জাতীয় সংবাদ

মিউনিখ সফর নিয়ে যা জানালেন প্রধানমন্ত্রী

প্রবাহ রিপোট : জার্মানির মিউনিখ শহরে ১৬ থেকে ১৮ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত ৬০তম মিউনিখ সিকিউরিটি কনফারেন্সে অংশ নেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জনের পর টানা চতুর্থ বারের মতো ক্ষমতায় এসে এটিই ছিল প্রধানমন্ত্রীর প্রথম সরকারি সফর। গতকাল শুক্রবার গণভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে এই সফরের বিষয়ে বিস্তারিত তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করার সময় প্রধানমন্ত্রী জানান, মিউনিখ সিকিউরিটি কনফারেন্সে মূলত রাষ্ট্র/সরকারপ্রধান, আন্তর্জাতিক সংস্থা ও এনজিও নেতৃবৃন্দ, গণমাধ্যম, সুশীল সমাজ, সরকারি এবং বেসরকারি খাতের শীর্ষস্থানীয় প্রতিনিধিরা অংশ নেন। এটি সমকালীন ও ভবিষ্যৎ নিরাপত্তার স্বার্থে উচ্চ-পর্যায়ের নিয়মিত আলোচনার একটি শীর্ষস্থানীয় ফোরাম হিসেবে বিবেচিত। এ বছরের ফোরামে ৩৫ জনেরও বেশি রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধান অংশগ্রহণ করেছেন। বড় শক্তিগুলোর প্রতিদ্বন্দ্বিতা এবং আঞ্চলিক সংঘাত, অর্থনৈতিক নিরাপত্তা, নিউক্লিয়ার নিরাপত্তা, খাদ্য নিরাপত্তা, জলবায়ু নিরাপত্তা, তথ্য নিরাপত্তা, পানি নিরাপত্তা, অভিবাসন, সাপ্লাই চেইন, আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স, মহামারি ইত্যাদি বিষয়ে এবারের ফোরামে আলোচনা করা হয়। সফরের প্রথম দিন ১৬ ফেব্রুয়ারি প্রধানমন্ত্রী ‘ফ্রম পকেট টু প্ল্যানেট: স্কেলিং আপ ক্লাইমেট ফিন্যান্স’ সংক্রান্ত একটি উচ্চ পর্যায়ের প্যানেল আলোচনায় অংশ নেন। তিনি প্যানেলের উদ্বোধনী বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন। এ সময় ফিলিস্তিনের গাজা ও বিশ্বের অন্যান্য প্রান্তে চলমান যুদ্ধ-বিগ্রহ, অবৈধ দখলদারিত্ব এবং নিরস্ত্র মানুষের, বিশেষ করে নারী ও শিশুদের অমানবিক হত্যার কবল থেকে মুক্ত করে সব প্রকার যুদ্ধ অবিলম্বে বন্ধ করার জোর আহ্বান জানান শেখ হাসিনা। আর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা ও পাল্টা-নিষেধাজ্ঞার বিরূপ প্রভাব যে যুদ্ধক্ষেত্র থেকেও বহুদূর পর্যন্ত অনুভূত হয়, এ বিষয়ে সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। এ ছাড়া অর্থহীন অস্ত্র-প্রতিযোগিতার সমাপ্তি ঘটিয়ে জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি মোকাবিলায় প্রয়োজনীয় রসদ ও অর্থায়ন সহজলভ্য এবং কার্যকর করার জন্য সবাইকে অনুরোধ করেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে সৃষ্ট সমস্যা মোকাবিলায় প্রয়োজনীয় অর্থায়নের বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে বিবেচনার জন্য বিশ্বের সবাইকে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানান। জলবায়ু পরিবর্তনজনিত বহুবিধ নিরাপত্তা ঝুঁকি মোকাবিলায় ক্ষতিগ্রস্ত দেশ ও জনগোষ্ঠীর জন্য অর্থায়নের পরিমাণ বৃদ্ধি, প্রতিশ্রুত অর্থের বাস্তবিক হস্তান্তর, ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোতে