বিভিন্ন গণমাধ্যমে একাধিক সংবাদ প্রকাশের পরও বহাল তবিয়তে নর্থ ওয়েস্টার্ন ইউনিভার্সিটির ট্রাস্টিবোর্ড

# কমিটি অবৈধ চেয়ারম্যান, সদস্য সচিবসহ আরো অনেকেই জোর পূর্বক ক্ষমতা দখল করে আছে
# ভিসি, রেজিস্টারকে পদত্যাগসহ আরও ২০জনকে চাকরিচ্যুত করে মিজান ও হাফিজের আত্মিয়দেরকে চেয়ারে বসিয়েছেন বিবিএ’র শিক্ষক শেখ মারুফুর রহমান।
মামুন রেজা ঃ খুলনা নর্থ ওয়েস্টার্ন ইউনিভার্সিটির বিবিএ বিভাগের শিক্ষক মারুফ কতিপয় ছাত্রদের টাকার বিনিময়ে মব সৃষ্টি করে ভিসি ও রেজিস্টারকে জোড়পূর্বক পদত্যাগসহ আরও ২০ জনকে চাকরিচ্যুত করে সেখানে মিজান ও হাফিজকে চেয়ারে বসিয়েছেন। এরপর মিজান ও হাফিজের আত্মীয়দেরকে নিযুক্ত করা হয়েছে। এই ব্যাপারে একজন কর্মকর্তার বক্তব্যে জানা যায়, তাদেরকে বিনা কারণেই ইউনিভার্সিটি থেকে অনানুষ্ঠানিকভাবে বিভিন্ন গণমাধ্যমে একাধিক সংবাদ প্রকাশের পরও বহাল তবিয়তে র্নর্থ ওয়েস্টার্ন ইউনিভার্র্সিটির সেই অবৈধ ট্রাস্টিবোর্ড কমিটি ভিসি, রেজিস্টারকে পদত্যাগসহ আরও ২০জনকে চাকরিচ্যুত করে মিজান ও হাফিজের আত্মিয়দেরকে চেয়ারে বসিয়েছেন শিক্ষক মারুফ।
এবিষয়ে একজন চাকরিচ্যুত কর্মকর্তার বক্তব্যে জানা যাই, তাদেরকে বিনা কারণেই অনানুষ্ঠানিক ভাবে বাদ দেওয়া হয়েছে। বিভিন্ন গণমাধ্যমে একাধিক সংবাদ প্রকাশের পরও কোন প্রতিকার মেলেনি। এদিকে, সৈয়দ হাফিজুর রহমান প্রথম জীবন শুরু করেন ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের দোসর বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও শিল্পপতি আমজাদ নিকারির হাত ধরে তার মাছ ব্যবসা দেখাশুনা করতেন। সেখান থেকে বিপুল অর্থ অবৈধভাবে হাতিয়ে নিয়েছেন। এরপর তিনি খুলনার বড় বাজারে দালালি ব্যবসায় নিয়োজিত ছিলেন। নর্থ ওয়েস্টার্ন ইউনিভার্সিটির বোর্ড অব ট্রাস্টিজে নাম লিখিয়ে অতি অল্প সময়ে হয়ে ওঠেন বেপরোয়া। তিনি মাত্র কয়েকমাসে বিশ্ববিদ্যালয়ে অবৈধভাবে টাকার বিনিময়ে ১৪ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োগ দিয়েছেন। এমনকি তার বাড়ির একাধিক কাজের লোকও বাদ পড়েনি এ নিয়োগ থেকে। তিনি তার মেয়ের কর্মরত ব্যাংকে বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি মোটা অংকের ফান্ড এফডিআরও করিয়েছেন। তিনি বর্তমানে অবৈধভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ড অব ট্রাস্টিজের সদস্য সচিব বনে গেছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাসের কাজে টেন্ডার বাণিজ্যের জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছেন। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং-প্রমোশন খাতসহ বিভিন্ন খাত হতে টাকা বাগিয়ে নেবার নিরন্তর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। তিনি সকাল থেকে রাত অবধি বিশ্ববিদ্যালয়ে রীতিমত অফিস করেন যা বিধি পরিপন্থী।
