ভারত থেকে এলো আরও ৬ ট্রাক চাল
এফএনএস: যশোরের শার্শার বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে শুল্কমুক্ত সুবিধায় ভারত থেকে আরও ছয় ট্রাক চাল এসেছে বাংলাদেশে। এভাবে চাল আমদানি অব্যাহত থাকলে দেশের বাজারে দাম কমে আসবে বলে দাবি আমদানিকারকদের। গত বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে ভারত থেকে চাল বোঝাই ছয়টি ট্রাক বেনাপোল বন্দরে প্রবেশ করে। বেনাপোল বন্দর দিয়ে ১৪ জন আমদানিকারকের অনুমতি থাকলেও তিন দিনে মেসার্স মাহবুবুল আলম ফুড প্রোডাক্ট, মেসার্স অর্ক ট্রেডিং, মেসার্স এস এম এস এন্টারপ্রাইজ ও মেসার্স সর্দার ইন্টারন্যাশনাল নামের চারটি আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান চাল এনেছে। যা ভারতের সুধারাম আয়াত নিরায়াত প্রা. লি., কৃষ্ণা ট্রেডার্স এবং তপন ট্রেডার্স নামের রফতানিকারক প্রতিষ্ঠান চাল পাঠাচ্ছে। তিন দিনে ১৫ ট্রাকে ৫২০ মেট্রিক টন চাল আমদানি হয়েছে। আরও আসার কথা রয়েছে। প্রতি টন চাল ৪৩০ মার্কিন ডলার মূল্যে আমদানি করা হয়েছে। বন্দর থেকে চালের চালানগুলো ছাড় করার জন্য কাস্টমসে কাগজপত্র দাখিল করেছেন সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট হোসাইন অ্যান্ড সন্স, আবেদিন এন্টারপ্রাইজ, মিলন এন্টারপ্রাইজ ও মেসার্স রাতুল ইন্টারন্যাশনাল। সারা দেশে খুচরা বাজারে খাদ্যপণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে সরকার বেসরকারি খাতকে এক মাসের মধ্যে পাঁচ লাখ ৮৭ হাজার মেট্রিক টন চাল আমদানি করতে বলেছে। গত ১৩ নভেম্বর খাদ্য মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব লুৎফর রহমানের সই করা এক অফিস আদেশে এ অনুমতি দেওয়া হয়। মোট ১০২ প্রতিষ্ঠানকে এই চাল আমদানির অনুমতি দিয়েছে মন্ত্রণালয়। মন্ত্রণালয়ের আদেশে বলা হয়েছে, মোট চালের মধ্যে চার লাখ ২৫ হাজার মেট্রিক টন সিদ্ধ চাল এবং এক লাখ ৬২ হাজার মেট্রিক টন আতপ চাল আমদানি করতে হবে। যা ১০ ডিসেম্বরের মধ্যে চাল বাজারজাত করতে হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমদানি করা কোম্পানিকে এসব পণ্য প্যাকেট না বদলিয়ে (রিপ্যাকেজ না করে) আমদানি করা চাল সরাসরি বাজারে বিক্রি করতে হবে এবং প্রতিদিনের আমদানি, বিক্রি ও মজুতের তথ্য স্থানীয় খাদ্য অফিসে জমা দিতে হবে। বেনাপোল স্থলবন্দরের চাল আমদানিকারক শহীদুল ইসলাম বলেন, চাল আমদানিতে শুল্ক আরোপ থাকার কারণে বন্দর দিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই চাল আমদানি বন্ধ ছিল। সম্প্রতি সরকার চাল আমদানির ক্ষেত্রে শুল্ক প্রত্যাহার করে নিলে আমদানির উদ্যোগ নেন আমদানিকারকরা। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সরকার চাল আমদানির অনুমতি দিয়েছে। আমরা আইপি হাতে পাওয়ার পরই এলসি খুলে ভারতে সেই কপি দেওয়ায় বন্দর দিয়ে চাল আমদানি শুরু হয়েছে। এতে দেশের বাজারে চালের দাম কমে আসবে। উল্লেখ্য, বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে সর্বশেষ গত ২০২২ সালের ১৯ ডিসেম্বর চাল আমদানি হয়েছিল। আগে চাল আমদানিতে শুল্ক ৬২.৫ ভাগ থাকার পরে তা কমিয়ে আমদানি শুল্ক ২৫ ভাগ নির্ধারণ করে সরকার। সর্বশেষ গত ৩১ অক্টোবর চাল আমদানিতে বিরাজমান শুল্ক সম্পূর্ণভাবে প্রত্যাহার করে নেয় সরকার। বেনাপোল স্থলবন্দরের উদ্ভিদ সংগনিরোধ কেন্দ্রের উপসহকারী কর্মকর্তা হেমন্ত কুমার সরকার বলেন, চাল আমদানির অনুমতির আইপি দেওয়ায় সারা দেশে ১০২ জন আমদানিকারক চাল আমদানির অনুমতি পেয়েছে। তার মধ্যে যশোরের মেসার্স মাহবুবুল আলম ফুড প্রডাক্ট এবং মেসার্স অর্ক ট্রেডিং কোম্পানি ১০৫ মেট্রিক টন করে ২১০ মেট্রিক টন, এস এম এম এন্টারপ্রাইজ ১০০ মেট্রিক টন চাল ইতোমধ্যে বন্দর থেকে খালাস নিয়েছেন। এর মধ্যে গত বৃহস্পতিবার রাতে সর্দার ইন্টারন্যাশনাল নামে এক আমদানিকারকের ছয় ট্রাক চাল বেনাপোল বন্দরে প্রবেশ করেছে। যা শনিবার বন্দর থেকে খালাস নেবেন।