মাওলানা ভাসানীর মৃত্যুবার্ষিকীতে নানা কর্মসূচি
প্রবাহ রিপোর্ট : এদিকে টাঙ্গাইলে নানা কর্মসূচির মধ্যদিয়ে আওয়ামী মুসলিম লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর ৪৮তম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত হচ্ছে। দিবসটি উপলক্ষে গতকাল রোববার সকাল ৭টা ৩০ মিনিটে ভাসানীর মাজারে মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ভাইস-চ্যান্সেলর অধ্যাপক মো. আনোয়ারুল আজীম আখন্দসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবার, ভাসানী পরিবারের পক্ষ থেকে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও দোয়া করা হয়। শ্রদ্ধার্ঘ জানাতে সকাল থেকেই তার মাজারে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আসা মানুষের ঢল নামে। পরে মওলানা ভাসানীর অনুসারীসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠন পর্যায়ক্রমে তার মাজারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানায়। দিবসটি উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ে আলোকসজ্জা করা হয়েছে এবং মওলানা ভাসানী ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে সাতদিনব্যাপী ‘ভাসানী মেলা’ও চলছে। এছাড়াও সন্তোষ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় টেকনিক্যাল কলেজ, মওলানা ভাসানী ফাউন্ডেশনসহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও সংগঠন নানা কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। ১৮৮০ সালের ১২ ডিসেম্বর সিরাজগঞ্জের ধানগড়া গ্রামে আবদুল হামিদ খান ভাসানীর জন্ম। সিরাজগঞ্জে জন্ম হলেও তিনি তার জীবনের সিংহভাগই কাটিয়েছেন টাঙ্গাইলের সন্তোষে। সন্তোষের মাটিতেই তিনি চিরনিদ্রায় শায়িত আছেন। কৈশোর-যৌবন থেকেই রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়া মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী দীর্ঘদিন তৎকালীন বাংলা-আসাম প্রদেশ মুসলিম লীগের সভাপতি ছিলেন। তার উদ্যোগে ১৯৫৭ সালে ঐতিহাসিক কাগমারী সম্মেলন বাংলাদেশের রাজনীতিতে মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছিল। বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় তিনি সর্বদলীয় ওয়ার কাউন্সিলের উপদেষ্টা ছিলেন। স্বাধীনতার পর তার সর্বশেষ কীর্তি ছিল- বাঁধ দিয়ে ভারতের একতরফা পানি অপসারণের প্রতিবাদে ফারাক্কা লং মার্চ। ১৯৭৬ সালের ১৭ নভেম্বর ঢাকার তৎকালীন পিজি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান মওলানা ভাসানী।