আরিফুর রহমান মিঠু’র বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক মামলা প্রত্যাহার এবং প্রতিষ্ঠানে হামলাকারী সন্ত্রাসীদের শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন

# আরাফাত প্রকল্পে শান্তি কমিটির নামে অশান্তি সৃস্টির অভিযোগ #
স্টাফ রিপোর্টার : আরাফাত গ্রুপ অফ ইন্ডাষ্ট্রিজের চেয়ারম্যান, বিশিষ্ট শিল্পপতি এস এম আরিফুর রহমান মিঠু’র বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার এবং প্রতিষ্ঠানে হামলাকারী চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ও বিচারের দাবিতে নগরীতে বিক্ষোভ সমাবেশ, মিছিল ও মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়েছে। বুধবার দুপুর ১২ টায় নগরীর শিববাড়ি মোড়ে সহ¯্রাধিক লোকের অংশ গ্রহণে এ মানববন্ধন কর্মসূচী পালিত হয়। আরাফাত গ্রুপ, আরাফাত আবাসিক প্রকল্পবাসী, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনরত ছাত্র সমাজ ও পরিবারের পক্ষ থেকে এ মানববন্ধন কর্মসূচীর আয়োজন করা হয়। মানববন্ধনে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মুক্তা রহমান। মোঃ শামসুর রহমানের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন আরাফাত গ্রুপের পরিচালক কে এম মামুনুর রহমান, এস এম আশফাকুর রহমান রাজীব, মোঃ শরীফ রহমান, মোঃ সাজ্জাদ আলী, এস এম জসীম উদ্দিন, মোঃ মনিরুল ইসলাম, মোঃ শহিদুল ইসলাম বাবু, মোঃ জসীম খান, মোঃ গোলাম রাব্বি, মোঃ জাকির হোসেন, গোলাম সরোয়ার, এস এম রফিক, হারুনর রশীদ, মোঃ সালাউদ্দিন, মোঃ আরিফ, মোঃ জনি, শেখ শওকত আলী মাসুম, আরিফুল ইসলাম, নয়ন চৌধুরী, হেলাল চৌধুরী, বি এম শামীম, রনি, জুয়েল, শেখ কওছার আলী, মোঃ ইব্রাহীম, স্বপন হাওলাদার, জুথি, বিথী, লাবনী, মিথিলা, মীমসহ বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনরত কোমলমতি ছাত্র সমাজ এবং বিভিন্ন মহলের নেতৃবৃন্দ।
মানববন্ধন কর্মসূচিতে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মুক্তা রহমান বলেন, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে আমাদের সন্তানরা রাজপথে নেমেছিল। ঠিক এমন সময় ছাত্রনেতা আবু সাইদ পুলিশের গুলিতে নিহত হলে আমরা মা-বাবা ও অভিভাবকরা আর ঘরে বসে থাকতে পারিনি। আমরাও সন্তানদের সাথে যোগ দেই। সন্তানদের সাথে আমার স্বামী এস এম আরিফুর রহমান মিঠুও যোগ দিয়ে প্রথম সারিতে থেকে নেতৃত্ব দেন। যার প্রমাণ সোস্যাল মিডিয়া ও গণমাধ্যমে রয়েছে। যদি ৫ আগষ্ট দেশ স্বাধীন না হতো তাহলে হয়তোবা আজ স্বপরিবারে আমাদের আয়না ঘরে থাকতে হতো। কিন্তু আজ স্বাধীন দেশে আমার স্বামীর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলা, সম্মানহানী, অপপ্রচার এবং আমাদের প্রতিষ্ঠানের ক্ষতি সাধন করছে একটি দুষ্কৃতকারী চক্র। এখন আমরাই বৈষম্যের শিকার হচ্ছি।
