জাতীয় সংবাদ

শহীদ ৫ পরিবারকে পঞ্চগড় জেলা প্রশাসনের আর্থিক সহায়তা

প্রবাহ রিপোর্ট : বৈষম্যবিরোধী ছাত্র জনতার আন্দোলন ও গণঅভ্যুত্থানে জুলাই-আগষ্ট গণহত্যায় শহীদ পাঁচ পরিবারকে আর্থিক সহায়তা দিয়েছে পঞ্চগড় জেলা প্রশাসন। গতকাল শুক্রবার বৃষ্টি উপেক্ষা করে জেলা সদরসহ দেবীগঞ্জ ও বোদা উপজেলায় শহীদদের বাড়িতে গিয়ে প্রত্যেক শহীদ পরিবারের সদস্যদের হাতে নগদ অর্থ ও উপহার হিসেবে ফলের ঝুড়ি তুলে দেন জেলা প্রশাসক সাবেত আলী। একই সময় শহীদ পরিবারগুলোর খোঁজখবরসহ কুষল বিনিময় করে পরিবারের সদস্যদের সমস্যার কথা শুনে যোগ্যতা ভিত্তিক চাকরির ব্যবস্থা, চিকিৎসাসহ সব ধরনের সহযোগিতা আশ্বাস দেন তিনি। পরে গণঅভ্যুত্থানে নিহত শহীদদের কবর জিয়ারত এবং রুহের মাগফেরাত কামনা করে মোনাজাত করা হয়। এসময় জেলা প্রশাসক সাবেত আলী বলেন, জুলাই-আগষ্ট বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে রক্তের বিনিময়ে আমরা একটি নতুন বাংলাদেশ পেয়েছি। সেই শহীদদের পরিবারের খোঁজ নেওয়ার জন্য তাদের বাড়িতে আমরা ছুটে এসেছি। তাদের সঙ্গে আমরা কথা বলেছি, সমস্যা জানার চেষ্টা করেছি। একই সঙ্গে তাদের সব সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিয়েছি। তারা যেন সুন্দরভাবে চলতে পারে। তাই জেলা প্রশাসন সব সময় তাদের পাশে থাকবে। তিনি আরও বলেন, সরকারের কাছে সবার তালিকা পাঠিয়েছি। আজকের এই পরিদর্শনের মূল কারণ এই পরিবারগুলো হতাশ না হয়। আমরা তাদের পাশে আছি সেটা জানান দিতে সব কর্মকর্তারা ছুটে এসিছি। আজকের এই পরিদর্শেন আমরা প্রতিটি পরিবারকে আর্থিকভাবে সহায়তা করেছি এবং তাদের উপহার হিসেবে কিছু ফল ঝুড়ি আকারে তুলে দেওয়া হয়েছে। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক আবু সাঈদ, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার জাকির হোসেন, দেবীগঞ্জ উপজেলার ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী অফিসার তুরাব হোসেন, বোদা উপজেলা নির্বাহী অফিসার শাহরিয়ার নাজির, সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট আমিনুল হক তারেক, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জেলা সমন্বায়ক ফজলে রাব্বি, মখলেছুর রহমান সান এ সময় উপস্থিত ছিলেন। এর আগে ছাত্রজনতার গণঅভ্যুত্থানে পুলিশের ছোঁড়া গুলিতে গত ৫ আগস্ট পঞ্চগড় সদর উপজেলার চাকলাহাট ইউনিয়নের কীত্তিনীয়া গ্রামের রবিউল ইসলামের ছেলে সাগর রহমান, ১৯ জুলাই বোদা উপজেলার মাড়েয়া ইউনিয়নের নতুন বস্তি গ্রামের আবদুল খালেকের ছেলে আবু ছায়েদ, ৫ আগস্ট সাকোয়া ইউনিয়নের আমিন নগর গ্রামের হামিদ আলীর ছেলে সুমন ইসলাম, ৪ আগস্ট দেবীগঞ্জ উপজেলার সদর ইউনিয়নের মেলাপাড়া গ্রামের আজহারের ছেলে শাহাবুল ইসলাম দেশের বিভিন্ন এলাকায় এবং ভাউলাগঞ্জ ইউনিয়নের টোকরাভাসা গ্রামের আজহার আলীর ছেলে সাজু ইসলাম চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১২ আগস্ট মৃত্যুবরণ করেন।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button