জাতীয় সংবাদ

৪৩তম বিসিএস: অপেক্ষা ফুরাবে স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও গোয়েন্দা প্রতিবেদনের পর

প্রবাহ রিপোর্ট : নয় মাস ধরে নিয়োগের অপেক্ষায় থাকা ৪৩তম বিসিএসের উত্তীর্ণ প্রার্থীরা এবার সুখবর পেতে যাচ্ছেন। চূড়ান্ত সুপারিশ পাওয়া এসব প্রার্থীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও যাচাই বাছাইয়ের গোয়েন্দা প্রতিবেদন পেলেই নিয়োগের প্রজ্ঞাপন দেওয়া হবে বলে বার্তা দিয়েছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। গতকাল মঙ্গলবার মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে ২০২০ সালে বিজ্ঞপ্তি আহ্বান করা ৪৩তম বিসিএসের নিয়োগের বিষয়ে এ বার্তা দেওয়া হয়। এদিন অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে ৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সব কাজের পূর্ণ বিবরণও প্রকাশ করে মন্ত্রণালয়। সেখানে ২০২৩ সালের ২৬ ডিসেম্বর নিয়োগের সুপারিশ করে চূড়ান্ত ফল প্রকাশ করা ৪৩তম বিসিএসের প্রার্থীদের নিযোগের প্রজ্ঞাপনের বিষয়ে বলা হয়। সেদিন সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি) ২ হাজার ৮০৫ জনকে নিয়োগের সুপারিশ করেছিল। গতকাল মঙ্গলবার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে বলেছে, “৪৩তম বিসিএস পরীক্ষায় সুপারিশ পাওয়া প্রার্থীদের মধ্যে অনেকেই স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য উপস্থিত হওয়ার ক্ষেত্রে সন্ত্রাসীদের হাতে বাধাপ্রাপ্ত হয়েছিলেন বলে অভিযোগ আছে। “তাই যারা স্বাস্থ্য পরীক্ষায় উপস্থিত হতে পারেননি, তাদের পুনরায় স্বাস্থ্য পরীক্ষা গ্রহণের জন্য পিএসসি ও স্বাস্থ্যসেবা বিভাগকে অনুরোধ করা হয়েছে।” জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় বলেছে, এ ছাড়া ২৫৫ জন প্রার্থীর বিরুদ্ধে গোয়েন্দা প্রতিবেদনের প্রাপ্ত তথ্য পরিবর্তিত প্রেক্ষাপটে যাচাই বাছাইয়ের জন্য স্পেশাল ব্রাঞ্চে (এসবি) পাঠানো হয়েছে। স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও গোয়েন্দা প্রতিবেদন পাওয়ামাত্র নিয়োগের প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে। তবে এখন পর্যন্ত স্বাস্থ্য পরীক্ষার সময় জানায়নি স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ। আগের দফায় ১৫ মে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছিল। নয় মাস আগে ফল হলেও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় চূড়ান্ত প্রজ্ঞাপন জারি না করায় বিভিন্ন সময় হতাশা প্রকাশে করেছেন সুপারিশপ্রাপ্ত প্রার্থীরা। প্রজ্ঞাপন প্রকাশ করে নিয়োগের দাবি জানিয়ে আসছেন তারা। ২০২৩ সালের ২৬ ডিসেম্বর চূড়ান্ত ফলাফলে বিভিন্ন ক্যাডারের ২ হাজার ২১৮টি শূন্য পদের বিপরীতে ২ হাজার ১৬৩ জনকে এবং নন-ক্যাডারের ১ হাজার ৩৪২টি শূন্য পদের বিপরীতে ৬৪২ জনকে নিয়োগের জন্য সুপারিশ কর পিএসসি।। যোগ্য প্রার্থী না পাওয়ায় কারিগরি বা পেশাগত ক্যাডারের ৫৫টি পদে, নন-ক্যাডারের নবম গ্রেডের ৫৭টি পদে এবং দশম গ্রেডের ৫৮৯টি মিলিয়ে মোট ৬৪৫টি পদে কাউকে সুপারিশ করতে পারেনি কমিশন। ৪৩তম বিসিএসের ১ হাজার ৮১৪টি পদে নিয়োগ দিতে ২০২০ সালের ৩০ নভেম্বর বিজ্ঞপ্তি দেয় পিএসসি। আবেদন গ্রহণ শুরু হয় ওই বছরের ৩০ ডিসেম্বর। পরে মহামারী পরিস্থিতিতে কয়েক দফা বাড়িয়ে ২০২১ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত আবেদনের সুযোগ দেওয়া হয়। সব মিলিয়ে ৪ লাখ ৩৫ হাজার ১৯০ জন প্রার্থী তাতে আবেদন করেন, যা বিসিএসের ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ আবেদনের রেকর্ড। ২০২১ সালের ২৯ অক্টোবর প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় মোট ৩ লাখ ২১ হাজার ৬৫০ জন প্রার্থী অংশ নেন।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button