আরাফাত প্রকল্পের ইতিহাস তুলে ধরে মুক্তা রহমান বলেন, ১৯৯৬ সালে আমার পিতা মরহুম এমএ মান্নান খাঁন প্রকল্পটি প্রতিষ্ঠা করেন। ২০০৫ সালে তাঁর মৃত্যুর পর আমার স্বামী এসএম আরিফুর রহমান মিঠু দায়িত্ব নেন। তিনি কখনই প্রকল্পের কাউকে নির্যাতন এবং কোন ধরণের চাঁদাবাজি করেননি। প্রকৃত ঘটনা হলো-বিভিন্ন অভিযোগে প্রকল্পের সাবেক ম্যানেজার মতিউর রহমান ওরফে মতিকে চাকরি থেকে বাদ দেওয়ায় তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে রাজ্জাক ও তার ছেলে সুজাসহ কয়েকজন দুষ্কৃতকারী চক্র মিলে আমাদের বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্র ও চক্রান্তে লিপ্ত হয়েছে। শুধু তাই নয়, প্রকল্পের স্টাফদের মারধর এবং সাইনবোর্ড ভাংচুরসহ বিভিন্ন ক্ষতিসাধন, এমনকি আইন হাতে তুলে নিয়ে একজনের চোঁখ তুলে ও পা ভেঙ্গে ফেলা হয়েছে। এভাবে আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর দুষ্কৃতকারী চক্র নিজেদের পিঠ বাঁচাতে শান্তি কমিটির নামে প্রকল্প এলাকায় অশান্তি ও ভীতিকর একটি পরিবেশ তৈরি করেছে।
তিনি প্রশ্ন রাখেন- শিশু ধর্ষণ মামলার আসামি হাসান এবং হত্যা প্রচেষ্টা মামলার আসামি তুহিন আমার স্বামীর বিরুদ্ধে মামলা করার সাহস পায় কিভাবে, এর পিছনে কারা আছে- সেটি সাংবাদিকদের খুঁজে বের করতে হবে। মিঠু কোন চাঁদাবাজ-হামলাকারী নয়, খুলনাবাসী তা জানেন।
চেম্বারের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে তিনি বলেন, খুলনা চেম্বার অব কমার্সের একজন সাধারণ সদস্য হিসেবে মিঠু চেম্বার ভবনে গিয়েছিলেন একটি আবেদন জমা দিতে, তার রিসিভ কপি রয়েছে। অথচ: সেখানে তার বিরুদ্ধে ২১ হাজার টাকা পকেট মারার অভিযোগ করা হয়েছে। এ ধরণের চরম মিথ্যাচারে আমরা অত্যন্ত মর্মাহত।
তিনি আরও বলেন, আমার শ^শুর এসএমএ রবকে হত্যার পর আমরা ৬ বছর ধরে পালিয়ে ছিলাম। তখন পরিবার-পরিজন নিয়ে অনেক কষ্ঠে জীবন-যাপন করতে হয়েছে। আমাদের পরিবারের অনেক ত্যাগ রয়েছে। পরবর্তীতে আমার স্বামী খুলনা মহানগর বিএনপি’র কোষাধ্যক্ষ ও খালিশপুর থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক থাকাকালীন বহু মামলায় আসামি হয়েছেন। ওই সময় তিনি নিজ অর্থে খালিশপুর থানা বিএনপি অফিস নির্মাণ করেন। যে অফিসের বিদ্যুৎ বিল এখনও তার নামে ইস্যু হয়। সেই অফিস ভাংচুর-লুটপাটের মামলায়ও তাকে আসামি করা হয়েছে। এভাবে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার হয়ে তাকে বারবার হয়রাণি করা হচ্ছে। তিনি এর তীব্র নিন্দা জানান।
তিনি বলেন, এসএম আরিফুর রহমান মিঠু অভিমান করে স্বেচ্ছায় দল থেকে পদত্যাগ করলেও দলের একজন নিবেদিত কর্মী হিসেবে সব সময় নেতা-কর্মীদের পাশে ছিলেন, এখনও আছেন। এমনকি তিনি আরাফাত গ্রুপের মাধ্যমে দু’ শতাধিক লোকের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করেছেন। আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর তাকে পুরস্কৃত করার পরিবর্তে আবারও তাকে একের পর এক মামলায় জড়িয়ে, অপপ্রচার চালিয়ে সম্মানহানী করা হচ্ছে। তিনি সকল ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে খুলনাবাসী ও প্রশাসনকে সজাগ থাকার আহবান জানিয়ে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানান।