গ্যাসের লিকেজ থেকে আগুন: বার্ন ইউনিটে ৩ জনের মৃত্যু

প্রবাহ রিপোর্ট : ঢাকার ধামরাইয়ে এলপিজি গ্যাসের সিলিন্ডারের লিকেজ থেকে জমে থাকা গ্যাসের আগুনে দগ্ধ তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। ঢাকা মেডিকেলের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাদের মৃত্যু হয়। গতকাল সোমবার দুপুর দেড়টার দিকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সায়েমুল হুদা। নিহতদের মধ্যে সাভার উপজেলার শিমুলিয়া ইউনিয়নের সাবেক স্বাস্থ্য পরিদর্শক মো. নুরুল ইসলামের ছেলে ও এইচএসসি পরীক্ষার্থী সোহাগ হোসেন (১৮) গতকাল সোমবার ভোরে মারা যান। এছাড়া গেল রাতে গত রোববার দিবাগত রাতে মো. নুরুল ইসলাম ও গত রোববার তার স্ত্রী সুফিয়া বেগমের (৫০) মৃত্যু হয়। এই পরিবারের একমাত্র মেয়ে নিশরাত জাহান সাথী (২২) বেঁচে আছেন। জানা যায়, গত ২৬ মার্চ দিবাগত রাত সাড়ে ৩টার দিকে এলপিজি গ্যাসের সিলিন্ডার লিকেজ হয়ে ফ্ল্যাটটিতে গ্যাস জমে ছিল। ভোরের দিকে সেহরির সময় রান্না করার জন্য আগুন জ্বালাতেই তা পুরো রান্নাঘরে ছড়িয়ে পরে। পরে পুরো ফ্ল্যাটে নিমিষেই আগুন ছড়িয়ে পড়লে একই পরিবারের চারজন দগ্ধ হন। এরপরে তাদের উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেলের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়। পরে গত রোববার থেকে গতকাল সোমবার পর্যন্ত তাদের মধ্যে তিনজনের মৃত্যু হয়। সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সায়েমুল হুদা বলেন, নুরুই ইসলাম শিমুলিয়া ইউনিয়নের স্বাস্থ্য পরিদর্শক ছিলেন। তিনি গত ফেব্রুয়ারি মাসের ২৪ তারিখ অবসরে যান। পরে তিনি নিজ বাড়িতে বসবাস শুরু করেন। গত ২৬ মার্চ রাতে সেহরির সময় সিলিন্ডারের লিকেজ থেকে জমা গ্যাসের আগুনে একই পরিবারের চারজন দগ্ধ হন। গত রোববার থেকে গতকাল সোমবার পর্যন্ত পরিবারটির তিনজনেরই মৃত্যু হয়। ঢাকার শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্ল্যাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক মো. তরিকুল ইসলামের দেওয়া তথ্য মতে, নিহত সুফিয়া বেগমের শরীরের ৮০ শতাংশ, নুরুল ইসলামের শরীরের ৪৮ শতাংশ ও ছেলে সোহাগের শরীরের ৩৮ শতাংশ পুড়ে যায়। এছাড়া বেঁচে থাকা পরিবারটির একমাত্র সদস্য নিশরাত জাহান সাথীর শরীরের ১৬ শতাংশ পুড়ে গেছে। তার অবস্থার উন্নতি হলেও আশঙ্কা কাটেনি বলে জানান চিকিৎসক। ধামরাই ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ইনচার্জ সোহেল রানা বলেন, আমরা খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে যাই। তবে ঘটনাস্থলে পৌঁছার আগেই স্থানীয়রা তাদের হাসপাতালে পাঠান। গতকাল সোমবার জানতে পারি দগ্ধদের মধ্যে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে।