ফরিদপুরে সংঘর্ষের ঘটনায় শামা ওবায়েদের বিবৃতি

অভিযোগ আ.লীগ, যুবলীগ ও তরিকতের দিকে
প্রবাহ রিপোর্ট : বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা শামা ওবায়েদ গত ২১ আগস্ট ফরিদপুরে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষ ও একজন নিহতের ঘটনায় নিজের অবস্থান ব্যক্ত করেছেন। গতকাল রোববার দুপুরে তিনি একটি বিবৃতিতে উল্লেখ করেন, ‘গেলো ২১ আগস্ট ফরিদপুরে সংঘর্ষের ঘটনার সঙ্গে আমার কোনো সম্পৃক্ততা নেই। দলের পক্ষ থেকে আমার ওপর অর্পিত দায়িত্ব আমি চালিয়ে যাচ্ছি। ২১ আগস্টের সংঘর্ষ ও নিহতের ঘটনা আমি ঘৃণা ভরে প্রত্যাখ্যান করছি।’ বিএনপির প্রভাবশালী এই নেতা দাবি করেন, ‘এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত অনেকেরই ছবি ও নামসহ তথ্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। সংঘর্ষকারীদের পরিচয় আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশনসহ ফ্যাসিস্ট হাসিনার অবৈধ ক্ষমতার সন্ত্রাসী বাহিনীর সদস্য।’ বিবৃতিতে শামা ওবায়েদ নিজেকে ‘বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদের ভিত্তিতে ১৯ দফা কর্মসূচি বাস্তবায়নে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের প্রতিষ্ঠিত বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের একজন সক্রিয় কর্মী হিসেবে’ উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, ‘প্রথমত, আমার বাবা বীর মুক্তিযোদ্ধা ও বিএনপির সাবেক মহাসচিব প্রয়াত কেএম ওবায়দুর রহমানের জন্মস্থান এবং আমার শেষ ঠিকানা ফরিদপুরের নগরকান্দায় ২১ আগস্ট ঘটে যাওয়া সংঘর্ষে একজন নিহত এবং বেশ কয়েকজন আহত হওয়ার ঘটনায় গণমানুষের আকাক্সক্ষা পূরণের দল বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দিক নির্দেশনায় সাংগঠনিক যে সিদ্ধান্ত হয়েছে, তাকে আমি পূর্ণাঙ্গ সমর্থন জানাই। পরবর্তী সময়ে ২৪ আগস্ট আমাকে আসামি করে একটি হত্যা মামলায় হয়েছে। সংঘর্ষ এবং পরবর্তী মামলার ঘটনার সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্ত চাই আমি।’ উল্লেখ্য, ফরিদপুরের ঘটনায় শামা ওবায়েদের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক পদ ও কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক শহীদুল ইসলাম বাবুলের পদ স্থগিত করেছেন তারেক রহমান। শামা ওবায়েদ আরও উল্লেখ করেন, ‘১৮ বছর আওয়ামী জাহেলিয়াতির সময় গুম, খুন, জেল, জুলুমসহ সব প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করে দিয়েছে আওয়ামী লীগ। এমন ধ্বংসযজ্ঞ থেকে পুনরুদ্ধারের জন্য বিএনপির আন্দোলন এখনও চলমান রয়েছে। যে রক্তের বিনিময়ে অর্জন তা এখনও শুকায়নি। এমন পরিস্থিতিতে আমার জন্মস্থান তথা আমার শেষ ঠিকানা ফরিদপুরের নগরকান্দার সাধারণ ছাত্রদের সঙ্গে বিএনপি ও তার অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের অনেক নেতাকর্মী ও সমর্থকরা এখনও অনেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন। তাদের পাশে দাঁড়ানোই এখন আমার এলাকার মানুষের প্রত্যাশা।’ ‘এখানে কোনো রাজনৈতিক বিভাজন, নির্বাচনি প্রতিদ্বন্দ্বিতা, মনোনয়ন বিজয় তোড়ন নির্মাণ বা ব্যক্তিকেন্দ্রিক আধিপত্য বিস্তারে শোডাউন কাম্য নয়।’ সবাইকে দলের সিদ্ধান্ত মেনে চলার অনুরোধ করে শামা ওবায়েদ বলেন, ‘গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে সংগ্রামরত সব পেশাজীবী সংগঠনসহ দেশে-বিদেশে অবস্থানরত সর্বোপরি বিএনপির সঙ্গে আমার সম্পর্ক রক্তের। যেকোনও পরিস্থিতিতে দলীয় সিদ্ধান্ত মেনে দল নির্ধারিত কর্মসূচি বাস্তবায়নে আমি সচেষ্ট থাকবো।’



