২১ ফেব্রুয়ারিতে বন্ধ থাকবে যেসব সড়ক

প্রবাহ রিপোর্ট : একুশে ফেব্রুয়ারি মহান শহীদ দিবস উপলক্ষে আজিমপুর কবরস্থান ও কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে যাতায়াতের জন্য একটি রুট-ম্যাপ প্রণয়ন করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় একুশে উদযাপন কেন্দ্রীয় সমন্বয় কমিটি। গতকাল সোমবার দুপুর সাড়ে ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের আবদুল মতিন ভার্চুয়াল ক্লাসরুমে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ ম্যাপ প্রকাশ করেন উপাচার্য ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল। রুটম্যাপ অনুযায়ী, এদিন উপাচার্যবাসভবন গেইট থেকে ফুলার রোড মোড়, টিএসসির সড়কদ্বীপ থেকে বকসিবাজার সড়ক, কাজী মোতাহার হোসেন থেকে শহীদ মিনারের সড়ক এবং দোয়েল চত্বর থেকে চানখারপুল পর্যন্ত সড়ক বন্ধ থাকবে। সর্বস্তরের জনসাধারণ পলাশী মোড় হয়ে সলিমুল্লাহ মুসলিম হল ও জগন্নাথ হলের সামনে দিয়ে শহিদ মিনারে যাবেন এবং পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন। শহীদ মিনারে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণের পর সেখান থেকে বিশ্ববিদ্যালয় খেলার মাঠের সামনের রাস্তা দিয়ে দোয়েল চত্বর ও ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের রাস্তা দিয়ে চাঁনখারপুল হয়ে শুধুমাত্র প্রস্থান করা যাবে, শহীদ মিনারের দিকে আসা যাবে না। এছাড়া শহীদদের কবরে শ্রদ্ধা জানানোর জন্য জনসাধারণ হোম ইকোনোমিকস মোড় দিয়ে আজিমপুর কবরস্থানের উত্তর গেটের দিকে যাবে। শ্রদ্ধা প্রদর্শনের পর দক্ষিণ গেট দিয়ে ইডেন মেড় হয়ে বের হবে। শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণের ক্ষেত্রে যথাযথভাবে রুটম্যাপ অনুসরণ জন্য সকলকে উপাচার্য অনুরোধ করেন। প্রবেশপথে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারীসহ বিএনসিসি, রেড ক্রিসেন্ট, রোভার স্কাউটস, রেঞ্জার ও স্বেচ্ছাসেবকবৃন্দ বিভিন্ন দায়িত্বে নিয়োজিত থাকবেন। তাদেরকে যথাযথ সহযোগিতা প্রদানের জন্য তিনি সকলের প্রতি আহ্বান জানান তিনি। উপাচার্য বলেন, রাত ১২টা ১ মিনিটে একুশের প্রথম প্রহরে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের বেদিতে প্রথম পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের মহামান্য রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, জাতীয় সংসদের স্পিকার, প্রধান বিচারপতি, মন্ত্রীবর্গ, জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার ও জাতীয় সংসদের বিরোধী দলীয় নেতা। এরপর পর্যায়ক্রমে পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন তিন বাহিনীর প্রধানবৃন্দ, সম্মানিত ভাষা সৈনিকবৃন্দ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্য, সম্মানিত সিনেট ও সিন্ডিকেট সদস্যবৃন্দ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি, অনুষদের ডিনবৃন্দ ও হলের প্রাধ্যক্ষবৃন্দ। এরপর রাত সাড়ে ১২টা থেকে সর্বস্তরের জনসাধারণের শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণের জন্য শহীদ মিনার উন্মুক্ত থাকবে। উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল বলেন, রাষ্ট্রাচার অনুযায়ী একুশের প্রথম প্রহরে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণের উদ্দেশ্যে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের বেদিমূল প্রস্তুত করার যথাসময়েই তা সম্পন্ন হবে। এ বছর প্রতিটি সংগঠন ও প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে এবং ব্যক্তি পর্যায়ে শহীদ মিনারের বেদিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করতে পারবেন। এ সময়ে শহীদ মিনার এলাকায় কোনো সভা সেমিনার বা প্রোগ্রাম করা যাবে না, ব্যানার টানানো যাবে না। সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ, উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. সীতেশ চন্দ্র বাছার, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মমতাজ উদ্দিন আহমেদ, অমর একুশে উদযাপন কেন্দ্রীয় সমন্বয় কমিটির সমন্বয়কারী ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. নিজামুল হক ভূইয়া, যুগগ্ম-সমন্বয়কারী ও শিক্ষক সমিতির সহ-সভাপতি ও বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. আবদুস ছামাদ, যুগ্ম-সমন্বয়কারী ও শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. জিনাত হুদা এবং প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. মাকসুদুর রহমান।