কেসিসি নিয়ন্ত্রিত রূপসা ফেরিঘাট দখল ও লুটপাটের ঘটনায় থানায় অভিযোগ দাখিল

স্টাফ রিপোর্টারঃ খুলনা সিটি কর্পোরেশন নিয়ন্ত্রিত রূপসা ফেরিঘাটটি দখল ও লুটপাটের ঘটনায় থানায় অভিযোগ দাকিল করা হয়েছে। রবিবার সকালে টোল আদয়কারী এম.এম মইদুল ইসলাম বাদী হয়ে খুলনা সদর থানায় এ মামলা দায়ের করেন। অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, রূপসা খানজাহান আলী সেতু চালু হওয়ার পর সড়ক ও জনপদ বিভাগ কর্তৃক পরিচালিত রূপসা ফেরীঘাট দিয়ে ফেরী চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। গত ১২ জুন’০৫ তারিখ এফ-৫/১৬৬৪ নং স্মারকে সড়ক ও জনপদ বিভাগ পশ্চিম রূপসা ফেরীঘাট, ঘাট সংলগ্ন চতুর ও সন্নিহিত এলাকার জায়গার ব্যবস্থপনা ও তত্বাবধানের জন্য খুলনা সিটি কর্পোরেশনকে ব্যবহারের অনুমতি প্রদান করে। স্থানীয় সরকার বিভাগ কর্তৃক ২০০৩ সনে জারীকৃত হস্তান্তরিত ফেরীঘাট ইজারা নীতিমালা, ভূমি ব্যবস্থপনা ম্যানুয়াল এর ২৩৭ নং ধারা ও স্থানীয় সরকার (সিটি কর্পোরেশন) আইন-২০০৯ এর নির্দেশনা অনুযায়ী খুলনা সিটি কর্পোরেশন কর্তৃক রুপসা খেয়াঘাটটি সার্বিক তত্ত্বাবধানসহ টোল আদায় কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে এবং নীতিমালা অনুযায়ী উক্ত খেয়াঘাট হতে উদ্ভুত আয়ের অর্ধাংশ সংশ্লিষ্ট উপজেলা পরিষদকে প্রদান করা হচ্ছে। ১৪ সেপ্টেম্বর সকাল সাড়ে ৭টার সময় বিআইডব্লিউটিএ হতে এক মাসের ইজারা দাবীদার শেখ আলী আকবরসহ অজ্ঞাত বেশকিছু দুষ্কৃতিদের সহযোগিতায় কেসিসি’র নিয়োজিত টোল আদায়কারীদেরকে মারধর করতঃ তাদের মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয় এবং কর্মরত আদায়কারী এম.এম মইদুল ইসলাম, মোঃ ইউনুচ শেখ ও মোঃ ইসলাম মোল্লাকে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে জোরপূর্বক টোল ঘর দখল করে নেয়। উক্ত টোল ঘরে কেসিসি’র টোল আদয়ের সুবিধার্থে ট্রাংকে রিজার্ভ থাকা প্রায় বিশ হাজার টাকা (খুচরা) লুট করে। সেখানে তারা নিজেরা টোল আদায় কার্যক্রম শুরু করে। একই সময় কেসিসি মালিকানাধীন টোল ঘরসহ ঘাটের বিভিন্ন পয়েন্টে স্থাপিত সিসি ক্যামেরা খুলে ফেলে। পরবর্তীতে কেসিসি’র আদায়কারীরা পুনরায় টোলঘরে প্রবেশ করতে গেলে তারা বাঁধা প্রদান করেন এবং তাদের ছিনিয়ে নেয়া মোবাইল ফোন ফেরত দিয়ে দেয়। বিষয়টি কেসিসি’র নিয়োজিত কর্মচারীগণ এষ্টেট অফিসার গাজী সালাউদ্দীনকে জানালে তিনি উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করে অনুমোদন প্রাপ্তি হয়ে অত্র অভিযোগ দায়ের করা হয়। বিষয়টি সুষ্ঠু তদন্তপূর্বক দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণসহ উক্ত ঘাট হতে খুলনা সিটি কর্পোরেশন কর্তৃক টোল আদায় পরিচালনার ক্ষেত্রে কেহ কোন প্রকার বিঘœ সৃষ্টি করতে না পারে সে বিষয়ে সার্বিক সহযোগীতা করার কথা অভিযোগে উল্লেখ করা হয়। উল্লেখ্য, স্থানীয় সরকার বিভাগ ১/২০০৩/২৬২(৫২৭২) নং স্মারকের নীতিমালার আলোকে রপসা খেয়াঘাটের ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব খুলনা সিটি কর্পোরেশনের উপর ন্যস্ত করা হয়। তথাপিও রুপসা/খানজাহান আলী ব্রীজ চালু হওয়ার পর ১২/০৬/২০০৫ তারিখে এফ-৫/১৬৬৪ নং স্মারকে সড়ক ও জনপথ বিভাগের মালিকানধীন পশ্চিম রুপসা ফেরিঘাট, ঘাট সংলগ্ন চত্বর ও সন্নিহিত এলাকার জায়গা খুলনা সিটি কর্পোরেশনকে ব্যবহারের অনুমতি প্রদান করে স্থানীয় সরকার বিভাগ। খুলনা সদর থানার অফিসার্স ইনচার্জ শেখ মুনীর উল গীয়াস বলেন, এ ঘটনায় কেসিসির পক্ষ থেকে অভিযোগ দাখিল করা হয়েছে। তদন্ত শেষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে তিনি জানান।