আর্থিক ও প্রযুক্তিগত সহায়তা নিশ্চিত করার ওপর তিনি বিশেষভাবে জোর দেন। এদিন উইমেন পলিটিক্যাল লিডার্স (ডব্লিউপিএল)-এর সভাপতি ও প্রতিষ্ঠাতা সিলভানা কোচ মেহরিন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। তিনি প্রধানমন্ত্রী হিসেবে পুনর্নির্বাচিত হওয়ায় শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানান এবং গত দেড় দশকে বাংলাদেশে নারীর রাজনৈতিক ক্ষমতায়নের প্রশংসা করেন। নারীর রাজনৈতিক ক্ষমতায়নে অসামান্য অবদানের জন্য প্রধানমন্ত্রীকে ডব্লিউপিএলের ট্রেইলব্লেজার অ্যাওয়ার্ড ২০২৩ গ্রহণের জন্য আগামী ২০ মার্চ এথেন্সে অনুষ্ঠেয় ডব্লিউপিএল সামিটে অংশ নেওয়ার আমন্ত্রণ জানান। একইদিন প্রধানমন্ত্রী কাতারের প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ বিন্ আব্দুলরাহ্মান আল-থানির সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেন। তিনি পুনর্নির্বাচিত হওয়ায় প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানান। পাশাপাশি দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে আরও জোরদার করার আশাবাদ ব্যক্ত করেন। এ ছাড়া পারস্পরিক ব্যবসা-বাণিজ্য, বিনিয়োগ, এলএনজি সরবরাহ প্রভৃতির পাশাপাশি রোহিঙ্গা সমস্যার টেকসই ও দ্রুত সমাধানে কাতারের অব্যাহত সমর্থনের ব্যাপারে তিনি আশ্বস্ত করেন। গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি সহিংসতা বন্ধে একযোগে কাজ করার প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কেও দুই নেতা আলোচনা করেন। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন বিশ্বব্যাংকের উন্নয়ন নীতি ও অংশীদারিত্ব বিষয়ক জ্যেষ্ঠ ব্যবস্থাপনা পরিচালক আক্সেল ফন ট্রটসেনবার্গ। বর্তমান অর্থবছরে বাজেট সহায়তা হিসেবে বিশ্বব্যাংক থেকে অঙ্গীকার করা ৫০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার দ্রুত ছাড়ের আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী। পাশাপাশি জোরপূর্বক স্থানান্তরিত রোহিঙ্গাদের সাহায্যে এবং এই সমস্যার বিরূপ প্রভাবে আক্রান্ত দেশ হিসেবে বাংলাদেশকে দেওয়া ৭০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের অর্থায়ন সহায়তার জন্য বিশ্বব্যাংককে ধন্যবাদ জানান। বাংলাদেশের উচ্চ-মধ্যম আয় ও উচ্চ-আয়ের দেশের পর্যায়ে উত্তীর্ণ হবার কাক্সিক্ষত পথে বিশ্বব্যাংকের সহায়তা অব্যাহত থাকবে বলে এই কর্মকর্তা আশ্বস্ত করেন। বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিচালক ডক্টর টেড্রস আধানম গেব্রিয়েসাসও প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। তিনি বাংলাদেশের স্বাস্থ্যখাতে, বিশেষ করে মৌলিক স্বাস্থ্যসেবায় বাংলাদেশের অর্জনের প্রশংসা করেন। আসন্ন বিশ্ব স্বাস্থ্য সমাবেশে প্রধানমন্ত্রীকে অংশ নেওয়ার আমন্ত্রণ জানান। ফেসবুকের মূল প্রতিষ্ঠান মেটার গ্লোবাল অ্যাফেয়ার্স প্রেসিডেন্ট ও যুক্তরাজ্যের সাবেক উপ-প্রধানমন্ত্রী স্যার নিক্ ক্লেগ প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে পুনর্নির্বাচিত হওয়ায় তাকে