অবৈধ মিজানুর রহমান নর্থওয়েস্টার্ন ইউনিভার্সিটির অনুমোদিত অংশীদার না হয়েও ট্রাস্টিবোর্ডের চেয়ারম্যান হয়েছেন। বৈধচেয়ারম্যানকে না জানিয়ে তিনি গোপন সভা করে নিজেকে নির্বাচিত করেছেন। এমনকি সাবেক চেয়ারম্যানের অনুপস্থিতিতে নিজেকে চেয়ারম্যান ঘোষণা করেন তিনি এবং কানাইলালকে ভারপ্রাপ্ত ভিসি হিসেবে নিয়োগদান করান। গোপন সূত্রে জানা যায়, কানাইলাল কোন প্রফেসর না হয়েও ভিসির আসন প্রাপ্তি হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্টার সূত্রে জানা গেছে, সর্বোচ্চ ২১ জন ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য হতে পারে। কিন্তু নর্থওয়েস্টার্ন ইউনিভার্সিটির ট্রাস্টিবোর্ডে ১৮ জন সদস্য থাকায় এসুযোগে বাকী তিনজনের পদ পূরণ করতে গত ৩০ জানুয়ারী মোঃ মিজানুর রহমান, হাফিজুর রহমান ও আজিজুল হকের নাম ট্রাস্টি হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করার জন্য আরজেএসসিতে পাঠানো হয়। তবে আরজেএসসি থেকে তাদের এখনও ট্রাস্টি হিসেবে অনুমোদন করেনি। এবিষয়ে তার সাক্ষাতকার নেওয়ার চেষ্টা করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি। এবং একাধিকবার ফোন দেওয়ার পরও সে কল রিসিভ করেনি।
সার্কুলার ছাড়া কিভাবে নিয়োগ পেলেন প্রশ্নের জবাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্টার ড. এসকে শফিকুর রহমান বলেন, আমি মেজরিটি বোর্ড মেম্বার মিটিংয়ের মাধ্যমে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পেয়েছি। বোর্ড কমিটি বিলুপ্তর বিষয়ে তিনি বলেন, ১৮ জন সদস্যর মধ্যে ৬-৭ জন ইউনিভার্সিটিতে আসেনা। যে কোন মিটিংয়ের বিষয়ে তাদের চিঠির মাধ্যমে অবগত করা হলেও তারা মিটিংয়ে উপস্থিত থাকে না। এ ব্যাপারে কয়েক জনের সাথে যোগাযোগ করে জানা যায়, আসলে এপর্যন্ত তারা কোন চিঠি পাইনি। ইউজিসি থেকে মিটিংসহ অন্যান্য কার্যক্রম বন্ধের নির্দেশ দিয়েছেন তারপরেও কেন ইউজিসির আদেশ অমাণ্য করে আপনারা মিটিংয়ের পর মিটিং করেই যাচ্ছেন। এবিষয়ে জানতে চাইলে রেজিস্টার বলেন, আমরা এরকম কোন নির্দেশনা বা কোন চিঠি পাইনি। আপনাদের কাছে যদি এমন কোন তথ্য থাকে তাহলে আমাদের জানান, আমরা মিটিংসহ সকল কার্যক্রম বন্ধ করে দিব। কন্ট্রোলার ও রেজিস্ট্রার পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ছাড়া কিভাবে দুটি শুন্যপদে নিয়োগ হলো। এছাড়া আরও বিভিন্ন পদেও নিয়োগ হয়েছে বিজ্ঞপ্তি ছাড়া এ প্রশ্নের জবাবে রেজিস্ট্রার জানান, ট্রাস্টি বোডেৃর সদস্যরা মেজরিটি বোর্ড মেম্বার মিটিংয়ের মাধ্যমে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ হয়েছে। ইউজিসি যখন ডেকে ছিলেন সেখানে মিটিং শেষে কি সমাধান হয়েছিলো প্রশ্নের বিষয়ে জানতে চাইলে তারা বলেন, উভয় পক্ষকে সাথে রেখেই কার্যক্রম পরিচালনা করতে বলেছেন। কিন্তু এখানে উভয় পক্ষের উপস্থিতি পাওয়া যায়নি। কোন প্রকার নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে দখল করেন ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য সচিব ও চেয়ারম্যানের পদ। এবং বিভিন্ন খাতে ভুয়া ভাউচার করে হাতিয়ে নেন