তেঁতুলিয়ায় সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীরা গণমিছিল

প্রবাহ রিপোর্ট : চলমান বৈষম্য বিরোধী কোটা সংস্কার আন্দোলনের কর্মসূচি সমর্থন জানিয়ে সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীরা তেঁতুলিয়ায় বিশাল গণমিছিল সহ বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে। রোববার সকাল ১০ টা থেকে চৌরাস্তাবাজারের তেঁতুলিয়া-পঞ্চগড় মহাসড়কের ঐতিহাসিক তেঁতুলতলায় সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীরা বিক্ষোভ মিছিলের জন্য নানা রকম প্লাকাট ও ফেস্টুন নিয়ে জড়ো হতে থাকে। সড়কের বিপরীত পাশে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও তার অঙ্গসংগঠনের কিছু নেতা-কর্মী অবস্থান নিয়ে ছাত্র-ছাত্রীদের সমন্বয়কদের বিক্ষোভ মিছিল না করতে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে। এ সময় তেঁতুলিয়া মডেল থানা অফিসারের নেতৃত্বে একদল পুলিশ সেখানে উপস্থিত হলে থমথমে পরিস্থিরি একপর্যায়ে উপস্থিত ছাত্র-ছাত্রীরা বিক্ষোভ গণমিছিল নিয়ে উপজেলা পরিষদ চত্বরের দিকে অগ্রসর হয়। ক্ষণিকের মধ্যে সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীদের দাবীর প্রেক্ষিতে সংহতি প্রকাশ করে অভিভাবক, আইনজীবি, শিক্ষক, ব্যবসায়ী, শ্রমিক সহ নানা পেশার শতাধিক মানুষ বিক্ষোভ মিছিলে যোগ দেন। এ সময় ছাত্র-ছাত্রীরা একদফা দাবী তোলে সরকারের বিরুদ্ধে নানামুখী শ্লোগান দেন। গণবিক্ষোভ মিছিলটি চৌরাস্তা বাজারের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে চৌরাস্তা মোড়ে সড়কের উপর বসে শান্তিপূর্ভ বিক্ষোভ সমাবেশ করে। সমাবেশের শুরুতে চলমান আন্দোলনে নিহতেদর স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। পরে সাধারণ ছাত্রীদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র মুক্তার, সবুজ, শেরে বাংলা কলেজের রিফাত, ঢাবি সাত কলেজের শিক্ষার্থী মুসা, হযরত, নার্সিং কলেজের শিক্ষার্থী ফাতেমা ও শিক্ষক সোহেল রানা প্রমুখ। এ সময় ছাত্র-ছাত্রীদের পক্ষ থেকে গন সংগীত গেয়ে সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীদের উজ্জিবীত করা হয়। সকাল থেকে দুপুর সাড়ে ১২ টা কর্মূচি চলা পর্যন্ত তেঁতুলিয়া-পঞ্চগড় সড়কে যানচলাচল বন্ধ থাকে। পরবর্তী কর্মসূচি হিসেবে বিকেলে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে মোমবাতি প্রজ্জলনের কথা জানিয়ে বিক্ষোভ সমাবেশের সমাপ্তি ঘোষণা করে। সারা দেশে অসহযোগ আন্দোলনের ঘোষণার পর তেঁতুলিয়া-পঞ্চগড় মহাসড়কে কোন যাত্রীবাহি মিনিবাস চলাচল করেনি এবং ঢাকাগামী দূরপ্লার কোন কোচ ছেড়ে যায়নি।