জাতীয় সংবাদ

ঈদের ট্রেনের আগাম টিকেট বিক্রি শুরু

প্রবাহ রিপোর্ট : রোজার ঈদ সামনে রেখে ট্রেনের অগ্রিম টিকেট বিক্রি শুরু হয়েছে গতকাল রোববার সকাল থেকে; গতবারের মত এবারও টিকেট কিনতে হচ্ছে অনলাইনে। সকাল ৮টায় পশ্চিমাঞ্চলের বিভিন্ন রুটের ট্রেনের টিকেট বিক্রির জন্য ছাড়া হয়। দুপুর ২টায় পূর্বাঞ্চলের ট্রেনের টিকেট বিক্রির জন্য অনলাইনে উন্মুক্ত করা হয়। আগামী ১১ এপ্রিল ঈদ হবে ধরে নিয়ে এবারের ঈদযাত্রার সূচি সাজিয়েছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। সে অনুযায়ী গতকাল রোববার টিকেট বিক্রি হচ্ছে ৩ এপ্রিল ট্রেন যাত্রার টিকেট। টিকেট বিক্রি চলবে ৩০ মার্চ পর্যন্ত, সেদিন বিক্রি হবে ৯ এপ্রিলের টিকেট। বাংলাদেশ রেলওয়ে জানিয়েছে, চাঁদ দেখার ওপর নির্ভর করে ১০, ১১ ও ১২ এপ্রিলের টিকেট বিক্রি করা হবে। আগাম টিকেট বিক্রির প্রথম দিন টিকেটের চাহিদা অন্য সময়ের চেয়ে কিছুটা কম দেখা গেছে। বেলা ৯টা পর্যন্ত কয়েকটি ট্রেনের কিছু আসন ফাঁকা ছিল। অন্য সময় টিকেট বিক্রি শুরু হওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই টিকেট শেষ হয়ে যায়। বাংলাদেশ রেলওয়ের ওয়েবসাইট পর্যবেক্ষণ করে দেখা গেছে, পশ্চিমাঞ্চলের কয়েকটি ট্রেনের টিকেটের চাহিদা বেশি। তবে একতা, দ্রুতযান, পঞ্চগড় এক্সপ্রেস, রংপর, নীলসাগর এক্সপ্রেস, লালমনি এক্সপ্রেস ট্রেনের টিকেট বিক্রি শুরুর কিছুক্ষণের মধ্যে শেষ হয়ে যায়। বেলা ৯টা ১০ মিনিটে রাজশাহীগামী মধুমতি এক্সপ্রেসের শোভন চেয়ার শ্রেণির ২৯টি সিট ফাঁকা ছিল। আর স্নিগ্ধা শ্রেণির একটি টিকেট তখনও অবিক্রিত দেখাচ্ছিল। তবে ওই ট্রেনে প্রথম শ্রেণির টিকেট বিক্রি শেষ। ৯টা ১৫ মিনিট পর্যন্ত রাজশাহীর সিল্কসিটি এক্সপ্রেস ট্রেনের শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কামরার একটি, শোভন চেয়ারের সাতটি আসন এবং ধূমকেতু এক্সপ্রেস ট্রেনের শোভন চেয়ার শ্রেণির একটি এবং পদ্মা এক্সপ্রেস ট্রেনের স্নিগ্ধা শ্রেণির ৭টি, শোভন চেয়ার শ্রেণির ৩৩টি আসন ফাঁকা দেখাচ্ছিল। তবে ওই রুটের বনলতা এক্সপ্রেস ট্রেনের টিকেট বিক্রি হয়ে যায় প্রথম পাঁচ মিনিটের মধ্যেই। খুলনা রুটের সুন্দরবন এক্সপ্রেস ট্রেনের এসি সিট শ্রেণির ২০টি, শোভন চেয়ার শ্রেণির ৪১টি এবং স্নিগ্ধা শ্রেণির ২৪টি টিকেট অবিক্রিত দেখাচ্ছিল বেলা ৯টা ২৪ মিনিট পর্যন্ত। তবে ‘বুক নাউ’ অপশনে গিয়ে টিকেট কাটতে গিয়ে গেলে দেখা যায় স্নিগ্ধা শ্রেণি এবং শোভন চেয়ার শ্রেণির সবগুলো আসন ‘বুকড’ হয়ে গেছে। এসি সিট শ্রেণির কিছু আসন ফাঁকা আছে। বেলা সাড়ে ৯টা পর্যন্ত খুলনার চিত্রা এক্সপ্রেস ট্রেনের স্নিগ্ধা শ্রেণির ৪৩টি, এসি বার্থ শ্রেণির ৫টি এবং শোভন চেয়ার শ্রেণির ১০০টি আসন ‘অ্যাভেইলেবল’ ছিল। বেলা পৌনে ১০টা পর্যন্ত চিত্র এক্সপ্রেস ট্রেনে ৩৯টি স্নিগ্ধা, ৫টি এসি বার্থ এবং ৯৩টি শোভন চেয়ার শ্রেণির টিকেট অবিক্রিত ছিল। কমলাপুর স্টেশনের ব্যবস্থাপক মো. মাসুদ সারওয়ার বলেন, “ঈদের সম্ভাব্য তারিখ ১১ এপ্রিল। ঈদযাত্রায় ভিড় শুরু হবে ঈদের দুই-তিনদিন আগে থেকে। এছাড়া সরকারি ছুটির বিষয় আছে। সেজন্য হয়ত ৩ এপ্রিলের টিকেটের জন্য খুব বেশি চাহিদা নেই।” গত ১৩ মার্চ রেলভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে রেলওয়ের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত দায়িত্ব) সরদার সাহাদাত আলী অগ্রিম টিকেট বিক্রির সূচি প্রকাশ করেন। রেলপথ মন্ত্রী মো. জিল্লুল হাকিমও সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন। সেদিন সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়: ২৫ মার্চ বিক্রি হবে ৪ এপ্রিলের টিকেট, ২৬ মার্চ পাওয়া যাবে ৫ এপ্রিলের টিকেট, ২৭ মার্চ বিক্রি হবে ৬ এপ্রিলের টিকেট, ২৮ মার্চ পাওয়া যাবে ৭ এপ্রিলের টিকেট, ২৯ মার্চ বিক্রি হবে ৮ এপ্রিলের টিকেট, ৩০ মার্চ পাওয়া যাবে ৯ এপ্রিলের টিকেট। সাহাদাত আলী সেদিন বলেন, চাঁদ দেখার ওপর নির্ভর করে ১০, ১১ ও ১২ এপ্রিলের টিকেট বিক্রি করা হবে। এবারও ঈদযাত্রার শতভাগ টিকেট বিক্রি হবে অনলাইন প্ল্যাটফর্ম থেকে। বাংলাদেশ রেলওয়ের ওয়েবসাইট, রেল সেবা অ্যাপ ও সহজ ডটকমের প্ল্যাটফর্ম থেকে টিকেট সংগ্রহ করা যাবে। ফিরতি যাত্রার অগ্রিম টিকেট বিক্রি শুরু হবে ৩ এপ্রিল। ৯ এপ্রিল পর্যন্ত ফিরতি যাত্রার অগ্রিম টিকেট মিলবে। এবার ঈদের আগে সারাদেশের বিভিন্ন রুটে চলাচলকারী আন্তঃনগর ট্রেনের ৩৩ হাজার ৫০০টি টিকেট বিক্রি হবে। ঈদ উপলক্ষে সারাদেশের বিভিন্ন রুটে আট জোড়া বিশেষ ট্রেন চালানো হবে বলে রেল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও দেখুন
Close
Back to top button