স্থানীয় সংবাদ

আবু নাসের হাসপাতাল পরিচালক ও আরএমও ডাঃ প্রকাশচন্দ্র

# প্রশাসনিক কর্মকর্তাকে হেনস্তায় তোপের মুখে #

স্টাফ রিপোর্টার: খুলনা শহীদ শেখ আবু নাসের বিশেষায়িত হাসপাতালের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো: ওয়াহিদুজ্জামানকে সরকারী চাকুরি থেকে জোর করে পদত্যাগ পত্রে স্বাক্ষর করানোর মাস্টার মাইন্ড হিসাবে কাজ করেছেন পরিচালক ডা: মো :আবু শাহীন ও হাসপাতালটির আরএমও ডাঃ প্রকাশ চন্দ্র দেবনাথ। এর আগে প্রশাসনিক কর্মকর্তা মোঃ ওয়াহিদুজ্জামানকে সাধারণ ছাত্র, জনতা হাসপাতালের চিকিৎসক, নার্স সহ হাসপাতালের কর্মকর্তা কর্মচারীরা ফুল দিয়ে বরণ করে নেন। এর পরে হাসপাতালের ৩য় তলা কনফারেন্স কক্ষে প্রেস ব্রিফিং করে এমন সব প্রেস ব্রিফিং-এ আস্তে আস্তে বের হয়ে আসতে থাকে হাসপাতালের দূর্নীতি। এসময় তোপের মুখে পড়লেন হাসপাতালের পরিচালক ডা: আবু শাহীন। বুধবার ১১ (সেপ্টেম্বর) হাসপাতালের অডিটর রুমে প্রেস ব্রিফ্রিংয়ে হাসপাতালের সকল ডাক্তার, নার্স, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনর শিক্ষার্থী ও সাংবাদিকরা উপস্থিতি ছিলেন । জানাযায়, বিভিন্ন প্রকল্পের নামে করে লুটপাট, চুরিসহ এখন বেরিয়ে আসছে নানান অজানা সব তথ্য। আর এইসব পর্দার আড়ালে থেকে মাস্টার মাইন্ড হিসেবে কাজ করছে একই হাসপাতালের আরএমও ডা: প্রকাশ চন্দ্র দেবনাথ। এমনকি হাসপাতালের নির্মাণ কাজে অনিয়মে সরাসরি ঠিকাদারকে সহযোগীতার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। বিগত স্বৈরশাসক আমলে তিনি ছিলেন একজন নিয়ন্ত্রণহীন দূর্নীতিবাজ একজন চিকিৎসক। রোগী দেখার সময়ে তিনি অধিকাংশ সময়ে থাকেন বাহিরে সময় মত রোগীদের সেবা না দিয়ে চলে যেতেন ডায়াগনস্টিক সেন্টারে। এমনকি প্রশাসনিক কর্মকর্তাকে হাসপাতাল কক্ষে হেনস্তার জন্য তিনি আর্থিক ডোনেট ও করেন বলে অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী প্রশাসনিক কর্মকর্তা। এসময়ে ভুক্তভোগী প্রশাসনিক কর্মর্তা মোঃ ওয়াহিদুজ্জামান বলেন, গেল সোমবার আমার ছুটি ছিল তারপরও পরিচালক স্যার আমাকে ফোন করে বলেন, আমার কাজে যোগদান করতে হবে। আমি স্যারের কথা মত চলে আসার পর দুপুর বারোটার দিকে এমন অনাকাঙ্খিত ঘটনা ঘটে যার জন্য আমি একটু প্রস্তুত ছিলাম না। এই হাসপাতালে আমি মাত্র একজ কর্মকর্তা আমার কি এমন ক্ষমতা তারপরও আমার বিরুদ্ধে এমন ষড়যন্ত্র হলো আমি একজন বাবা, আমার সন্তান দুজন ও শিক্ষার্থী একজন মেডিকেলে পড়াশুনা করেন সন্তানতূল্য কোমলমতি শিক্ষার্থীদের ভুল তথ্য দিয়ে আমার বিরুদ্ধে কেন? এখানে হাসপাতালে সব পরিচালক আরএমও স্যারের স্বাক্ষর ছাড়া কিছু হয়না। এছাড়া প্রেস ব্রিফ্রিং-এ হাসপাতালের সিনিয়র স্টাফ নার্স মোকারেমা সুরাইয়া আক্তার বলেন, বর্তমান শহীদ শেখ আবু নাসের বিশেষায়িত হাসপাতালের পরিচালক আবু শাহীন ও একই হাসপাতালের আরএমও ডা: প্রকাশ চন্দ্র দেবনাথসহ কিছু অসাধু স্টাফদের নিয়ে তারা দূর্নীতির পাহাড় গড়েছে। এমনকি হাসপাতালের কিছু এ্যাম্বুলেন্স মেরামত করানোর জন্য গত জুন মাসে সরকারী টাকা তুলেছে প্রায় ৬/৭ লাখ, কিন্তু কোন একটি গাড়ির কাজ করানো হয়নি কেন? এমন প্রশ্নের জবাবে পরিচালক জানান, আমরা কাজ করানোর চেষ্টা করছি। এছাড়া ওষুধ চুরি, ওটি রুমের ৮ লাখ টাকার মেশিন চুরি করেছে হাসপাতালের স্টাফরা, এমন তথ্যের কথা শিকার করেছে হাসপাতালের পরিচালক। পাশাপাশি স্টোর কিপার কর্তৃক ৪ লিটার স্প্রিট চুরির অভিযোগ থাকলেও পরিচালক বিষয়টি হালাল করেন যার বাজার মূল্য আনুমানিক ৪ লাখ টাকা। এদিকে হাসপাতালের (আরএমও) ডাঃ প্রকাশচন্দ্র দেবনাথ বলেন, আমার বিরুদ্ধে কথা গুলো সত্য না আমি আমি কাউকে চিনিনা। অপর এক প্রশ্নের জবাবে হাসপাতালের পরিচালক ডা: শাহীন সাংবাদিকদের বলেন, আমরা পিছনের সব ভুলে নতুন করে হাসপাতালের সেবার মান বাড়াতে সবাই একযোগে কাজ করব । সকলে আগের মত কাজ করতে চাই কর্মক্ষেত্রে কোন ধরনের বৈষম্য আর চাইনা।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button