বিসিএসের মৌখিক পরীক্ষার নম্বর ও আবেদন ফি কমছে

প্রবাহ রিপোর্ট : বিসিএসের মৌখিক পরীক্ষার নম্বর ও আবেদন ফি কমানোর জন্য জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব পাঠিয়েছে সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)। মৌখিক পরীক্ষার নম্বর ২০০ থেকে কমিয়ে ১০০ নম্বর করার প্রস্তাব করা হয়েছে, যা অনুমোদন পাওয়া গেলে ৪৪তম বিসিএস পরীক্ষা থেকে কার্যকর হবে। আর বিসিএস পরীক্ষার আবেদন ফি ৭০০ টাকা থেকে কমিয়ে ৩৫০ টাকা করার প্রস্তাব দিয়েছে পিএসসি। ৪৭তম বিসিএস থেকে তা কার্যকর হওয়ার কথা রয়েছে। গতকাল সোমবার পিএসসি সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে। পিএসসির কর্মকর্তারা বলছেন, পিএসসি ও তার কার্যক্রম সংস্কারের অংশ হিসেবে বিভিন্ন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সার্বিক দিক বিবেচনায় মৌখিক পরীক্ষার নম্বর কমানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়। এছাড়া আবেদন ফি কমানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সেক্ষেত্রে সাধারণ প্রার্থীদের জন্য ৩৫০ টাকা ও প্রতিবন্ধীদের ক্ষেত্রে ১০০ টাকা থেকে কমিয়ে ৫০ টাকা প্রস্তাব করা হয়। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে অনুমোদন পাওয়া গেলে বিজ্ঞপ্তি আকারে জানিয়ে দেওয়া হবে বলে জানান পিএসসির কর্মকর্তা। এদিকে বিসিএস পরীক্ষায় একজন চাকরিপ্রার্থী সর্বোচ্চ চারবার অংশ নিতে পারবেন বলে সম্প্রতি উপদেষ্টা পরিষদে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এ নিয়ে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়। এবার সেই সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করে ৩২ বছর বয়স পর্যন্ত যতবার খুশি, ততবার বিসিএসে অংশ নেওয়ার সুযোগ রাখার প্রস্তাব দিয়েছে সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)। সম্প্রতি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে এ প্রস্তাব পাঠানো হয়। মন্ত্রণালয় এতে চূড়ান্ত অনুমোদন দিলে চাকরিপ্রার্থীরা তাদের ৩২ বছর বয়সসীমা পর্যন্ত যতবার সম্ভব, ততবার বিসিএস পরীক্ষায় বসার সুযোগ পাবেন। পিএসসির পরীক্ষা শাখা সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। তবে এ নিয়ে কেউ গণমাধ্যমে কথা বলতে চান না। একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করে বলেন, বিষয়টি স্পর্শকাতর। উপদেষ্টা পরিষদের সিদ্ধান্তের বিপরীত। সেজন্য পিএসসি এ নিয়ে বাইরে কথা বলতে চায় না। সরকার প্রস্তাবে অনুমোদন দিলে তখন বিষয়টি প্রকাশ্যে আনা হবে। এদিকে, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের নিয়োগ, প্রেষণ ও পদোন্নতি বিভাগের একজন কর্মকর্তা বলেন, কয়েকটি প্রস্তাব এসেছে। এগুলো আজ-কালের মধ্যেই অনুমোদন হয়ে যেতে পারে। তবে কোনটা কোনটা অনুমোদন হবে, তা এখনই বলা যাচ্ছে না। গত ৩১ অক্টোবর প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে বিসিএসে চারবারের বেশি অংশ নেওয়া যাবে না বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তার আগের বৈঠকে সর্বোচ্চ তিনবার দেওয়া যাবে বলে সিদ্ধান্ত হয়েছিল। তবে জনপ্রশাসন বিশেষজ্ঞরা কয়বার বিসিএসে দেওয়া যাবে, সেটা বেঁধে দেওয়ার বিপক্ষে। চাকরিপ্রার্থীরা বিষয়টির প্রতিবাদ জানিয়ে আসছেন।