চালককে হত্যা করে অটোরিকশা ছিনতাই
প্রবাহ রিপোর্ট ঃ ঢাকার ধামরাইয়ে মোটরসাইকেল কেনার টাকা জোগাড় করতে চালককে হত্যা করে অটোরিকশা ছিনতাইয়ের অভিযোগে চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব-৪)। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে আশুলিয়ার নবীনগরে র্যাব-৪, সিপিসি-২ এর ক্যাম্পে সংবাদ সম্মেলন করে এ তথ্য জানান কোম্পানি কমান্ডার লেফটেন্যান্ট রাকিব মাহমুদ খান। এর আগে গত বুধবার রাতে সাভার, ঢাকার ধামরাই ও মানিকগঞ্জ সদর এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তাররা হলেন- ঢাকার ধামরাই এলাকার শান্ত মনি দাস ওরফে বিচ্ছু শান্ত (১৯), বিজয় মনি দাস (২০), শ্রীকান্ত কর্মকার (২০) ও মানিকগঞ্জ জেলার বিশ্বনাথ মনি দাস ওরফে বিশু (২০)। নিহত অটোরিকশাচালক কালাম বিশ্বাস টাঙ্গাইল জেলার নাগরপুর থানার ধুবুরিয়া এলাকার বাসিন্দা। তিনি সাভারে ভাড়া বাসায় থেকে অটোরিকশা চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করতেন। সংবাদ সম্মেলনে র্যাব জানায়, গত ৯ জুন দুপুরে ধামরাইয়ের কুল্লা ইউনিয়নের পশ্চিম বাড়িগাঁও এলাকা থেকে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে মরদেহ অটোরিকশাচালক কালাম বিশ্বাসের বলে শনাক্ত করা হয়। এ ঘটনার পর নিহতের স্ত্রী ধামরাই থানায় অজ্ঞাতনামা আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরে র্যাব-৪ এর একটি অভিযানিক দল ছায়া তদন্ত করে ১২ জুন রাতে ঢাকার সাভার, ধামরাই ও মানিকগঞ্জ সদর এলাকায় অভিযান চালিয়ে এ হত্যাকা-ের মূলহোতা ও অটোরিকশা ছিনতাইকারী চক্রের নেতা বিচ্ছু শান্তসহ চার সদস্যকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়। র্যাব-৪, সিপিস-২ এর কোম্পানি কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কমান্ডার রাকিব মাহমুদ খান বলেন, গ্রেপ্তার আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদে জানায়, গত ৮ জুন আসামি শান্ত বাইক কেনার উদ্দেশে বাসা থেকে বের হয়ে অপর দুই আসামি বিশু ও বিজয়ের সঙ্গে দেখা করে। অল্প টাকায় বাইক কেনা যাবে না বিধায় গ্রেপ্তার আসামিরা একটি অটোরিকশা ছিনতাই করে বিক্রি করবে বলে পরিকল্পনা করেন। অতঃপর আগের পরিচিত অটোরিকশাচালক নিহত কালামকে টার্গেট করেন এবং ভুক্তভোগীকে মাদক সেবন করিয়ে ও সুইচ গিয়ারের ভয় দেখিয়ে অটোরিকশা ছিনতাই করবে বলে ঠিক করেন। গ্রেপ্তার শান্ত নিহত কালামকে রিজার্ভ ভাড়ার বিষয়ে জানান। পরে ভুক্তভোগীকে অটোরিকশাসহ তারা ধামরাই এলাকার একটি পার্কে ঘুরতে যাওয়ার কথা জানান। তিনি আরও বলেন, ঘটনার দিন রাতে ধামরাইয়ের কুল্লা ইউনিয়নের বাড়িগাঁও পশ্চিমপাড়া নির্জন জায়গায় অটোরিকশা থামিয়ে পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী ভুক্তভোগীকে মাদক সেবন করিয়ে অচেতন করেন। পরে শান্তর সঙ্গে থাকা সুইচ গিয়ার দিয়ে গলায় ও বুকে এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত করে মৃত্যু নিশ্চিত করেন। মৃতদেহ আসামি বিজয় খড় দিয়ে ঢেকে দেন এবং আসামি বিশু নিহতের অটোরিকশাটি চালিয়ে দ্রুত ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যান। পরে তাদের অপর সহযোগী শ্রীকান্তের সহযোগী ছিনতাইকৃত অটোরিকশাটি গোপন করেন। ছিনতাইকৃত অটোরিকশাটি উদ্ধারে র্যাব-৪ এর অভিযান চলমান রয়েছে। এ ব্যাপারে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।