জাতীয় সংবাদ

অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর গোলাম আরিফ টিপু আর নেই

প্রবাহ রিপোর্ট : আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট গোলাম আরিফ টিপু ইন্তেকাল করেছেন। গতকাল শুক্রবার সকাল ৮টার দিকে রাজধানীর ল্যাবএইড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। এ তথ্য নিশ্চিত করে প্রসিকিউটর মোখলেসুর রহমান বাদল জানান, সকালে ল্যাবএইড হাসপাতালে গোলাম আরিফ টিপু ইন্তেকাল করেন। এদিকে অ্যাডভোকেট গোলাম আরিফ টিপুর মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান। এছাড়া শোক জানিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান মো.আবু আহমেদ জমাদার এবং তদন্ত সংস্থা। শোক বাণীতে প্রধান বিচারপতি চিফ প্রসিকিউটর গোলাম আরিফ টিপুর মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করছেন। তিনি মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করছেন। শোক বার্তায় বিচারপতি আবু আহমেদ জমাদার বলেন, তিনি মৃত্যুকালে বহু আত্মীয় -স্বজন ও গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। আমরা তার মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করছি এবং তার শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছি। অপরদিকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা গোলাম আরিফ টিপুর মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশসহ মরহুমের আত্মার মাগফিরাত কামনা এবং তার পরিবারের প্রতি আন্তরিক সমবেদনা জানিয়েছে। ১৯৩১ সালের ২৮ আগস্ট গোলাম আরিফ টিপু চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার কমলাকান্তপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা আফতাব উদ্দিন আহমদ ছিলেন জেলা রেজিস্ট্রার। নয় ভাই-বোনের মধ্যে টিপু দ্বিতীয়। টিপু কালিয়াচর বিদ্যালয় থেকে ১৯৪৮ সালে মাধ্যমিক ও রাজশাহী কলেজ থেকে ১৯৫০ সালে উচ্চ মাধ্যমিক পাস করেন। একই কলেজ থেকে আইন বিষয়ে স্নাতক সম্পন্নের পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। ১৯৫৪ থেকে ১৯৫৬ সাল পর্যন্ত তিনি বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। তিনি আইনজীবী, মুক্তিযোদ্ধা ও ভাষা আন্দোলনকর্মী ছিলেন। গোলাম আরিফ টিপু ১৯৭১ সালে মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় সংগঠিত মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারে গঠিত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর (অ্যাটর্নি জেনারেল পদমর্যাদা) হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। ১৯৫২ সালে রাজশাহীতে বাংলা ভাষা আন্দোলন মূলত তার নেতৃত্বে সংগঠিত হয়। তিনি রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদের রাজশাহী অঞ্চলের যুগ্ম আহ্বায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ভাষা আন্দোলনে বিশেষ অবদানের জন্য বাংলাদেশ সরকার তাকে ২০১৯ সালে একুশে পদকে ভূষিত করে।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও দেখুন
Close
Back to top button