ফজরের আজান চলাকালে মসজিদে গ্রেনেড নিক্ষেপ

ইসরায়েলি সেনাদের ঔদ্ধ্যত্য, হামাস নয় মুসলিম নিধনের ছক, মসজিদে গ্রেনেড নিক্ষেপের ভিডিও প্রকাশ ইসরাইলের, লোক দেখানো সেনা বরখাস্তের সংবাদ
প্রবাহ রিপোর্ট ঃ গত ৭ অক্টোবর থেকে ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় নির্বিচারে বোমা হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েল। নৃশংস বোমা হামলার পাশাপাশি গত ২৮ অক্টোবর থেকে গাজায় স্থল হামলাও শুরু করে ইসরায়েলের পদাতিক বাহিনী। এরই মধ্যে ইসরায়েলি বাহিনীর বর্বর হামলায় নিহত হয়েছেন ১২ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি। তারা হামাস নিধন করছে এমন কোন সংবাদ নেই। ইসরাইল ফিলিস্তিনের সাধারণ জনগণকে নির্বিচারে হত্যা করছে এটা মূলতঃ যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরাইলের মুসলিম নিধনের ছকের একটি অংশ। যাহার নিহত হচ্ছেন তাদের ৭০ শতাংশই নারী ও শিশু। এছাড়াও আহত হয়েছেন ৩০ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি। গাজায় ইসরায়েলি বর্বরতার নানা চিত্র গণমাধ্যমের খবরে উঠে আসছে। যদিও এসব সংবাদ চেপে যেতে সেখানে ইন্টারনেট, মোবাইল নেটওয়ার্কসহ সব ধরনের যোগাযোগ ব্যবস্থা একাধিকবার বিকল করে দিয়েছে ইসরায়েল। তারপরও ইসরায়েলি বাহিনীর নৃশংসতার কিছু কিছু চিত্র প্রকাশ্যে এসেছে। গণমাধ্যমের খবরে জানা গেছে, গাজায় বহু সংখ্যক মসজিদ বোমা হামলা চালিয়ে ধ্বংস করে দিয়েছে ইসরায়েল। এবার প্রকাশ্যে এসেছে আরেকটি জঘন্য কর্মকা-।
ইসরায়েলি সেনার একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। সেটিতে দেখা যাচ্ছে, ফিলিস্তিনের রামাল্লাহর বুদরুস গ্রামের একটি মসজিদে ফজরের আজান চলার সময় একটি স্টান গ্রেনেড ছুঁড়ছে ওই ইসরায়েলি সেনা। ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইসরায়েল জানিয়েছে, শুক্রবার এ ঘটনা ঘটে। আজান চলাকালীন মসজিদে গ্রেনেড ছোড়া ওই সেনাকে অবশ্য ইতোমধ্যে বরখাস্ত করেছে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ)। ইসরায়েলি অপর সংবাদমাধ্যম হারেৎজ ডেইলি জানিয়েছে, ইসরায়েলি সেনারা ফিলিস্তিনিদের অপদস্থ করে গত কয়েকদিন ধরে ভিডিও ধারণ করছে এবং সেগুলো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশ করছে। মসজিদে গ্রেনেড ছোড়ার বিষয়টি ওই ট্রেন্ডেরই অংশ। সূত্র: টাইমস অব ইসরায়েল।