হাজারো মানুষের ভালবাসায় দাকোপে জামায়াত আমিরের দাফন সম্পন্ন

দাকোপ প্রতিনিধি ঃ হাজারো মানুষের শ্রদ্ধা আর ভালবাসায় চীর নিদ্রায় শায়িত হলেন সড়ক দূর্ঘটনায় মৃত্যুবরনকারী দাকোপ উপজেলা জামায়াতের আমির মাওলানা আবু সাঈদ। দলীয় সমাবেশে যাওয়ার পথে ফরিদপুরে মর্মান্তিক সড়ক দূর্ঘটনায় তিনি মারা যান। আজ রবিবার মরহুমের কবর জিয়ারাতে দাকোপে আসছেন জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশের আমির ড. শফিকুল ইসলাম।
শনিবার আসর নামাজ বাদ মরহুমের নিজ কর্মস্থল চালনা বিল্লালিয়া আলিম মাদ্রাসা মাঠে মাওলানা আবু সাঈদের জানাযার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। জানাযার পূর্বে তার জীবনির উপর সংক্ষিপ্ত আলোচনা করেন খুলনা জেলা জামায়াতের আমির মাওলানা ইমরান হোসাইন, দাকোপ বটিয়াঘাটা খুলনা-১ আসনে জামায়াত মনোনীত প্রার্থী মাওলানা আবু ইউসুফ, খুলনা জেলা বিএনপির সাবেক আহবায়ক আলহাজ্ব আমির এজাজ খান, জেলা জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারী মাওলানা গাউসুল আজম হাদী, জেলা জামায়াতনেতা অধ্যাপক আবু রব, দাকোপ উপজেলা ইসলামী আন্দোলনের সভাপতি মাওলানা ইলিয়াছ হোসাইন, উপজেলা খেলাফাত মজলিসের সভাপতি মাওলানা মুস্তাফিজুর রহমান, চালনা বিল্লালিয়া আলিম মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা অজিহুর রহমান, উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারী অধ্যাপক অহিদুজ্জামান, মোঃ বেলাল হোসাইন, শেখ ইউনুস আলী টিটু। এ ছাড়া দাকোপ উপজেলা নির্বাহী অফিসার আসমত হোসেন, দাকোপ থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ সিরাজুল ইসলামসহ উপজেলা জামায়াত, বিএনপি, ইসলামী আন্দোলন, খেলাফাত মজলিস, হেফাজাতে ইসলাম ও উপজেলা ইমাম পরিষদের সর্বস্থরের নেতৃবৃন্দ জানাযায় অংশ গ্রহন করেন। জানাযা শেষে গোড়কাটি চালনা পৌরসভা কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়। জানাযার মাঠে দলীয়ভাবে ঘোষনা দেওয়া আজ রবিবার বেলা ১ টায় জামায়াতের কেন্দ্রীয় আমির ড. শফিকুর রহমান মাওলানা আবু সাঈদের কবর জিয়ারাতের দাকোপে আসবেন। উল্লেখ্য দলীয় মহাসমাবেশে যোগদানের লক্ষ্যে শুক্রবার রাতে তিনি দাকোপের নেতাকর্মিদের গাড়ী বহর নিয়ে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়ে যান। রাত আনুমানিক ৩ টার দিকে ফরিদপুরের ভাঙ্গা মোড় এলাকায় যাত্রা বিরতিকালে পিছন থেকে আসা বেপরোয়া গতির বাস তাদের থেমে থাকা গাড়ী বহরে ধাক্কা দেয়। এ সময় দুই গাড়ীর মাঝে চাপা পড়ে তিনি ঘটনাস্থলেই মারা যান। এ ঘটনায় উপজেলা জামায়াতের অপর ২ কর্মি মোঃ আনিসুর রহমান এবং মোঃ কামাল হোসেন গুরুত্বর আহত হলে তাদের তাৎক্ষনিক ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। মৃত্যুকালে মাওলানা আবু সাঈদ স্ত্রী ও ৪ কন্যা সন্তানসহ অসংখ্য স্বজন ও গুনগ্রাহী রেখে যান। তিনি চালনা বিল্লালিয়া আলিম মাদ্রসার শিক্ষক এবং বিল্লালিয়া দারুস সালাম জামে মসজিদে পেশ ইমামের দায়িত্বে ছিলেন।