নগরীতে বেপরোয়া গতির ব্যাটারি চালিত রিক্সা-ভ্যান ও ইজিবাইকের দৌরাত্ম বাড়ছে

# শহরের বাহিরে থেকে এসে জটলা তৈরি করছে
# ট্রাফিক বিভাগের শিথিলতা, নিয়ন্ত্রণ নেই নগরীর বাহির থেকে আসা ইজিবাইক, ব্যাটারী রিক্সার #
শেখ ফেরেদৗস রহমান: গেল কয়েক সপ্তাহ যাবৎ আবরও বেপরোয়া গতিতে বাড়ছে নগরীর বাহির থেকে আসা ইজিবাইক, ব্যাটারি চালিত রিক্সা-ভ্যানের দৌরাত্ম। প্রশাসন নিরব ভুমিকা থাকাতে যেন এদের লাগাম টানা যাচ্ছেনা সড়কে। আগে যারা প্রশাসনের ভয়ে নগরীর অলিগলিতে লুকিয়ে এসব তিন চাকার ছোট যানবাহন চালিয়ে বেড়াতো বা নগরীর প্রধান সড়কে চালাচল করতে ভয় পেত এখন তারা অনেকটা ফুরফুরে মেজাজে সড়ক দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। এতে করছে বাড়ছে দুর্ঘটনা এছাড়া ইচিবাক তো আছে। গেল কয়েকদিনে নগরীর বিভিন্ন জায়গায় বেড়েছে ছোট ছোট দুর্ঘটনা। এদিকে সড়কে অন্যান্য যানবাহন বা মোটর বাইক চালকেরা, পথচারিরা বলছে, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিরব ভুমিকা আর তদারকির অভাবে তারা এমন ভাবে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। দেখা যায় নগরীর বৈকালী আদদ্বীন-আকিজ মেডিকেলের সামনে হঠাৎ একটি দ্রুত গতির রিক্সা এসে আরেকটি রিক্সার উপরে পড়ে দুই যাত্রী আহত হয়। প্রতক্ষ্যদর্শিরা জানান, মূলত সড়ক ভেজা-পিছলা আর রিক্সার গতি বেশি থাকায় দুটি গাড়ীতে সংঘর্ষ হয়েছে। এছাড়া আশিক নামে আরেক যাত্রী বলেন, ভাই আমি আবুনাসের হাসপাতাল সড়ক ক্রস করার সময়ে দেখি আমাকে বহন করা রিক্সার গতি বেশি আমি তাকে রিক্সার গতি কমাতে নিষেধ করলেও তিনি শোনেননি পরবর্তিতে বিজিবি ক্যাম্পের সামনে এসে বৃষ্টির পানির মধ্যে আমি স্লিপ করে পড়ে ডাই। যদিও বা তেমন গুরুত্বর আহত হয়নি। তবে দ্রুত এদের লাগাম টেনে ধরার দরকার। এছাড়াও দেখা যায় সড়কের চলাচলের সময়ে বেশ গতিতে রিক্সা চালক চালিয়ে যাচ্ছে তার গন্তব্যে। এতে করে দূর্ঘটনা ঘটতে পারে বলে তিনি একটু চিন্তিত নেই। এ বিষয়ে কথা হয় ব্যাটারি চালিত রিক্সা চালক আশরাফ মিয়ার সাথে তিনি বলেন, আমি সব সব সময়ে যে রিক্সা দ্রুত গতিতে চালাই এটা ঠিকনা। সড়ক ফাঁকা থাকলে একটু দ্রুত যাওয়ার চেষ্ট করি। তবে খুব বেশি গতি বাড়ানো হয়না। এছাড়া এসব গাড়ীতে বেশি গতি থাকলেও ব্রেক করে হঠাৎ থামানো যায়না। এছাড়া দেখা নগরীর রেলওয়ে ক্লে রোড থেকে ব্যটারি চালিত ভ্যানগুলো পণ্য বহণ করে যাচ্ছে। এক্ষত্রে সুযোগ পেলে তারা গতি বাড়িয়ে চলাচল করছে আর সাথে তো ইজিবাইক আছে। এ বিষযে সচেতন নাগরীক মোঃ ডালিম হোসেন পাপ্পু বলেন, সড়কে আগের তুলনায় বেড়েছে এসব ব্যাটারি চালিত রিক্সা গুলেঅ। আগে শুধু মাত্র প্রতিবন্ধিদের জন্য উন্মুক্ত থাকলেও এখন নগরীর প্রধান সড়ক থেকে শুরু করে অলিগলিতে এদের দাপট। এসব ব্যাটারি চালিত রিক্সার বিপক্ষে আমি না তবে এসব যাবাহণের দ্রুত গতিতে সড়কে চলাচলের বিপক্ষে আমি। আগে যেমন পায়ে চালিত রিক্সা গুলোর গতি ছিল তারা স্বাভাবিক এখন যদি তারা সড়কে মোটরবাইক বা ইজিবাইকের সাথে পাল্লা দিয়ে চলাচল করে তাহলেতে দুর্ঘটনা ঘটবে এটা স্বাভাবিক। আর সড়কে প্রশাসনের তৎপরতা কম থাকায় তারা এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে আরও বেপরোয়া হচ্ছে। দ্রুত এসব চালকদের নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। এ বিষয়ে খুলনা ট্রাফিক বিভাগের (এসি) খন্দকার হোসেন আহমেদ বলেন, আগের তুলনায় সড়কে এসব ব্যাটারি চালিত যানবাহন বেড়েছে। শহর ছাড়াও বাহিরের থেকে ইজিবাইক, ব্যাটারী রিক্সা ও ব্যাটারী ভ্যান এসে শহরে জটলা তৈরি করছে আমরা বিষয়টি সম্পর্কে অবগত আছি। তবে দ্রুত শহরে দ্রুত গতিতে দাপিয়ে বেড়ানো এসব ব্যাটারি চালিত তিন চাকা গুলো নিয়ন্ত্রণের জন্য ব্যবস্থা নেয়া হবে।