অভিনন্দন জানান। বাংলাদেশের ডিজিটাল খাতের উন্নয়ন ও অনলাইন প্ল্যাটফর্ম ব্যবহারের মাধ্যমে ডিজিটাল বাণিজ্যের ক্ষেত্র সুবিস্তারে সরকারের ভূমিকার ভূয়সী প্রশংসা করেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী তাকে বাংলাদেশে বিভিন্ন মেটা প্ল্যাটফর্ম যেমন ফেসবুক, হোয়াটস্অ্যাপ, ইন্সটাগ্রাম প্রভৃতির ব্যক্তিগত ও বাণিজ্যিক ব্যবহারকারীর সুউচ্চ সংখ্যার প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করে একটি কার্যালয় স্থাপনের পরামর্শ দেন। ডেনমার্কের প্রধানমন্ত্রী মেট্ েফ্রেডরিক্সেনের সঙ্গেও দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী। আলোচনাকালে বাংলাদেশের বন্দর অবকাঠামো, নবায়নযোগ্য জ¦ালানি ও আইসিটি খাতে ড্যানিশ কোম্পানিসমূহের ক্রমবর্ধমান আগ্রহের পাশাপাশি বিরাজমান রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে ডেনিশ সরকারের মানবিক সহায়তা অব্যাহত থাকার বিষয়ে আশ্বস্ত করেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী। সফরের দ্বিতীয় দিন ১৭ ফেব্রুয়ারি নেদারল্যান্ডসের প্রধানমন্ত্রী মার্ক রুটে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেন। তারা বাংলাদেশ ব-দ্বীপ পরিকল্পনা ২১০০ বাস্তবায়ন, কৃষি ও তথ্যপ্রযুক্তি খাতে জ্ঞান-প্রযুক্তি-উদ্ভাবন বিস্তারে বিদ্যমান সহযোগিতা আরও গভীরতর করার বিষয়ে আলোচনা করেন। ভারতের বিদেশমন্ত্রী ড. এস. জয়শঙ্কর এ দিন সাক্ষাৎ করে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে পুনর্নির্বাচিত হওয়ায় শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানান। এ সময় তারা উভয়েই দুই বন্ধু-রাষ্ট্রের মধ্যে বর্তমানে বিদ্যমান দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের বিষয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন এবং দুই দেশের বাণিজ্য নিজস্ব মুদ্রায় পরিচালনার প্রয়োজনীয়তার বিষয়ে একমত পোষণ করেন। জয়শঙ্কর আগামী এপ্রিল/মে মাসে ভারতের সাধারণ নির্বাচনের পর দুই দেশের নতুন সরকারের মধ্যে বাংলাদেশ-ভারত পঞ্চ-বার্ষিক সহযোগিতা বিষয়ক রোডম্যাপ প্রণয়নের বিষয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করেন। মিয়ানমার ও মধ্যপ্রাচ্যে সংঘাত বিষয়েও দুই জনের মধ্যে আলোচনা হয়। ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী রাইট অনারেবল্ লর্ড ক্যামেরন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করে পুনর্নির্বাচিত হওয়ায় অভিনন্দন জানান এবং ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে পাঠানো শুভেচ্ছা পৌঁছে দেন। এ সময় দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ও বিনিয়োগ, বিমান চলাচল অংশীদারিত্ব, অভিবাসন, রোহিঙ্গা সমস্যা এবং ইউক্রেন ও গাজা উপত্যকায় চলমান যুদ্ধ এবং মিয়ানমার ও লোহিত সাগরে বিদ্যমান পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়। এ ছাড়াও এদিন সাক্ষাৎ করেন জার্মান অর্থনৈতিক সহযোগিতা ও উন্নয়ন মন্ত্রী সভেনিয়া শুলৎজা। ইউ-এর জিএসপি প্লাস