ওষুধ ব্যবসায়ী সমিতির অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে প্রতিবাদ সভা ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত

# বিসিডিএস’র এফডিআর টাকা আত্মসাতের চেষ্টা #
স্টাফ রিপোর্টার ঃ বাংলাদেশ কেমিস্টস এ- ড্রাগিস্টস সমিতির (বিসিডিএস) খুলনা জেলা শাখার এফডিআর কৃত ৫৫ লাখ টাকা ব্যাংক হতে উত্তোলন ও আত্মসাতের চেষ্টা এবং বৃহত্তর হেরাজ মার্কেট ওষুধ ব্যবসায়ী সমিতির পূর্বের কমিটির অনিয়ম ও দুর্ণীতির অভিযোগে প্রতিবাদ সভা ও বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে বৃহত্তর হেরাজ মার্কেট সাধারণ ওষুধ ব্যবসায়ীদের উদ্যোগে এই প্রতিবাদ সভা ও বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
খুলনা বৃহত্তর হেরাজ মার্কেট ওষুধ ব্যবসায়ীর সাধারণ সম্পাদক মো: নাজমুস সাকির পিন্টু বলেন, বাংলাদেশ কেমিস্টস এ- ড্রাগিস্টস সমিতির (বিসিডিএস) খুলনা জেলা শাখার এফডিআর কৃত ৫৫ লাখ টাকা ব্যাংক হতে উত্তোলন ও আত্মসাতের চেষ্টা এবং ৃহত্তর হেরাজ মার্কেট ওষুধ ব্যবসায়ী সমিতির পূর্বের কমিটির অনিয়ম ও দুর্ণীতির প্রতিবাদে প্রতিবাদ সভা ও বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। তিনি বলেন, অনিয়ম ও দুর্ণীতির মাধ্যমে এই চোর চক্রটি কিছু বিগত দিনের সকল আয়-ব্যয়ের হিসাব না দিয়ে সাধারণ ব্যবসায়ীদের নামে চাঁদাবাজী করে নিজের পকেট ভারি করেছেন। খুলনা মহানগরীর বৃহত্তর হেরাজ মার্কেট ওষুধ ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, বাংলাদেশ কেমিস্টস এ- ড্রাগিস্টস সমিতির খুলনা জেলা শাখার এফডিআর কৃত ৫৫ লাখ টাকা ব্যাংক হতে উত্তেলনে চেষ্টাকালে বর্তমান আহবায়ক কমিটি সংবাদ পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। নগরীর সন্ধ্যা বাজার সংলগ্ন অবস্থিত অগ্রনী ব্যাংক ফারাজি পাড়া শাখার ম্যানেজার সাথে বিসিডিএস বর্তমান আহবায়ক কমিটির নেতৃবৃন্দের সাথে ম্যানেজারকে আমরা অনুৃরোধ রাখি যে, বিসিডিএস এর খুলনা জেলা শাখার সকল সাধারণ কেমিস্টদের টাকা দুষ্কৃতিকারীরা কোন অবস্থায় যেন টাকা উত্তোলন করতে না পারে এবং সেই মর্মে ম্যানেজার আমাদেরকে আস্বস্থ করেন।
বৃহত্তর হেরাজ মার্কেট ওষুধ ব্যবসায়ীরা জানান, খুলনা তথাকথিত শেখ বাড়ির প্রদত্ত কমিটির দুইজন কর্মকর্তা সভাপতি এ এস এম মনিরুজ্জামান খান (বাবু) এবং সিনিয়র সহ-সভাপতি তাপস কুমার সরকার (শীব) কর্তৃক স্বাক্ষরিত চেক নিয়ে কমিটির দুই দুষ্কৃতি সদস্য ফরিদ এবং পলাশ ব্যাংকে ্উপস্থিত হয়ে টাকা উত্তোলনে চেষ্টা চালায়। এখানেই ক্ষ্যন্ত নয় এই লুটেরা বিগত বিসিডিএস এর কেন্দ্রীয় নির্বাচন কালীন খরচ বাবদ চারটি চেকে ১১ লাখ ৯০ হাজার টাকা আত্মসাতসহ বিসিডিএস খুলনা জেলা শাখার নিজস্ব ভবনের নিচ তলায় অবস্থিত সর্বশেষ দোকান ভাড়াটিয়া নিকট হতে অগ্রীম গ্রহনকৃত ৩ লাখ ৬০ হাজার টাকাসহ সর্বমোট ১৫ লাখ ৫০ হাজার টাকা আত্মসাত করেন যাহার হিসাব অদ্যবদী কোথাও পাওয়া যাই নাই। লক্ষ্যনীয় বিষয় এই যে, বৃহত্তর হেরাজ মার্কেটের কিছু অতি উৎসাহী ও সুযোগ সন্ধানী ব্যবসায়ীদের নিয়ে তথাকথিত শেখবাড়ি কর্তৃক কমিটিকে পুর্নবহল করার ক্ষেত্রে হীন য়ড়যন্ত্রেলীপ্ত। এই চোর চক্রটি কিছু বিগত দিনের সকল আয়-ব্যয়ের হিসাব না দিয়ে সাধারণ ব্যবসায়ীদের নামে চাঁদাবাজী করে নিজের পকেট ভারি করেছেন। এই চক্রটি কিছু সুবিধাবাদী ব্যবসায়ীদেরকে সাথে নিয়ে সাধারন ব্যবসায়ীদেরকে গণতন্ত্রের কথা বলে বিভ্রান্ত করছে। এই হীন চক্রান্ত কারীদের থেকে সাধারন ব্যবসায়ী ভাইদের সর্তক থাকার আহবান করা হইলো। উল্লেখ্য যে, মার্কেটের সাধারন ব্যবসায়ীদের নামে ওষুধ কোম্পানীর নিকট হতে প্রতি বছর পিকনিক বাবদ যে মোটা অংকের চাঁদা আদায় হয় অদ্যবদী মার্কেটের সাধারণ ব্যবসায়ীদের নিকট কোন বছরই কোন আয়-ব্যয় হিসবা প্রেরন করা হয় নাই। মনে রাখা ভালো যে, সাধারন কেমিস্টরা যেখানে একটি কমিটি প্রদান করে সেই কমিটি সাধারন কেমিস্টদের কথা চিন্তা করে এই সমস্ত লুটেরারদের চক্রান্ত বাস্তবায়নহতে দেবে না।