আশাশুনিতে পৈত্রিক সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত করতে ষড়যন্ত্র

আশাশুনি প্রতিনিধি ঃ আশাশুনি উপজেলার গোয়ালডাঙ্গায় পৈত্রিক সম্পত্তি থেকে এক ভাইকে বঞ্চিত করতে মিথ্যা প্রচার ও নানা ষড়যন্ত্রের অভিযোগ পাওয়া গেছে। গোয়ালডাঙ্গা গ্রামের মৃত ইনছার সরদারের মেঝে পুত্রবধূ আঞ্জুয়ারা খাতুন জানান, তার শ্বশুর ২০০৩ সালে ইন্তেকালের সময় ২৫ বিঘা জমি রেখে যান। তার ৪ পুত্র ও ৪ কন্যা সন্তানদের মধ্যে মেঝে পুত্র শফিকুল ইসলামকে ভিটে বাড়ি থেকে ১১ শতক ও পরবর্তীতে অন্যস্থানে সাড়ে ১৬ শতক জমি দেয়। বাকী জমি তারা নিজেরা দখল করে এবং তারা জমি বিক্রী, বন্ধক ও নুরুল ইসলাম মোড়লের কাছে ৯৭ শতক জমি ডিড দিয়ে ভোগজাত করে আসছিল। ৩ বছর মেয়াদ শেষ হলে মেম্বর আঃ কাদেরকে জানালে তরিকুলরা কাগজপত্র দেখাতে পারেনি। তখন বাধ্য হয়ে আমরা জমি দখলে নিতে ৯৭ শতক জমি আমাদের শরীক হাশেম,
টুকু জামাল দিং এর স্বাক্ষর নিয়ে ডিড গ্রহন করে জমি দখল করি। এক বছর মেম্বার জানতে পারেন সেখানে তার জমি নেই। তখন তিনি তার টাকা ফিরিয়ে দেন। আমাদের শরীক গোলাম আম্বিয়া, আবুল কাসেম, কিবরিয়ারা তাদের ভাগের অধিকাংশ জমি হস্তান্তর করেছে এবং আমার ভাগের সাড়ে ১৬ শতক জমিতে কোন অংশ না থাকলেও তারা এই জমিতে দখল নিতে গোলযোগ করে। এমনকি গত ৭ আগষ্ট তারা তারিকুলের নেতৃত্বে আমাদের বাড়িতে আক্রমন চালিয়ে বসত ঘর, গোয়ালঘর ভাংচুর ও আগুনে পোড়ানো, মৎস্য ঘের লুট, মটর সাইকেল, ভ্যান ও টিউবওয়েল ভাংচুর, পশুপাখি ও অন্যান্য মালামাল মেরে ফেলে ও লুট করে। এতে কমপক্ষে ৪/৫ লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়েছে। এব্যাপারে থানা ও সেনাবাহিনীর কাছে লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধ প্রচারিত মিথ্যা সংবাদের প্রতিবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা পুরনো বাড়ি ছেড়ে পৃথক স্থানে বসবাস করি। মামলার হাত থেকে রক্ষা পেতে তারা প্রতিবন্ধি ননদের থেকে সই স্বাক্ষর করে নেওয়াসহ নানা মিথ্যা অভিযোগ এনে অপপ্রচার চালাচ্ছে। অথচ ঐ প্রতিবন্ধী ননদের সাথে আমাদের দেখা সাক্ষাৎ হয়না, কোন যোগাযোগও নেই। আনীত অভিযোগ সম্পর্কে আমাদের কিছুই জানানেই। তাছাড়া আমাদের জামাতাকেও ষড়যন্ত্রমূলক ভাবে অভিযুক্ত করে খবর প্রকাশ করা হয়েছে। তারা উক্ত ষড়যন্ত্রের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জ্ঞাপন করেছেন।