মোটা অংকের টাকা। যেমনঃ বিভিন্ন মিটিং দেখিয়ে, আসবার পত্র ক্রয়, মার্কেটিং সহ আরো অনেক খাতে। উক্ত বিষয়ে ইউজিসির চেয়ারম্যানের সাথে যোগাযোগ করার জন্য তাকে একাধিকবার ফোন করা হয়। তিনিও ফোন রিসিভ করেননি। এই বিষয়কে কেন্দ্র করে ছাত্র-ছাত্রি ও অভিভাবকদের মাঝে সৃষ্টি হয়েছে বিরূপ প্রতিক্রিয়া। তাদের দাবি সুষ্ঠ ও নিরেপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত সত্য উদঘাটন এবং দোষীদের শাস্তির আওতায় আনা হোক। সিরাজুল হক চৌধুরীকে বাদ দিয়ে মিজানুর রহমান চেয়ারম্যান হয় ২১ মে তারিখে। সিরাজুল হক চৌধুরী জয়েন্ট স্টক কোম্পানিতে ট্রাস্টি সংযোজন বিয়োজন না করার আবেদন করে ২৮ মে তারিখে। সিরাজুল হক চৌধুরী ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটে অবৈধ দখলদারদের বিরুদ্ধে সাংবাদিক সম্মেলন করেন ৩ জুন তারিখে। তাহলে উনি ৩০ জুন তারিখে এজিএমে সাইন করলেন কিভাবে? ১ সেপ্টেম্বর ২০২৫ তারিখে জয়েন্ট স্টক কোম্পানিতে আবেদনই বা দিবেন কিভাবে? গত ২১ মে তারিখে বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মোহাম্মদ সিরাজুল হক চৌধুরী লন্ডনে অবস্থানকালীন সময়ে প্রস্তাবিত সদস্য মোঃ মিজানুর রহমান, সৈয়দ হাফিজুর রহমান, আওয়ামী লীগের সাংগাঠনিক সম্পাদক, খুলনা ৩ আসনের সাবেক সাংসদ ও বোর্ড অব ট্রাস্টিজের ভাইস চেয়ারম্যান এস এম কামাল হোসেনের ভগ্নিপতি ড. মোঃ রেজাউল আলম এবং ভগ্নি নাহিদ নেওয়াজী, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপদেষ্টা প্রফেসর ড. বজলুল হক খন্দকার ও তার পতিœ সৈয়দা লুৎফা হক কে নিয়ে অবৈধ বোর্ড সভা ডাকেন। এই বোর্ড সভা ডাকার পরিকল্পনা করেন কানাই লাল সরকার। এবং এই সভায় অবৈধভাবে মোঃ মিজানুর রহমান কে বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান মনোনীত করেন।
সদস্য সচিব (সৈয়দ হাফিজুর রহমান) সকাল থেকে রাত অব্দি রীতিমত বিশ্ববিদ্যালয় অফিস করেন যা বিধি পরিপন্থী। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, তদন্ত কে কেন্দ্র করে একটা বিষয়ে ফাউন্ডার ট্রাস্টি ও বৈধ চেয়ারম্যান সিরাজুল হক চৌধুরীর সঙ্গে আমাদের মত অনৈক্য হয়। এ ব্যাপারে চেয়ারম্যান জনাব সিরাজুল হক চৌধুরীকে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, আমি বিগত ১২ বছরের দুর্নীতির ব্যাপারে পূর্ণাঙ্গ তদন্ত করতে চেয়েছিলাম কিন্তু বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের উপদেষ্টা প্রফেসর ডক্টর খন্দকার বজলুল হক, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামালের বোন, নাহিদ নেওয়াজি ও ভগ্নিপতি রেজাউল আলম আমাকে বাধা প্রদান করেন। কারণ খন্দকার বজলুল হক একই সাথে ট্রাস্টে ও ভিসি হিসাবে সুবিধা ভোগ করেছেন এবং নাহিদ নেওয়াজি ট্রাস্টি হয়েও নিয়মিতভাবে ফাইন্যান্স ডাইরেক্টর এর দায়িত্ব পালন করেন। এই তিনজন মিলে অবৈধ বিল ভাউচার করে কয়েক কোটি টাকা লুটপাট করেছেন। মূলত তাদের দুর্নীতি ঢাকতে এই দুই দখলবাজ কে নিয়ে