জাতীয় সংবাদ

সোশ্যাল ইসলামি ব্যাংক এস আলমমুক্ত করতে শেয়ারধারীদের মানববন্ধন

প্রবাহ রিপোর্ট : বেসরকারি সোশ্যাল ইসলামি ব্যাংককে (এসআইবিএল) এস আলম গ্রুপের হাত থেকে মুক্ত করতে মানববন্ধন করেছে ব্যাংকটির কিছু শেয়ারধারী। জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধনের পর এক সংবাদ সম্মেলনে তাঁরা অভিযোগ করেন, এস আলম গ্রুপের মালিক সাইফুল আলম ও তাঁর সহযোগীরা আমানতকারীদের হাজার হাজার কোটি টাকা নামে-বেনামে তুলে পাচার করেছেন। ফলে শুধু এসআইবিএল নয়, পুরো আর্থিক খাতই হুমকির মুখে পড়েছে। সাধারণ আমানতকারীরা জমাকৃত অর্থ প্রয়োজন অনুযায়ী তুলতেন পারছেন না। মানববন্ধন ও সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ব্যাংকটির সাবেক চেয়ারম্যান রেজাউল হক, সাবেক পরিচালক আনিসুল হক, আসাদুজ্জামান, সুলতান মাহমুদ চৌধুরী, আবদুর রহমান, আবুল বসর ভূঁইয়াসহ সাধারণ ও উদ্যোক্তা শেয়ারধারীরা। জানা যায়, ২০১৭ সালে সোশ্যাল ইসলামি ব্যাংকের মালিকানায় আসে চট্টগ্রামভিত্তিক এস আলম গ্রুপ। ব্যাংকটির বর্তমান চেয়ারম্যান বেলাল আহমেদ, এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান সাইফুল আলমের জামাতা। মালিকানা পরিবর্তনের সময় বাদ পড়েন ব্যাংকটির কয়েকজন উদ্যোক্তা ও পরিচালককে। এরপর ব্যাংকটি থেকে নামে-বেনামে বিপুল পরিমাণ টাকা বের করা এবং চাকরিতে নিয়োগের ক্ষেত্রে চট্টগ্রামের পটিয়ার বাসিন্দাদের অগ্রাধিকার দেওয়া হয় বলে অভিযোগ রয়েছে। ফলে ব্যাংকটি ইতোমধ্যে আর্থিক সংকটে পড়েছে এবং কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সঙ্গে রক্ষিত চলতি হিসাবেও ঘাটতিতে রয়েছে। গতকালকের সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে এস আলম গ্রুপের ‘কবল থেকে দখলমুক্ত’ করে প্রকৃত মালিক ও প্রতিষ্ঠাতা উদ্যোক্তাদের কাছে ব্যাংকটির মালিকানা হস্তান্তরের দাবি জানানো হয়। সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করা হয়, ২০১৭ সালে এসআইবিএলের মালিকানা অস্ত্রের মুখে দখল করে নেয় তৎকালীন ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের সমর্থনপুষ্ট এস আলম গ্রুপ। ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের চরমভাবে হেনস্তা করে এক দিনের মধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংকের তৎকালীন গভর্নরের যোগসাজশে অবৈধভাবে রাতের আঁধারে ব্যাংকটির মালিকানা পরিবর্তন করা হয়। এরপর ব্যাংকটি লুটপাট করা হয়। এদিকে ব্যাংকটিতে ২০১৭ সালের পর নিয়োগ পাওয়া কর্মকর্তারা গতকালও মতিঝিল এলাকায় অবস্থিত ব্যাংকটির প্রধান কার্যালয়ের সামনে জড়ো হয়ে লাঠিসোঁটা নিয়ে অবস্থান করেন। তাঁদের বেশির ভাগই চট্টগ্রামের পটিয়া এলাকার বলে জানা যায়। এ সময় তাঁদের হাতে ২০১৭ সালের আগে নিয়োগ পাওয়া কয়েকজন কর্মকর্তা লাঞ্ছিত হন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

 

সংশ্লিষ্ট সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button