বাণিজ্য সুবিধাসহ পারস্পরিক বাণিজ্য ও বিনিয়োগ, বাংলাদেশের নবায়নযোগ্য জ¦ালানি ও তথ্যপ্রযুক্তি খাতে জার্মান বিনিয়োগ এবং সার্বিক জলবায়ু সহনশীলতা অর্জন বিষয়ে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা বর্ধিতকরণের বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে। বৈঠককালে দুই দেশের বিদ্যমান দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের বিষয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন দুই নেতা। গম, ভোজ্যতেল ও অন্যান্য কৃষিপণ্যে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য সহযোগিতার ইচ্ছে প্রকাশ করেন শেখ হাসিনা। তিনি ইউক্রেন-রাশিয়া সংঘাতের দ্রুত সমাধানের কার্যকর উপায় অন্বেষণের অনুরোধ করেন জেলেনস্কিকে। এ ছাড়াও গাজা উপত্যকায় সংঘাতের বিষয়ে মতবিনিময় করেন তারা। এরপর আমি আজারবাইজানের প্রেসিডেন্ট ইল্হাম আলিইয়্যেভের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী। তারা দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য, বিনিয়োগ এবং জলবায়ু পরিবর্তন সংক্রান্ত সহযোগিতার বিষয়ে আলোচনা করেন। জলবায়ু পরিবর্তন সংক্রান্ত বিষয়ে নেতৃত্বদানের জন্য আজারবাইজানের রাষ্ট্রপতি শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ দেন এবং এ বছর নভেম্বরে বাকু-তে অনুষ্ঠিতব্য কপ-২৯ এ যোগদানের জন্য শেখ হাসিনাকে আমন্ত্রণ জানান। জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শোলজ্ দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে। প্রধানমন্ত্রী হিসেবে পুনর্নির্বাচিত শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানান তিনি। বাণিজ্য ও বিনিয়োগ, জলবায়ু পরিবর্তন, নবায়নযোগ্য জ¦ালানি ও হাইড্রোজেন প্রযুক্তি এবং দক্ষ অভিবাসন সংক্রান্ত বিষয়ে আলোচনা করেন দুই নেতা। এ ছাড়াও ইউক্রেন ও গাজা উপত্যকায় চলমান যুদ্ধের প্রসঙ্গে মতবিনিময় করেন। এসব সংঘাত দ্রুত অবসানের বিষয়ে কার্যকর উপায় অন্বেষণের জন্য শেখ হাসিনা তাকে অনুরোধ করেন। সিকিউরিটি কনফারেন্সে যোগদানের পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী ১৬ ফেব্রুয়ারি জার্মান আওয়ামী লীগ আয়োজিত একটি নাগরিক সংবর্ধনা সভায় যোগ দেন। ১৯ ফেব্রুয়ারি তিনি ইউরোপের বিভিন্ন দেশ থেকে আসা প্রবাসী আওয়ামী লীগ নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, মিউনিখে ফলপ্রসূ এই সফরের ফলে বিশ্বের দরবারে বাংলাদেশের শান্তি, সার্বভৌমত্ব ও সর্বাঙ্গীণ নিরাপত্তার প্রতি অঙ্গীকার বলিষ্ঠরূপে প্রতিফলিত হয়েছে। দেশের আকার নয়, বরং নীতির শক্তিতেই যে মানবতার রাজনৈতিক ও আর্থসামাজিক মুক্তি, এবারের সম্মেলনে আমি এই বার্তাই বিশ্বের দরবারে তুলে ধরেছি। পাশাপাশি দ্বিপাক্ষিক বৈঠকসমূহের মাধ্যমে বন্ধুপ্রতিম দেশ এবং আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর সঙ্গে সম্পর্কের ধারাবাহিকতা আরও দৃঢ় হয়েছে এবং সহযোগিতার নতুন ক্ষেত্র উন্মোচিত হয়েছে।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button