এহেন চক্রান্তে মেতেছে। আমাকে পূর্ণাঙ্গ তদন্ত করতে দিলে পুরোটা পরিষ্কার হয়ে এবিষয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে একাধিক সংবাদ প্রকাশের পরও কোন প্রতিকার মেলেনি। এদিকে, সৈয়দ হাফিজুর রহমান প্রথম জীবন শুরু করেন ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের দোসর বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও শিল্পপতি আমজাদ নিকারির হাত ধরে। তার মাছ ব্যবসা দেখাশুনা করতেন। সেখান থেকে বিপুল অর্থ অবৈধভাবে হাতিয়ে নিয়েছেন। এরপর তিনি খুলনার বড় বাজারে দালালি ব্যবসায় নিয়োজিত ছিলেন। নর্থ ওয়েস্টার্ন ইউনিভার্সিটির বোর্ড অব ট্রাস্টিজে নাম লিখিয়ে অতি অল্প সময়ে হয়ে ওঠেন বেপরোয়া। তিনি মাত্র কয়েকমাসে বিশ্ববিদ্যালয়ে অবৈধভাবে টাকার বিনিময়ে ১৪ জনকে গ্রেড ২, ৩, ৪ সহ বিভিন্ন পদে কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োগ দিয়েছেন। এমনকি তার বাড়ির কাজের লোকও বাদ পড়েনি এ নিয়োগ থেকে। তিনি তার মেয়ের কর্মরত ব্র্যাক ব্যাংকে বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি মোটা অংকের ফান্ড এফডিআরও করিয়েছেন। তিনি বর্তমানে অবৈধভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ড অব ট্রাস্টিজের সদস্য সচিব বনে গেছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাসের কাজে টেন্ডার বাণিজ্যের জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছেন। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং-প্রমোশন খাতসহ বিভিন্ন খাত হতে টাকা বাগিয়ে নেবার নিরন্তর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। তিনি সকাল থেকে রাত অবধি বিশ্ববিদ্যালয়ে রীতিমত অফিস করেন যা বিধি পরিপন্থী।
অবৈধ মিজানুর রহমান নর্থওয়েস্টার্ন ইউনিভার্সিটির অনুমোদিত অংশদান না হয়েও ট্রাস্টিবোর্ডের চেয়ারম্যান হয়েছেন। বৈধ চেয়ারম্যানকে না জানিয়ে তিনি গোপন সভা করে নিজেকে নির্বাচিত করেছেন। এমনকি সাবেক চেয়ারম্যানের অনুপস্থিতিতে নিজেকে চেয়ারম্যান ঘোষণা করেন তিনি। এবং কানাইলালকে ভারপ্রাপ্ত ভিসি হিসেবে নিয়োগদান করান। গোপন সূত্রে জানা যায়, কানাইলাল কোন প্রফেসর না হয়েও ভিসির আসন প্রাপ্তি হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্টার সূত্রে জানা গেছে, সর্বোচ্চ ২১ জন ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য হতে পারে। কিন্তু নর্থওয়েস্টার্ন ইউনিভার্সিটির ট্রাস্টিবোর্ডে ১৮ জন সদস্য থাকায় এসুযোগে বাকী তিনজনের পদ পূরণ করতে গত ৩০ জানুয়ারী মোঃ মিজানুর রহমান, হাফিজুর রহমান ও আজিজুল হকের নাম ট্রাস্টি হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করার জন্য আরজেএসসিতে পাঠানো হয়। তবে আরজেএসসি থেকে তাদের এখনও ট্রাস্টি হিসেবে অনুমোদন করেনি। এ বিষয়ে তার সাক্ষাতকার নেওয়ার চেষ্টা করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি। এবং একাধিকবার ফোন দেওয়ার পরও সে কল রিসিভ করেনি।
