সৃষ্টি করে। এই ফুটপথ দিয়ে স্কুলগামী কোমলমতি শিশুসহ মায়েদের পথচলায় বিঘœসহ পরোক্ষ ধুমপানের শিকার হন। এই দোকানের আশেপাশে অনেকগুলো শিশুদের স্কুল থাকায় কোমলমতি শিশুসহ মায়েদের চলাচল বেশি। কেউ প্রতিবাদ করলে তাদের সাথে টুকু গং দূর্ব্যবহার করে। সে সকলকে কেসিসির সাবেক হেড দারোয়ান হাবিব এর কথা বলে ভয়ভীতি প্রদর্শন করত এবং হাবিব তাকে এখানে বসিয়েছে বলে প্রচার করে ধরাকে সরা জ্ঞান করত। উল্লেখ্য, গত ৫ সেপ্টেম্বর সকাল ১০ টার পর থেকে উল্লিখিত দোকানের পার্শ্বে গড়ে ওঠা পরিবেশ বান্ধব বটবৃক্ষকে টুকুমিয়া ও তার সন্তান জনি কাটতে উদ্যোগী হয়ে অনেক ডালপালা কেটে ফেলে। এলাকাবাসী বাধা দিলে এ যাত্রায় কেসিসির গাছটি রক্ষা পায়। পরিবেশ বান্ধব বটবৃক্ষের ছায়ায় প্রতিদিন রিক্সা চালকসহ শ্রমজীবি মানুষ দুপুরের তীব্ররোদের গরমে বিশ্রাম নেয়। টুটু গং এর অপরাধের শেষ নেই, তার স্ত্রী ফরিদা কেসিসি থেকে ২০১২ সালে একটি খাবারের গাড়ী পায়, যা দিয়ে কেসিসি’র শর্ত ভঙ্গ করে ব্যস্ততম রাস্তা (হাজী মহসীন ও সাউথসেন্ট্রাল রোডের সংযোগ মোড়) দখল করে খাবার বিক্রি করে, কেসিসি’র সংশ্লিষ্ট লোকবল এসে বার বার সতর্ক করা সত্ত্বেও রাস্তা ছাড়েনি। এহেন পরিস্থিতিতে উপরেল্লিখিত সমস্যার সমাধানকল্পে জরুরীভাবে কেসিসির জমিতে অবৈধভাবে গড়ে ওঠা টুকু মিয়ার চায়ের দোকান উচ্ছেদসহ তাদের অপকর্ম বন্ধে কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করে এলাকাবাসির পক্ষ থেকে দাবি জানানো হয়েছে। গত ৫ সেপ্টেম্বর এলাকাবাসীর স্বাক্ষরিত অভিযোগ কেসিসির প্রশাসকের নিকট জমা দেয়া হয়। অভিযোগ দাখিলের সত্যতা স্বীকার করে কেসিসির এষ্টেট অপিসার গাজী সালাহ উদ্দীন বলেন, বিষয়টি দেখে বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।