শিক্ষক হয়েও ফাইনান্স ডিরেক্টরের দায়িত্ব কিভাবে পালন করছেন প্রশ্নের জবাবে প্রফেসর আব্দুর রউফ বলেন, ফাইনান্স ডিরেক্টর উপস্থিত না থাকার কারনে তাকে রেজিস্ট্রার (এসকে শফিকুর রহমান) কর্তৃক সাময়িকভাবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। বর্তমান বোর্ড কমিটি বৈধ কিনা এবিষয়ে জিজ্ঞাসা করলে তিনি এড়িয়ে যান। কেডিএ প্লান পাস থাকা সত্বেও কি কারনে আবার প্লান পরিবর্তন করেছেন, এখানে আপনাদের কি লাভ এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এ ব্যাপারে চেয়ারম্যান স্যার অবগত আছেন। আমি কিছু জানি না।
সার্কুলার ছাড়া কিভাবে নিয়োগ পেলেন প্রশ্নের জবাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্টার ড. এসকে শফিকুর রহমান বলেন, আমি মেজরিটি বোর্ড মেম্বার মিটিংয়ের মাধ্যমে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পেয়েছি। বোর্ড কমিটি বিলুপ্তর বিষয়ে তিনি বলেন, ১৮ জন সদস্যর মধ্যে ৬-৭ জন ইউনিভার্সিটিতে আসেনা। যে কোন মিটিংয়ের বিষয়ে তাদের চিঠির মাধ্যমে অবগত করা হলেও তারা মিটিংয়ে উপস্থিত থাকে না। এব্যাপারে কয়েক জনের সাথে যোগাযোগ করে জানা যায়, আসলে এপর্যন্ত তারা কোন চিঠি পাইনি। ইউজিসি থেকে মিটিংসহ অন্যান্য কার্যক্রম বন্ধের নির্দেশ দিয়েছেন তারপরেও কেন ইউজিসির আদেশ অমাণ্য করে আপনারা মিটিংয়ের পর মিটিং করেই যাচ্ছেন। এবিষয়ে জানতে চাইলে রেজিস্টার বলেন, আমরা এরকম কোন নির্দেশনা বা কোন চিঠি পাইনি। আপনাদের কাছে যদি এমন কোন তথ্য থাকে তাহলে আমাদের জানান, আমরা মিটিংসহ সকল কার্যক্রম বন্ধ করে দিব। কন্ট্রোলার ও রেজিস্ট্রার পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ছাড়া কিভাবে দুটি শুন্যপদে নিয়োগ হলো। এছাড়া আরও বিভিন্ন পদেও নিয়োগ হয়েছে বিজ্ঞপ্তি ছাড়া এ প্রশ্নের জবাবে রেজিস্ট্রার জানান, ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্যরা মেজরিটি বোর্ড মেম্বার মিটিংয়ের মাধ্যমে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ হয়েছে। ইউজিসি যখন ডেকে ছিলেন সেখানে মিটিং শেষে কি সমাধান হয়েছিলো প্রশ্নের বিষয়ে জানতে চাইলে তারা বলেন, উভয় পক্ষকে সাথে রেখেই কার্যক্রম পরিচালনা করতে বলেছেন। কিন্তু এখানে উভয় পক্ষের উপস্থিতি পাওয়া যায়নি। কোন প্রকার নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে দখল করেন ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য সচিব ও চেয়ারম্যানের পদ। এবং বিভিন্ন খাতে ভুয়া ভাউচার করে হাতিয়ে নেন মোটা অংকের টাকা। উক্ত বিষয়ে ইউজিসির চেয়ারম্যানের সাথে যোগাযোগ করার জন্য তাকে একাধিকবার ফোন করা হয়। তিনিও ফোন রিসিভ করেননি। এই বিষয়কে কেন্দ্র করে ছাত্র-ছাত্রি ও অভিভাবকদের মাঝে সৃষ্টি হয়েছে বিরূপ প্রতিক্রিয়া। তাদের দাবি সুষ্ঠ ও নিরেপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত সত্য উদঘাটন এবং দোষীদের শাস্তির আওতায় আনা হোক।



